Barak UpdatesBreaking News
রাঙ্গিরখাড়িতে কর্তব্যরত দুই ট্রাফিক কনস্টেবলকে বরখাস্ত করতে বললেন উপাধ্যক্ষDeputy Speaker express displeasure at trucks plying during ‘no-entry,’ proposes to suspend 2 traffic constables at Rangirkhari
৩০ অক্টোবরঃ মেহেরপুরে দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে কড়া পদক্ষেপ নিতে জেলা প্রশাসনকে বলেছেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আমিনুল হক লস্কর। তিনি এ নিয়ে পুলিশ সুপার মুগ্ধজ্যোতি দেবমহন্তের সঙ্গেও কথা বলেছেন। ঘটনা সময়ে রাঙ্গিরখাড়িতে যে দুই ট্রাফিক কনস্টেবল কর্মরত ছিলেন, তাদের বরখাস্ত করতে পরামর্শ দিয়েছেন। সঙ্গে নো এন্ট্রি থাকা সময়ে রাঙ্গিরখাড়ি থানার সামনে দিয়ে গিয়ে রাঙ্গিরখাড়ি পয়েন্ট পর্যন্ত ট্রাকটি কী করে যেতে সক্ষম হয়েছে, তা তদন্ত করে দেখতে তিনি এসপি-কে বলে দিয়েছেন। আমিনুলবাবু জানান, নিহত দুই তরুণীর পরিবার এককালীন অনুদান পাবে। সে নিয়ে তিনি জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। আহতরাও বিনা খরচে পুরো চিকিতসার সুযোগ পাবেন।
From Facebook post of Aritro Dhar. Watch the events…
ডেপুটি স্পিকার মেডিক্যাল কলেজ টিমের ভূয়সী প্রশংসা করেন। দুর্ঘটনার পর একসঙ্গে ১৯জন জখম ব্যক্তিকে ইমার্জেন্সি-তে নিয়ে গেলে চিকিতকরা দ্রুত চিকিতসার ব্যবস্থা করেন। জুনিয়র ডাক্তাররা যেমন অন্য কাজ ফেলে ইমার্জেন্সি-তে চলে আসেন। তেমনি অধ্যক্ষ বাবুল বেজবরুয়ার নেতৃত্বে বরিষ্ঠ চিকিতসকরাও চিকিতসায় লেগে পড়েন।
এ দিকে, মেডিক্যাল কলেজের ব্লাড ব্যাঙ্কে নানা জটিলতায় অনেকদিন ধরেই রক্তের অভাব চলছে। এ দিন তা প্রকট হয়ে ওঠে। রক্তের জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, নিহত পম্পা দের মা নমিতা দে-ও শোভাযাত্রায় ছিলেন। তিনিও হাসপাতালে চিকিতসাধীন। একইভাবে সোনালির বাবা কাঞ্চন দাসেরও চিকিতসা চলছে। অন্যদিকে, গুরুতর জখম প্রীতমের দাদা দীপশঙ্কর দেবকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এক জুনিয়র ডাক্তার বললেন, একসঙ্গে এত তরুণ-তরুণী রক্তমাখা অবস্থায় আসতে দেখে প্রথমে ঘাবড়ে যাওয়ার জোগাড়। মুহূর্তে সামলে পেশাগত দায়িত্ব পালনে লেগে গেলাম। কিন্তু এমন চোট-জখম দেখে আবেগ সামলে রাখা বড় কঠিন।