Barak UpdatesBreaking News
মালেগড়ে শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলিDeep homage paid to martyrs at Malegarh
১৮ ডিসেম্বর : অন্যান্য বছরের মতো এ বারও সিপাহী বিদ্রোহের পটভূমি লাতু মালেগড় টিলায় পালিত হল শহিদ শ্ৰদ্ধাঞ্জলি দিবস । করিমগঞ্জ জেলা প্রশাসন, সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর ৭ নং ব্যাটেলিয়ন এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পাটকাই ট্রেকার্সের যৌথ আয়োজনে মালেগড় যুদ্ধের ১৬২তম বর্ষে নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনটি পালন করা হয় ।
সকাল নয়টায় ২৬ বীর শহিদের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান জেলাশাসক আনবামাথুন এম এস, বিএসএফের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডেন্ট মনীশ কুমার, সার্কেল অফিসার রাকেশ ডেকা প্রমুখ । স্মৃতিসৌধে ১৬২টি প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেন উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা । হয় সর্ব ধর্ম প্রার্থনা সভাও। বীর শহিদদের গার্ড অব অনার প্রদান করে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর জওয়ানরা ।
অনুষ্ঠানে সিপাহী বিদ্রোহের দিনগুলি নিয়ে বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন বিধায়ক নিশীথ রঞ্জন দাস । মালেগড় যুদ্ধ যে শুধু সিপাহী বিদ্রোহই নয়, মালেগরের যুদ্ধ ছিল দেশের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ, সে কথা উল্লেখ করেন তিনি । নিশীথবাবু বলেন, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদকে দেশ থেকে উৎখাত করতে দেশীয় সিপাহীরা প্রথম বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল । যার জন্য আজ আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি ।
বক্তব্য রাখেন সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর মনীশ কুমারও । সিপাহি বিদ্রোহের স্মৃতি বিজড়িত মালেগড় টিলা সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর কর্মক্ষেত্রের মধ্যে এবং পুণ্যভূমি রক্ষণাবেক্ষণকে গর্বের বিষয় বলে উল্লেখ করেন তিনি| আক্ষেপের সুরে বলেন ১৯৬৫, ১৯৭১ সালের পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের পরিচয় থাকা ভারতের অনেক স্মারক স্থল থাকলেও সিপাহী বিদ্রোহের একমাত্র পরিচয় মালেগড় । তাই মালেগড় টিলাকে সাজিয়ে তুলতে বিএসএফ দায়বদ্ধ বলে জানান তিনি ।
মালেগড়কে পর্যটনের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় ঐক্য ঘোষণা করার দাবি জানান পাটকাই ট্রেকার্সের আহ্বায়ক অরূপ রায় | অন্যদিকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেশাত্মবোধক নৃত্য পরিবেশন করে নুপুর নৃত্যালয়ের খুদে শিল্পীরা, সঙ্গীত পরিবেশন করে সরস্বতী বিদ্যানিকেতনের পড়ুয়ারা, একক সঙ্গীত পরিবেশন করে শিল্পী প্রিয়াঙ্কা দাস চৌধুরী| প্লাস্টিক বর্জন নিয়ে একটি পথনাটিকা প্রদর্শন করে বিশ্ববীণা নাট্য সাংস্কৃতিক সংস্থা ।