Barak Updates
গ্রাহক বাড়ছে, কর্মী নেই, শিলচরে ফেডারেল ব্যাঙ্ক কর্মীদের ধরনাConsumers increasing, shortage of staff, employees of Federal Bank sits for dharna
ব্যবসার প্রসার আর কর্মী সংকোচন একসঙ্গে চলতে পারে না । এই সমস্যার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে ক্রস সেলিংয়ের ব্যাঙ্কের নীতি । ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের ব্যাঙ্কিং এর বাইরেও অনেক রকম পরিষেবার বিপণি করার কথা বলা হচ্ছে । দিনের পর দিন ব্যাঙ্কে কর্মীসংখ্যা কমতে থাকায় কর্মীরা এমনিতেই কাজের চাপে জর্জরিত। তার ওপর ব্যাঙ্কের এই নীতি অনুসরণ করতে গিয়ে কর্মীদের নাভিশ্বাস উঠছে। স্বাভাবিক ব্যাঙ্কিং পরিষেবা প্রদানে ব্যাঘাত হচ্ছে । যার ফলে গ্রাহকরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। এছাড়া গ্রাহকদের উপর বিভিন্ন রকম সার্ভিস চার্জ বা পরিষেবা কর নানা কাজের ফাঁকে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে । জ্ঞাতে-অজ্ঞাতে গ্রাহকদের সেই বর্দ্ধিত কর বহন করতে হয় । নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থবির করে রাখা বা পরিষেবা কর ধার্য করার কারণ হিসাবে বলা হচ্ছে ব্যাঙ্কের খরচ কমানোর নীতি ।
অথচ একই ব্যাঙ্কে দিনের পর দিন হাজার হাজার কোটি টাকা কর্পোরেট অনাদায়ী ঋণ নিয়ে কোনও খেয়াল নেই। তরুণ নন্দী বলেন যে ব্যাঙ্কের এরকম ভ্রান্ত নীতির ফলে অনেক গ্রাহকই বিকল্পের খোঁজ করতে শুরু করেন। ব্যাঙ্কের নীতিই গ্রাহকদের ব্যাঙ্ক থেকে দূর করে দিচ্ছে । কর্পোরেট শ্রেণীর পৃষ্টপোষকতা করতে গিয়ে সাধারণ গ্রাহকদের স্বার্থহানি করা হচ্ছে । একটি বিশেষ শ্রেণীর গ্রাহকদের চিন্তা করে তৈরি ব্যাঙ্কের নীতি সাধারণ গ্রাহকদের স্বার্থের পরিপন্থী হয়ে যাচ্ছে । একই ভাবে ব্যাঙ্কের নীতির ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন ব্যাঙ্ককর্মীরাও। কর্মক্ষেত্রে তাঁদের বিভিন্ন রকম হয়রানীর সম্মুখীন হতে হচ্ছে । এমনকি নিজেদের প্রাপ্য অধিকার আদায়ে আন্দোলন করার জন্য পর্যন্ত তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ।
অবস্থা এতই খারাপ যে কর্মচারীদের অধিকার হরণে ব্যাঙ্ক আউটসোর্সিং বা ঠিকাভিত্তিক নিয়োগ নীতি গ্রহণ করেছে । ব্যাঙ্কের জনবিরোধী ও কর্মচারীবিরোধী এই সব নীতির সত্ত্বর বিলোপ ঘটানোর জন্য এদিন ফেডারেল ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয় । আসাম প্রভিশনাল ব্যাঙ্ক এমপ্লিয়েজ অ্যাসোসিয়েশনের কাছাড় জেলা কমিটির সম্পাদক ধীরঞ্জন ভট্টাচার্য ব্যাঙ্কের নীতির পরিবর্তনের দাবি করে আগামী দিনে এরকম আন্দোলনে সর্বশ্রেণির ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের সমর্থন থাকবে বলে মত প্রকাশ করেন।