CultureBreaking News
মঞ্চে অনুষ্ঠান করার সময়ই স্ট্রোক, প্রয়াত গিটারবাদক সুপ্রিয়Guitarist Supriya dies after stroke while performing on stage
২ ডিসেম্বর : যে গানের মঞ্চকে মনে প্রাণে ভালবাসতেন, সেই মঞ্চে থাকার সময়ই হঠাৎ অসুস্থতা, এরপর চিরতরেই নিভে গেল জীবনদীপ। অকালেই চলে গেলেন শিলচর লিংক রোডের বাসিন্দা গিটার বাদক সুপ্রিয় দাসগুপ্ত। তাঁর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ার পর শনিবার রাতে তাঁকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু রবিবার সকালে তিনি মারা যান।
সুপ্রিয় শিলচর দ্বিতীয় লিংক রোড ১০ নম্বর লেনে থাকলেও তাঁর মূল বাড়ি শহরের মালুগ্রামে। শনিবার রাতে তিনি ভেনাস ক্লাবের হয়ে ডলুতে অনুষ্ঠান করতে গিয়েছিলেন। সংস্কৃতি জগতেরই জনৈক ব্যক্তি জানান, সুপ্রিয় মঞ্চে শরীর ভাল না লাগায় নিচে নেমে বসতে চাইলেন। অন্যরা অবশ্য তখন মঞ্চেই ছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই এক শ্রোতা এসে বলেন, অর্কেস্ট্রা দলটির এক সদস্যকে তারা নিচে পড়ে থাকতে দেখেছেন। শরীর থেকে প্রচণ্ড ঘাম নির্গত হয়েছে, তিনি বমিও করেছেন। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে ডলু প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত প্রায় আড়াইটে নাগাদ তাঁর শরীরের অবস্থা খারাপ হওয়ায় সেখানকার চিকিতসকরা তাঁকে শিলচর মেডিক্যালে নিয়ে যাবার পরামর্শ দেন।
এদিকে, তড়িঘড়ি গিটারবাদক সুপ্রিয়কে মেডিক্যালে নিয়ে আসা হলে তাঁর শারীরিক অবস্থার তেমন কোনও উন্নতি হয়নি। একটি সূত্রে জানা গেছে, তাঁর রক্তচাপ ২৮০ থেকে ৩০০ ছিল। অবশেষে রবিবার সকালে তিনি মারা যান। সুপ্রিয়র ঘনিষ্ঠরা জানান, বেশ কিছুদিন থেকেই উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন তিনি।
শিলচরের সঙ্গীত জগতে গত ১৫ বছর ধরে তিনি যুক্ত রয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে একাধিক দলের হয়ে তিনি অনুষ্ঠান করেন। ভাল গিটার বাদক হিসেবে তাঁর যথেষ্ট নামডাকও ছিল। সুপ্রিয়ের স্ত্রী মুক্তা দাসগুপ্তও একজন সঙ্গীতশিল্পী। স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে বিভিন্ন সময়ে একই মঞ্চে অনুষ্ঠান করেছেন। তবে শনিবার রাতে ডলুর অনুষ্ঠানে মুক্তা যাননি। জানা গেছে, সুপ্রিয়ের বড় বোন স্বাগতাও গান-বাজনার জগতে রয়েছেন। তবে তিনি বর্তমানে মুম্বাই প্রবাসী। সুপ্রিয়ের পরিবারে ৯ বছরের তাঁর একটি মেয়েও রয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে সংস্কৃতি মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।