Barak Updates
বাঙালির জন্য দলের ভেতরে ঠিকঠাক লড়ুন, কবীন্দ্রকে সুস্মিতা
দুদিন আগে কবীন্দ্রবাবু বলেছিলেন, যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠকে শিলচরের সাংসদ নাগরিকত্ব বিলের বিরোধিতা করেছেন। এই সময়ে বাঙালির জন্য কিছু করতে না পারলে তাঁর রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেওয়া উচিত। সুস্মিতাদেবী আজ গাঁধীগিরির ঢঙে বলেন, ‘বুঝি কবীন্দ্রবাবুও আমার মতোই চাপে রয়েছেন। বাঙালির স্বার্থে তাঁকেও দলের মধ্যে লড়াই করতে হচ্ছে।’ তাঁর অনুরোধ, এই সময়ে কারও পেছনে না লেগে চেষ্টা করতে হবে, নিজেদের প্ল্যাটফর্মে বাঙালির কথা কত বেশি তুলে ধরা যায়।
নাগরিকত্ব বিল সংশোধন নিয়ে তাঁকেও যে তাঁর দলের ভেতরে লড়তে হচ্ছে, খোলামেলা জানিয়েছেন শিলচরের কংগ্রেস সাংসদ। তাঁর কথায়, অসমের বাঙালিদের সমস্যার কথা কয়জন আর বুঝতে চান। এরা তো বাংলাদেশি, এই তত্ত্বটা কমবেশি কংগ্রেস নেতৃত্বের মধ্যেও কাজ করে। একে কাটানো যে কত কঠিন, তা তিনি টের পাচ্ছেন। তাই এ নিয়ে রাজনীতি না করতে সুস্মিতা দেবী বিজেপি নেতা কবীন্দ্র পুরকায়স্থের প্রতি অনুরোধ করেন। তাঁর কথায়, শুধু বরাক নয়, সারা অসমের বাঙালিরা আশাবাদী, কবীন্দ্রবাবু বিজেপির ভেতরে, আর সুস্মিতা দেব কংগ্রেসের ভেতরে তাঁদের জন্য লড়াই করবেন। রাজনৈতিক মতাদর্শ ভিন্ন হলেও তিনি চান, এই ইস্যুতে কবীন্দ্রবাবুর মতো প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যেন তাঁর দায়িত্ব যথাযথ পালন করেন। সুস্মিতাদেবী নিজেও তা করবেন বলে অঙ্গীকার করেন এ দিন।
এনআরসি নিয়েও সুস্মিতাদেবী তাঁর উদ্বেগের কথা জানান। তিনি বলেন, খসড়ায় নাম ওঠা আবেদনপত্রের ১০ শতাংশ পুনঃপরীক্ষা করার ঘোষণা একেবারে অমানবিক ব্যাপার। তাঁর আশঙ্কা, মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল নিজেও বুঝতে পারছেন না, আগামীদিনে কী হতে চলেছে। অধ্যাদেশ জারি করে হোক কিংবা বিল পাশ করে হোক, উদ্বাস্তুদের সমস্যা দ্রুত মিটছে না। বরং আগামীদিনে ভয়াবহ রূপ দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি। মহিলা কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভানেত্রী বলেন, বিলে সোজা নাগরিকত্ব দেওয়ার কথার উল্লেখ নেই। ফলে বাংলাদেশের কোথায় ছিলেন, কবে এপারে এসেছেন এইসব জানিয়ে উদ্বাস্তুদের আবেদন করতে হবে। আর তা করার সঙ্গে সঙ্গে হাজেলা তত্ত্ব মেনে আবেদনকারীকে গ্রেফতার করা হতে পারে। তাই তিনি তাঁদের ডিমড সিটিজেশিপ প্রদানের আর্জি জানান।