Barak UpdatesBreaking News
বিজ্ঞানে দ্বিতীয় ডেইজি ডাক্তারি পড়তে চায়Daisy, 2nd position holder in HS Science wants to become a doctor
২৫ মেঃ বিজ্ঞান বিভাগে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে শিলচর সরকারি বালক উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী ডেইজি পাঠক। ছাত্রী হলেও সে বালক বিদ্যালয়েরই পড়ুয়া। আবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের সর্বভারতীয় পরীক্ষা এআইইইই-তে ৯৮.৫৫ শতাংশ নম্বর পেয়েও তাঁর ইচ্ছে ডাক্তারি পড়বে। তাই ফল প্রকাশের দিনেও দ্বিতীয় স্থানের সমস্ত উচ্ছাস দূরে সরিয়ে শনিবার ছুটেছে এইমসের এন্ট্রান্স পরীক্ষার জন্য।
ডেইজি তার সাফল্যের জন্য মাতা-পিতা-মামাদেরই বেশি কৃতিত্ব দেয়। তার পিতা অনুপম পাঠক শিলচর সরকারি বালক উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়েরই গণিতের শিক্ষক। বললেন, আমাদের স্কুল মাধ্যমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে উন্নীত হওয়ার সময়েই মেয়েদের ভর্তির নির্দেশ দেওয়া হয়। সে থেকে প্রতি বছর মেয়েরা ভর্তি হয়। তাঁর কথায়, পরিশ্রম করলে সাফল্য মেলে, ডেইজির দ্বিতীয় হওয়াতে এটিই বুঝতে পারছেন।
অনুপমবাবুর মত শিলচর সরকারি বালক উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষক-শিক্ষিকা খুব খুশি। খুশি কলেজের অধ্যক্ষা পারভিন সুলতানা, উপাধ্যক্ষা রঞ্জিতা দেবদত্ত-ও। ডেইজির খবরে স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি ড. বিভাস দেব মিষ্টি নিয়ে স্কুলে যান। লাড্ডু বিতরণ করেন স্থানীয় বিধায়ক দিলীপকুমার পালও। তিনি ডেইজিকে ৫০ হাজার দিয়ে পুরস্কৃত করার কথা ঘোষণা করেন।
উচ্ছ্বাস দেখা দেয় ডেইজির মা কবিতা পাঠকের ডেফোডিলস স্কুলেও। সহকর্মীর মেয়ে বলে নয়, ডেইজির জন্য সবাই আনন্দিত, সে ওই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রী। সেখান থেকেই সে মাধ্যমিকে বসেছিল। সে বার মাত্র ৭ নম্বরের জন্য মেধা তালিকায় ঢুকতে পারেনি। তাই এ বার জেদ চেপেছিল তার। সকালে এইমস এন্ট্রান্সের জন্য রওয়ানা হওয়ার আগে শিলচর সরকারি বালক উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এসে সে জানায়, বাছ-বিচার নয়, পুরো বই খুটিয়ে পড়েছিল। এরই ফল হিসেবে ৫০০-তে ৪৭৭ পায়। আর একটি নম্বর বেশি পেলে প্রথম স্থানাধিকারী হয়ে যেত।
এর আগে শিলচর সরকারি বালক উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে স্থান আসে ১৯৮২ সালে। সে বার বিজ্ঞান শাখায় নবম হয়েছিল তন্দ্রা মিত্র। এই স্কুল এ বার বিজ্ঞান বিভাগে খুব ভাল ফল করে। মোট ৪৬জন পরীক্ষায় বসে। পাশ করে ৪২ জন। পাশের হার ৯১ শতাংশ। এর মধ্যে ২০ জনই প্রথম বিভাগে পাশ করেছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগে ক্রমে ১৬ ও ৬জন।