Barak UpdatesBreaking News
ভোটাধিকার চেয়ে গাড়িচালকদের বিক্ষোভ, প্রশাসন বলল ‘সুবিধা করে দেবে’Drivers stages protest in demand of providing opportunity to them for voting
১৭ এপ্রিলঃ ভোটের কাজে সরকারি কর্মীরা নিজের ভোটকেন্দ্র থেকে অন্য জায়গায় নিযুক্ত হন। তাঁদের ভোটদানের জন্য নির্বাচন কমিশন পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা করে। কিন্তু যে গাড়িচালকরা এই ভোটকর্মীদের নিয়ে নিজের ভোটকেন্দ্র ছেড়ে অন্যত্র চলে যান, তাঁরা ভোট কী করে দেবেন? সরকারি আইন অনুযায়ী তাঁরা পোস্টাল ব্যালটের সুবিধাও পাবেন না। তাহলে তাঁদের ভোটদানের উপায় কী? এই প্রশ্ন নিয়ে মঙ্গলবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল শিলচর শহরের ট্রাঙ্ক রোড লক্ষীপুর বাস স্ট্যান্ড। ভোটাধিকার প্রয়োগের সুবিধা চেয়ে বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা এ দিন বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। তাঁরা অভিযোগ করে বলেন, ভোটের দিন ভোটকর্মীদের নিয়ে তাঁদের নিজের এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে হয়। তাহলে তাঁরা ভোট কী করে দেবেন। এতে তাঁরা প্রতি বছর গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এর একটা উপায় বের করতেই হবে।
এদিকে, ভোটাধিকারের দাবি নিয়ে গাড়িচালকরা যখন দাবি জানাচ্ছেন, ঠিক তখনই সেখানে থাকা পরিবহণ বিভাগের এক কর্তা তাঁদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। গাড়িচালকরা অভিযোগ করেন, ওই সরকারি কর্তা নাকি বলেছেন ‘ড্রাইভারদের ভোট দেওয়ার দরকার নেই। অনেক সরকারি কর্মীই ভোট দিতে পারছেন না, আর ড্রাইভাররা ভোট কী দেবেন?’ এই মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। চালকরা বলেন, একদিকে সরকার ব্যাপক হারে ভোটদানে মানুষকে উৎসাহিত করছে, আবার অন্যদিকে ভোটাধিকার থাকা সত্ত্বেও কিছু মানুষকে ভোটদানের সুযোগ করে দিচ্ছে না। তাছাড়া ভোটের আগে গাড়ি রিকুইজিশন করার নামে তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয় বলেও অভিযোগ এনেছেন চালকরা। জনৈক চালক বলেন, যখন পুলিশ গাড়ি ধরে নিয়ে আসে, তখন ওই চালকের ব্যক্তিগত কোনও অসুবিধার কথাই পুলিশ শুনতে চায় না।
অভিযুক্ত সরকারি কর্মী অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে উত্থাপিত সব অভিযোগ খণ্ডন করেন। পরে বিক্ষোভ শুনে এগিয়ে আসেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। পরিস্থিতি শান্ত করতে প্রশাসন আশ্বাস দেয়, ভোটের কাজে নিযুক্ত গাড়িচালকদের ভোটাধিকারের সুবিধা প্রদান করা হবে। এরপরই অবশ্য আন্দোলন থেকে সরে আসেন গাড়িচালকরা। কিন্তু এই গাড়িচালকদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার ব্যাপারে প্রশাসন কী হাল বের করেছে, তা জানা যায়নি। কারণ শিলচর থেকে একদিন বা দুদিন আগে ভোটসামগ্রী নিয়ে জেলার কোনও দুর্গম স্থানে চলে যাওয়ার পর ভোটের দিন ওই গাড়িচালক কীভাবে নিজের বুথে গিয়ে ভোট দেবেন, সত্যিই এ এক বড় প্রশ্ন। তবে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জেলা প্রশাসন নিশ্চয়ই এর ব্যবস্থা করে দেবে। কারণ সরকারি কর্মী হোন, বা গাড়িচালক, ভারতের সংবিধান অনুযায়ী ভোটদানের অধিকার কিন্তু সবার।