Barak UpdatesBreaking News
তেরো বছরে দশম বার প্রথম পুরস্কারে ভূষিত ফোরামIn a span of 13 years, Barak Valley Voluntary Blood Donors Forum snatches 1st position for 10 times
১৫ নভেম্বর : রাজ্যে স্বেচ্ছা রক্তদান আন্দোলনকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ২০০৬-০৭ সাল থেকে রাজ্য রক্ত সঞ্চরণ পর্ষদ এবং আসাম রাজ্য এইডস নিয়ন্ত্রণ সংস্থার উদ্যোগে স্বেচ্ছা রক্তদান শিবির আয়োজকদের পুরস্কৃত করা হয়। সেই সময় গোটা রাজ্যে নিয়মিত স্বেচ্ছা রক্তদান শিবির আয়োজক সংগঠন প্রায় ছিল না বললেই চলে। সত্যি বলতে কি, এখনও তেমন সংগঠনের সংখ্যা অঙ্গুলিমেয়।
সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে ২০০২ সালে গঠিত বরাকভ্যালি ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরামই রাজ্যের প্রথম নিয়মিত রক্তদাতা সংগঠন। রক্তদানকে এক সামাজিক আন্দোলনের রূপ দেওয়ার শুরুয়াৎ করার কৃতিত্ব অবশ্যই ফোরামের। সেই প্রথম বছর (২০০৬-০৭) থেকে লাগাতার চার বছর রাজ্যের সেরা রক্তদাতা সংগঠনের শিরোপা দখল করে বরাকভ্যালি ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরাম।
কিন্তু ২০১০-১১ অর্থবর্ষে তেরাপন্থ যুব পরিষদ একই দিনে রাজ্যব্যাপী প্রায় ২৫টি মেগা ক্যাম্পের আয়োজন করে। এতে উৎসাহিত হয়ে মারোয়াড়ি যুব মঞ্চও প্রচুর রক্তদান শিবির আয়োজন করে। ফলে তারাই প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে নেয়। ফোরাম নেমে আসে তৃতীয় স্থানে। পরের বছর ফোরাম দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে।
২০১৩-১৪ তে আবার প্রথম হয় ফোরাম। প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি হয়ে যায়। ২০১৪-১৫ তে আবার দ্বিতীয়। কিন্তু তারপর থেকে ফোরাম তাদের কাজকর্মের পরিধি বাড়ায়। ২০১৫-১৬ থেকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি ফোরামকে। প্রতিবারই শীর্ষে থেকেছে তারা। ১৪ নভেম্বর গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত সিলেকশন মিটিঙের ফলাফলেও দেখা যাচ্ছে, এ বারও রাজ্যের সেরা রক্তদাতা সংগঠনের সম্মান পেতে চলেছে ফোরাম। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে তেরাপন্থ যুব পরিষদ ও মারোয়াড়ি যুব মঞ্চ।
এখানে উল্লেখ্য যে, বরাকের ফোরামের উদ্যোগে ডিব্রুগড়, কামরূপ, শোণিতপুর, বঙ্গাইগাঁও, ধুবড়ি, দরং, চিরাং, লক্ষীমপুর, তিনসুকিয়া, শিবসাগর ও চরাইদেউ জেলায়ও জেলাভিত্তিক রক্তদাতা ফোরাম গঠিত হয়েছে এবং সবগুলো সংগঠনই রক্তদাতা তৈরি ও রক্তদান সম্পর্কিত কাজকর্ম শুরু করছে। এ বছরের রিপোর্ট অনুযায়ী ডিব্রুগড় ব্লাড ডোনার্স ফোরাম রাজ্যের সেরা তালিকায় সপ্তম স্থান দখল করেছে। মাত্র ১৬ জন রক্তদাতা কম হওয়ায় দশম স্থান পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে ওয়েস্টার্ন আসাম ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরাম। প্রতিযোগিতায় ছিল কামরূপ ব্লাড ডোনার্স ফোরামও। রক্তদান শিবিরের সংখ্যা বেশি হলেও মোট রক্তদাতার সংখ্যা কম হওয়ায় তারা সেরা তালিকায় জায়গা পেতে ব্যর্থ হয়েছে।
সরকারিভাবে পুরস্কার প্রথা চালু হওয়ার মোট তেরো বছরের মধ্যে দশ বার প্রথম, দু’বার দ্বিতীয় এবং একবার তৃতীয় হওয়া বরাকভ্যালি ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরাম নিঃসন্দেহে বরাকবাসীর গর্বের সংগঠনে পরিণত হয়েছে। ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক আশু পাল জানিয়েছেন, রক্তদানে এই শ্রেষ্ঠত্বের কৃতিত্বের দাবিদার হচ্ছেন বরাকের রক্তদাতারা, রক্তদান শিবির আয়োজক সংস্থা সমূহ ও ফোরামের প্রত্যেক সদস্য সৈনিক। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, রাজ্যসেরা সম্মানের এই ধারাবাহিকতাকে অমলিন রাখতে বরাকের সর্বস্তরের জনগণ, বিশেষ করে যুব সমাজ আগামী দিনে আরও বেশি করে স্বেচ্ছা রক্তদানের পথে এগিয়ে আসবেন।