Barak UpdatesAnalyticsBreaking News
৫ দিনের মধ্যে বাঁধের সার্ভে করে পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ মন্ত্রী পীযূষের
করিমগঞ্জে দ্বিতীয়বারের বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পর্যালোচনা অভিভাবক মন্ত্রীর
ওয়ে টু বরাক, ২৪ জুন : করিমগঞ্জ জেলার দ্বিতীয় দফার বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পর্যালোচনা করতে রবিবার রাজ্যের জলসম্পদ তথা করিমগঞ্জ জেলার অভিভাবক মন্ত্রী পীযূষ হাজরিকা করিমগঞ্জ জেলা সফর করলেন। রবিবার বিকেলে বদরপুর পৌঁছে বদরপুর ও শ্রীগৌরীর বরাক নদীর ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন। তারপর করিমগঞ্জ শহরে পৌঁছে পাবলিক উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং এনএনটিসি বিদ্যালয়ের ত্রাণ শিবিরগুলি পরিদর্শন করেন।
এরপর করিমগঞ্জ জেলা কমিশনারের কার্যালয়ের সভাকক্ষে জেলা প্রশাসন ও বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে এক পর্যালোচনা বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে জেলা কমিশনার মৃদুল যাদব, অসম রাজ্যিক পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান মিশন রঞ্জন দাস, উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ, দক্ষিণ করিমগঞ্জের বিধায়ক সিদ্দেক আহমেদ, পাথারকান্দির বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল, রাতাবাড়ির বিধায়ক বিজয় মালাকার, লক্ষীপুরের বিধায়ক কৌশিক রাই, করিমগঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্র দেব, করিমগঞ্জ জেলা বিজেপির সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য, ডিডিসি দীপক জিডুং, জেলা পরিষদের সিইও লক্ষী নন্দন শহরিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ অধিক্ষক প্রতাপ দাস সহ বিভিন্ন বিভাগীয় আধিকারিকরা এতে অংশগ্রহণ করেন।
সভায় মন্ত্রী জলসম্পদ বিভাগকে এই জেলাটি যথাসম্ভব বন্যামুক্ত রাখতে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। এতে তিনি জলসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তাদের পাঁচ দিনের মধ্যে জেলার নদী বাঁধ গুলির বিস্তারিত সার্ভে করে জেলা কমিশনার ও জেলার প্রতিজন বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে পরামর্শ দেন। সভায় মন্ত্রী করিমগঞ্জ জেলার ভয়াবহ বন্যার পরিপ্রেক্ষিতে ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত নদী বাঁধ নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া যেতে পারে বলে জানান। তিনি জল সম্পদ বিভাগের জিও ব্যাগ, পরকুপাইন ইত্যাদির মজুত ভান্ডার নিয়ে খোঁজ নেন।
এ দিকে বন্যার জলে ফকিরাবাজার নিলামবাজার সড়কের একটি অংশ ভেঙে যাওয়ায় ওই অংশ দিয়ে জনগণের সাময়িক চলাচলের ব্যবস্থা করে দিতে তিনটি বড় আকারের হিউম পাইপ বসানোর ব্যবস্থা করতে পূর্ত বিভাগ এবং জলসম্পদ বিভাগকে সমন্বয় রক্ষা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দেন।
এ দিনের বৈঠকে বদরপুর রাজস্ব চক্রের এংলা বাজার জিপির অন্তর্গত বেন্দারগুল গ্রামে ভূমি ধসে একই পরিবারের পাঁচজন মৃতের পরিবারের হাতে এসডিআরএফ নিয়ম অনুসারে চার লক্ষ টাকা করে মোট ২০ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন মন্ত্রী। সভায় ত্রাণ বন্টন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সভায় জানানো হয়, এবারের বন্যায় পূর্ত বিভাগের ১৪০টি সড়ক জলে নিমজ্জিত হয়েছে এবং একটি রাস্তা ভেঙেছে। এছাড়া সভায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা গ্রামীণ ও অন্যান্য সব বিভাগের কাজকর্ম নিয়ে ও আলোচনা করা হয়।