Barak UpdatesCultureBreaking News

দীপাবলিতে মাটির প্রদীপের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ চাইনিজ বালব
Diwali: Earthen diyas fighting stiff competition from Chinese lights

১২ নভেম্বর : বছরের সেই সময়টা আবার ঘুরে এল, যখন আলোর মালায় সেজে উঠবে আমাদের ঘর, রঙীন হয়ে উঠবে আমাদের চারপাশটা। হ্যাঁ, ভারতীয়দের বহু প্রতীক্ষিত আলোর উৎসব একেবারেই দোরগোড়ায়। আমাদের ঘর আলোকজ্জ্বল হয়ে ওঠার পাশাপাশি উৎসব উদযাপনের আনন্দে রঙীন হয়ে উঠবে আমাদের মন। দীপাবলি উৎসবের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হলো মাটির প্রদীপ। কিছুদিন আগেও কয়েকশ’ মৃৎশিল্পী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা দীপাবলির সময় রাত জেগে অতিরিক্ত শ্রম দিয়ে মাটির প্রদীপ তৈরি করতেন। তাদের হাতের ছোঁয়ায় ছোট ও বড় মাপের হাজার হাজার প্রদীপ তৈরি হতো, আর এগুলোই আমাদের ঘর আলোকময় করে তুলতো। এর মাধ্যমে এই গরিব পরিবারগুলো কিছুটা লাভের মুখ দেখতে পারতো। কিন্তু আজকাল এই প্রদীপের ব্যবসা অনেকটাই কমে গেছে।

Waiting for a never to come customer! Pic Credit: Jatayu

কিন্তু সময়ের স্রোতে ভেসে এখন অনেকেই মাটির প্রদীপের বদলে বৈদ্যুতিক আলো জ্বালিয়ে এই কুমোরদের জীবনকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছেন। বরাক উপত্যকার গ্রাম-শহরে চোখ রাখলেই তা স্পষ্ট হয়ে যায়। এক কুমোর সে দিন খুব অসহায় ভাবেই বললেন, ‘আমরা এখন আর আগের মতো মাটির প্রদীপ তৈরি করি না। খুব কম সংখ্যক মানুষই প্রদীপ কিনতে চান। মানুষ এখন অত্যাধুনিক চাইনিজ আলোর দিকেই ঝুঁকেছেন। ফলে আমরা উৎপাদন ৩০-৪০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছি। মাটির প্রদীপের চাহিদা কমে যাওয়ায় এবং লাভ আগের মতো না থাকায় বহু কুমোর এখন অন্য ব্যবসার দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। যারা এখনও এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, প্রতিদিনই নানা চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করছেন।

Fancy Chinese lights at Elora market. Pic Credit:Jatayu

ওয়েটুবরাকের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কুমোর সরোজ দাস বলেন, ‘যখনই চাইনিজ সামগ্রী ভারতের বাজারে এসেছে, তখনই দীপাবলি তার স্বকীয়তা হারিয়েছে। এতে মাটির প্রদীপের বিক্রি একেবারেই কমে গেছে। প্রতি বছরই প্রদীপের বিক্রি ৩০ শতাংশের মতো কমছে। কিন্তু এটি আলোর উৎসব হলেও তা আমাদের জীবনকে অন্ধকারের দিকেই ঠেলে দিয়েছে।

Potter making Diyas

মাটির প্রদীপের বিক্রি কমে যাওয়ার পেছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, তেলের দাম বেড়ে যাওয়া বা একটি প্রদীপ একবার ব্যবহার করার জন্য অনেকেই তা কুলিয়ে উঠতে পারেন না। শিলচরে কৃত্রিম প্রদীপ কিনতে গিয়ে এক ক্রেতা টুম্পা রায় গোস্বামী বলেন, সস্তায় চাইনিজ বাল্ব কিনলেও তা দুই থেকে তিন বছর পর্যন্ত চলে যায়। আমরা পরম্পরা বজায় রাখতে গিয়ে মাটির প্রদীপও কিনে আনি, কিন্তু এই সংখ্যাটা অনেক কম। আমরা যেখানে চাই সেখানেই বাল্ব লাগিয়ে দিতে পারি, এবং এর জন্য কোনও তেল বা ঘিয়ের প্রয়োজন হয় না।

Houses decorated with cheap Chinese lights

তা সত্ত্বেও প্রদীপের অন্ধকারময় ভাগ্যে কিছুটা আশার আলো দেখা গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন সংগঠন প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে, দীপাবলিতে চাইনিজ আলো ব্যবহার না করার জন্য, আর তা কিছুটা হলেও এই মাটির কারিগরদের জন্য আশা নিয়ে এসেছে। শিলচরের এক সাংস্কৃতিক কর্মী শম্পা বণিক বললেন, দীপাবলির সময় চাইনিজ বাল্ব ও বাজি পটকা ব্যবহার না করার জন্য আমি হোয়াটস অ্যাপ ও ফেসবুকে অনেক ম্যাসেজ পেয়েছি। আমি এই বার্তাকে সমর্থন করি এবং মনে করেছি শুধু মাটির প্রদীপ দিয়েই দীপাবলি উদযাপন করবো।

