AnalyticsBreaking News
নাগরিকত্ব/৩১ঃ ১২ নয়, আবেদনের পর ৬ বছরের অপেক্ষাCitizenship/31: Instead of 12, one needs to wait for 6 years after applying
(যৌথ সংসদীয় কমিটির অনুমোদন লাভের পর নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল ২০১৬ গত ৭ জানুয়ারি লোকসভায় পেশ হয়। ধ্বনিভোটে পাশও হয়ে গিয়েছে এটি। এ বার রাজ্যসভায় ওঠার কথা ছিল। শেষপর্যন্ত তা আনাই হয়নি। তবে সংসদে সুযোগ না থাকলেও বাইরে এ নিয়ে বিতর্ক চলতে থাকবে। এই প্রেক্ষিতে যৌথ সংসদীয় কমিটি যে ৪৪০ পৃষ্ঠার রিপোর্ট দিয়েছে, ওয়েটুবরাক পুরো রিপোর্ট ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করে চলেছে। আজ এর ৩১-তম কিস্তি।)
১৬ মার্চঃ ৩.১২ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, প্রস্তাবিত সংশোধনী বিল আইনে পরিণত হওয়ার পর যখন রুল তৈরি হবে, তখন তাতে প্রাসঙ্গিক আইনগুলির স্পষ্ট উল্লেখ থাকবে।
৩.১৩ যৌথ সংসদীয় কমিটিও দেখতে পেয়েছে, কোনও ওসিআই কার্ডহোল্ডার ভারতীয় আইন লঙ্ঘন করলে তার রেজিস্ট্রেশন বাতিলের কোনও বিধান বর্তমান মূল আইনের ৭(ডি) ধারায় নেই। তাই সরকার ৭(ডি) ধারার সংশোধনী চেয়েছে, যাতে কোনও ওসিআই এই আইন বা কোনও ভারতীয় আইন লঙ্ঘন করলে কেন্দ্রীয় সরকার তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে পারে। এই প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কিছু পক্ষ এবং বিভিন্ন রাজ্য সরকারের কয়েকজন প্রতিনিধি ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের মত ছোটখাটো অপরাধে যেন রেজিস্ট্রেশন বাতিল না হয়, সে আর্জি জানান। পরিষদীয় বিভাগ জানিয়েছে, এই সংশোধনীর ওপর নতুন রুল তৈরির সময় সুনির্দিষ্টভাবে আইনগুলির কথা উল্লেখ করা হবে। আইন বিষয়ক বিভাগও একই কথা জানায়। কমিটিও মনে করে, ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের মতো ছোটখাটো অপরাধে যেন ওসিআই কার্ডহোল্ডারদের অযথা হয়রানি করা না হয়। ৭(ডি) ধারার সংশোধনী নিয়ে কমিটির পরামর্শ, সংশোধনীর বয়ানটি হোক, ভারতীয় মূলের বিদেশি নাগরিকরা ওসিআই কার্ড পেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত নির্দিষ্ট ভারতীয় আইনগুলির কোনওটি লঙ্ঘন করলে..,
৩.১৪ এ ছাড়া, ব্যবস্থা গ্রহণের আগে ওসিআই কার্ডহোল্ডাররা যেন তাদের মতামত জানাতে পারেন, এই দাবির প্রেক্ষিতে কমিটির প্রস্তাব, ৭(ডি)-র এফ অনুচ্ছেদে লেখা হোক, ওসিআই কার্ডহোল্ডারদের বক্তব্য না শুনে এই ধারায় কোনও নির্দেশ জারি হবে না।
৩.১৫ কমিটি লক্ষ্য করেছে, ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২৬ লক্ষ ওসিআই কার্ড ইস্যু হয়েছে। বিদেশি নাগরিকদের অনেকে জালিয়াতির সাহায্যে এই কার্ড পেতে চেষ্টা করে, জেনে কমিটি উদ্বিগ্ন। ওসিআই কার্ডের অপব্যবহার সম্পর্কে কোনও পরিসংখ্যান না পেলেও আইবি-র ডিরেক্টর যে জবাব দিয়েছেন, কমিটি তাতে সন্তুষ্ট নয়। ডিরেক্টর বলেছিলেন, এই অপব্যবহারের পরিমাণ অতি নগণ্য। ওসিআই কার্ড পেলেই যেহেতু কিছু সুবিধা পাওয়ার অধিকারী হন, তাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও বিদেশ মন্ত্রককে ওসিআই কার্ডের জন্য রেজিস্ট্রেশনের আবেদনটা থুব ভাল করে পরীক্ষা করতে হবে, যাতে অন্য কারও হাতে এই কার্ড না পড়ে, এই কার্ডের যেন কোনও অবস্থায় অপব্যবহার না হয়।
৪. তৃতীয় তফশিলের সংশোধন
৪.১ মূল আইনের তৃতীয় তফশিলের ডি উপধারায় নিম্নলিখিত অংশ জুড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেঃ আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টানদের ক্ষেত্রে ভারতে নাগাড়ে বসবাসের সময়সীমায় অন্তত ১১ বছরের স্থলে অন্তত ৬ বছর পড়তে হবে।
৪.২ এর উদ্দেশ্য হল, এই তিন দেশ থেকে আসা সংখ্যালঘুদের ভারতে বসবাসের সময়সীমা সংক্রান্ত যোগ্যতায় কিছুটা ছাড় দেওয়া। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক প্রস্তাবিত সংশোধনী সম্পর্কে জানায়, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের যে সব সংখ্যালঘু ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে বা ধর্মীয় নির্যাতনের ভয়ে ভারতে প্রবেশ করেছেন এবং ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের ৫(১) ধারায় ভারতের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, তাঁরা তাঁদের মাতাপিতা অবিভক্ত ভারতে জন্মেছিলেন, এমন কোনও প্রমাণপত্র দাখিল করতে পারেন না। এই অবস্থায় তারা ৫(১)(এ) ধারায় আবেদনের পরিবর্তে ৬(১) ধারায় আবেদন করবেন। বর্তমান আইনে সে জন্য লাগাতার ১২ বছর ভারতে বসবাস করতে হবে। সংশোধন করে তা কমানোর কথা বলা হয়েছে, যাতে উক্ত ক্যাটাগরির আবেদনকারীরা কিছুটা ছাড় পেতে পারেন।
চোখ রাখুন—————নাগরিকত্ব/৩২ঃ ৬ বছরের চেয়ে কম ঠিক হবে না, বলল জেপিসি