NE UpdatesBarak UpdatesIndia & World Updates
শিলচরের যৌনপল্লী থেকে উদ্ধার কলকাতার প্রেমিকা, ধৃত প্রেমিক সহ ৫
ঘটনা ২ মাস আগের। ২৫ মে প্রেমিক সোহাগ রাইয়ের পরামর্শে মেয়েটি বাড়ির গেটে দাঁড়িয়ে থাকে। পাশের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। তাই মা-বাবা আঁচই করতে পারেননি মেয়ে কেন দাঁড়িয়ে রয়েছে। রাত দেড়টায় গেটে এসে একটি অটো দাঁড়ায়। মেয়ে তাতে চড়েই পালায়। পরে পিছু নিয়ে অটোটিকে পাওয়া গেলেও মেয়ের খোঁজ নেই। চালকের সঙ্গে শুধুই সোহাগ। অপহরণ মামলার তদন্তে নেমে পুলিশ সোহাগ ও অটোচালককে গ্রেফতার করে। কিন্তু তাদের কাছ থেকে কিছুতেই কোনও ক্লু বের করা যায়নি। ওই অটোতে কোনও মেয়ে চড়েছে, সে কথাই মানতে চায়নি। মামলার জট খোলার শুরু ১৮ জুন। আচমকা বাবার মোবাইলে মেয়ের ফোন, আমাকে বাঁচাও। আর কোনও কথা বলতে পারেনি। ফোন করেও ওই নম্বরে আর কাউকে পাওয়া যায়নি। পুলিশও বারবার চেষ্টা করে। প্রতিবারই উত্তর আসে, স্যুইচড অফ। মামলার তদন্তকারী অফিসার পীযূষ মণ্ডল এ বার ওই সেটের আইএমই সংগ্রহ করে প্রযুক্তির প্রয়োগে বের করে নেন, স্যুইচড অফ সেটটি রয়েছে দিল্লির ফতেপুরে। ছুটে যান সেখানে। খুঁজে খুঁজে বের করেন মোবাইল সেটটিকে। সেটি ছিল নাদিয়া নামে মহিলার কাছে। চাপে পড়ে সে স্বীকার করে, বাবার কাছে ফোন করার পরেই নবম শ্রেণির পড়ুয়া মেয়েটিকে এলাহাবাদে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাকে গ্রেফতার করে এলাহাবাদ থেকে তুলে আনা হয় মাইলি তামাং নামে আরেক মহিলাকে। তার কাছ থেকেই শিলচরের যৌনপল্লীর সন্ধান মেলে। মাইলি জানায়, বিমল দাসের ঘরে রয়েছে সে। বৃহস্পতিবার শিলচরে আসে মধ্যমগ্রাম থানার একটি দল। স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় শুক্রবার যৌনপল্লীতে গিয়ে বিমল দাসের ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। বিমল আগেই পালিয়ে যায়। মেয়েটিকেও সরিয়ে দিয়ে যায় পাশের ঘরে। পুলিশ স্বপ্না দাসের ঘরে তল্লাশি চালিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। সঙ্গে গ্রেফতার করে স্বপ্নাকে।
উদ্ধার অভিযানের পর তদন্তকারী অফিসার পীযূষবাবু বলেন, এ এক বড়সড় আন্তঃরাজ্য নারী পাচার চক্র। শুধু দিল্লি-এলাহাবাদ-শিলচরই নয়, মেয়েটিকে সোহাগ প্রথমেই রাজস্থানে পাঠিয়ে দেয়। সেখান থেকে নিয়ে যায় দিল্লিতে। মেয়েটির বাবা পুলিশের সঙ্গে শিলচর আসেন। মেয়েকে ফিরে পেয়ে বলেন, মধ্যমগ্রাম পুলিশের জন্যই এই সাফল্য সম্ভব হয়েছে। পেশায় রাজমিস্ত্রি। তাঁর খোলামেলা বক্তব্য, আমার পক্ষে মেয়েকে উদ্ধার করা কোনওমতে সম্ভব ছিল না।