Earthen diyas lighted in a house. Pic Credit:Jewel Saha

এ দিকে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কুমোরেরাও কিন্তু পিছিয়ে নেই। আজকাল তারাও বিভিন্ন ডিজাইনের প্রদীপ তৈরি করছেন। এর আকার অনুযায়ী হরেক নাম- গণেশ প্রদীপ, লক্ষ্মী প্রদীপ, শিব প্রদীপ, কৃষ্ণ-রাধা প্রদীপ, মাছের আকারের প্রদীপ, ওম আকারের প্রদীপ, মহিলার মূর্তির তৈরি করে তার হাতে বিভিন্ন রকমের প্রদীপ, একটি গাছের আদল তৈরি করে তাতে বেশ কয়েকটি প্রদীপের সমাহার। আবার কিছু প্রদীপ যাতে ব্যালকনি থেকে ঝুলিয়ে দেওয়া যায় বা একটি পাত্রে করে জলে ভাসিয়ে দেওয়া যায়, সেই ভাবনা থেকেও তৈরি করা হয়েছে। ফলে ইদানীং এই মৃৎশিল্পীদের মনে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে। কারণ বহু মানুষ এখন ধীরে ধীরে পরিবেশ সচেতন হচ্ছেন, ফলে মাটির প্রদীপ জ্বালিয়ে পরম্পরাগত ভাবে আলোর উৎসব উদযাপন সার্থক হয়ে ওঠার অপেক্ষায়। করোনা আবহেও ঐতিহ্যের মোড়কেই এ বার সেজে উঠবে আলোর উৎসব, এমন আশা করা যেতেই পারে।

ফলে ঘরে ঘরে আশার বার্তাও শোনা যাচ্ছে। এক গৃহকর্ত্রী অঞ্জনা সাহা পাল বললেন, ‘এই অসহায় পরিবারের মানুষদের জীবনকে আলোয় ভরিয়ে তুলি, যারা অধীর আগ্রহে এর অপেক্ষা করছেন। আমরা এই দীপাবলিতে মাটির প্রদীপ দিয়েই আমাদের ঘর সাজিয়ে তুলবো। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, আমরা বৈদ্যুতিক আলোকে পুরোপুরি বর্জন করবো, বরং এর পাশাপাশি আমরা মাটির প্রদীপও কিনব, তা দিয়ে সাজিয়ে তুলবো চারপাশটা।

November 12: It’s that time of the year again, when you need to spruce your home, make it bright and colourful. Yes, the most awaited festival of Indians, the festival of lights is just round the corner. Every house is decorated with lights and glitters with happy celebration all around. Diyas, the earthen lamps, have remained an inseparable part of Diwali celebrations. Until a few years ago, hundreds of potters and their families would be overworked in the run up to Diwali, churning out tens of thousands of small and big clay lamps that would brighten innumerable homes and businesses. The diya business has now sharply declined.

Waiting for a never to come customer! Pic Credit: Jatayu

With the passage of time, more and more people are switching on illuminations instead of lighting up earthen diyas, plunging the lives of potters in and around Barak Valley in darkness. “We have reduced production by 30-40 per cent. People these days opt for fancy Chinese bulbs. Very few families buy diyas,” said a potter. Low demand and slim profit margins have forced many potters to seek other jobs. Those who still continue with this profession, face the challenge of finding new markets.

Fancy Chinese lights at Elora market. Pic Credit:Jatayu

“Diwali has lost its traditional charm as Chinese products have taken over the Indian markets. There is a huge fall in the sale of diyas. Every year there is at least a 30 percent fall in sales. For what is supposed to be a festival of lights, our life has entered a dark phase,” Saroj Paul, a potter, told way2barak.

Potter making Diyas

A plethora of factors, such as, high cost of oil, effort to light the diyas and their one-time use have also taken their shine away. “Even the cheapest Chinese bulbs last for two to three years. We buy earthen diyas for tradition’s sake, but have decreased their numbers. We can place the bulbs anywhere we like, and they don’t require oil or ghee,” said customer Tumpa Roy Goswami, buying artificial diyas at Silchar.

Houses decorated with cheap Chinese lights

However, there is a small ray of hope amidst this enveloping darkness. Campaigns launched by different groups in social media to shun Chinese electrical products during Diwali have also benefitted the potters. “I got several messages in WhatsApp and Facebook not to use Chinese lights and crackers during Diwali. I also support the cause and decided to use diyas only,” said Sampa Banik, a cultural activist.

Earthen diyas lighted in a house. Pic Credit:Jewel Saha

The potters have also wheeled out a variety of designs such as Ganesh diyas, Lakshmi diya, Shiv diya, Krishna-Radha diya , fish-shaped diya, Om shaped diya, a woman’s statue with folded hands to place several diyas, multiple diyas on one stand in the shape of tree, and those which can be hanged in balcony and also floated on water bowls. Potters are hopeful this season. The traditional art of making earthen “diyas” is witnessing a revival this year as people are becoming environment-friendly and are willing to illuminate their homes in a traditional way.

“Let us illuminate the lives of these poor people who wait eagerly for this time of the year. So, this Diwali, let us pledge to light clay lamps around the house. I do not want to mean that we should stop using electric lights, but along with it let’s also purchase and light diyas,” said Anjana Saha Paul, a homemaker.

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker