Barak UpdatesBreaking News
একাদশীতেও যেন দশমীর রাত, সমালোচনায় বিদ্ধ উধারবন্দIdol Immersion continued on Saturday
২১ অক্টোবরঃ দশমী না একাদশী বোঝা কঠিন ছিল। শনিবার বিকেল থেকে শুরু হয় প্রতিমা নিয়ে শোভাযাত্রা।চলে সন্ধ্যা হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত। রাত ১টাতেও নিরঞ্জনের অপেক্ষায় বেশ কিছু মূর্তি।
দশমীর মতোই মানুষ রাস্তার দুই পাশে জড়ো হয়ে শোভাযাত্রা দেখেছেন। দেখেছেন দেবীপ্রতিমা, সঙ্গে ভক্তবৃন্দের নৃত্য। বিসর্জনঘাটে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে নিরঞ্জন পর্ব।
নিরাপত্তা রক্ষী, এসডিআরএফ-এনডিআরএফ সহ পুর কর্মীরা সারাক্ষণ কাজ করে গিয়েছেন। শুক্রবার নদীর জলস্তর কমে যাওয়ায় কিছু সময় নিরঞ্জন পর্ব স্থগিত থাকলেও শনিবার এই ধরনের কোনও সমস্যায় ভুগতে হয়নি।
কাছাড়ের জেলাশাসক ডা. এস লক্ষ্মণন জানিয়েছেন, পূজা ও দশমী নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে। সংস্কৃতির শহরে তিনি এমনটাই আশা করেছিলেন। পুলিশ সুপার রাকেশ রৌশনও বলেন, বিক্ষিপ্ত দু-একটি ঘটনা বাদ দিলে দুর্গোতসব শান্তিতে সম্পন্ন হয়েছে। সে জন্য তিনি নিরাপত্তা রক্ষীদের ধন্যবাদ জানান। তাঁর কথায়, এ বার পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ষী মোতায়েন করা হয়েছিল।
তবে বিসর্জন পর্ব শনিবারও শেষ হয়ে যায়নি। অন্তত দুটি পূজা প্রশাসনকে জানিয়ে দিয়েছে, তারা রবিবার সন্ধ্যায় প্রতিমা নিরঞ্জন করবেন।
এ দিকে, উধারবন্দ কালীবাড়ি রোড পূজা কমিটির মাতৃবন্দনা নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। শনিবার সন্ধ্যায় প্রচুর মানুষ মূর্তি-মণ্ডপ দেখতে গিয়ে জানতে পারেন, প্রতিমা বিসর্জন হয়ে গিয়েছে। ভেঙে ফেলা হচ্ছে মণ্ডপ। ফলে কাউকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। হতাশ হয়ে সবাইকে ফিরতে হয়েছে। পূজা কমিটির দাবি, তাঁরা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, দশমী পর্যন্ত মণ্ডপ খোলা থাকবে। একটি অ্যাকুরিয়াম উপর থেকে খসে পড়েছে, এই কথা শুনিয়ে তাঁরা দর্শনার্থীদের বলেন, বিপদের আশঙ্কাতেই তাঁরা কাউকে মণ্ডপে ঢুকতে দিচ্ছেন না।
ও দিকে, পুজোর দিনগুলিতে ৫০ ও ১০০টাকার বিনিময়ে যে বিশেষ প্রবেশপথ তৈরি করা হয়েছিল, এ নিয়েও সমালোচনা শুনতে হচ্ছে কর্মকর্তাদের। এর বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচুর লেখালেখি হচ্ছে। অনেকেই এর মধ্যে বাণিজ্যিকীকরণের গন্ধ পাচ্ছেন। অভিযোগ, সাধারণ দর্শনার্থীদের ইচ্ছাকৃতভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে।