AnalyticsBreaking News

নাগরিকত্ব/২০ঃ নানা সংগঠন, জনপ্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেছে জেপিসি
Citizenship/20: JPC interacted with various organisions, public representatives & experts

(যৌথ সংসদীয় কমিটির অনুমোদন লাভের পর নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল ২০১৬ গত ৭ জানুয়ারি লোকসভায় পেশ হয়। ধ্বনিভোটে পাশও হয়ে গিয়েছে এটি। এ বার রাজ্যসভায় ওঠার কথা ছিল। শেষপর্যন্ত তা আনাই হয়নি। তবে সংসদে সুযোগ না থাকলেও বাইরে এ নিয়ে বিতর্ক চলতে থাকবে। এই প্রেক্ষিতে যৌথ সংসদীয় কমিটি যে ৪৪০ পৃষ্ঠার রিপোর্ট দিয়েছে, ওয়েটুবরাক পুরো রিপোর্ট ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করে চলেছেআজ এর ২০-তম কিস্তি।)

৪ মার্চঃ ৩৭. ১৯৫০ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি উদ্বাস্তুদের বোঝা মেনে নিয়েছে। ১৯৭১-র পরও এই রাজ্যগুলিতে অনু্প্রবেশ ঘটেই চলেছে। তাতে জনবিন্যাসে পরিবর্তন এসেছে, আদি বাসিন্দাদের ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীগুলি অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ছে। এই বিল পাস হলে এবং ধর্মের ভিত্তিতে বাংলাদেশিরা আসার সুযোগ পেয়ে গেলে আদি বাসিন্দাদের বেঁচে থাকাই মুশকিল হয়ে পড়বে।

১.২৬ স্মারকপত্র গ্রহণ এবং স্টাডি ভিজিট ছাড়াও যৌথ সংসদীয় কমিটি জনপ্রতিনিধি, বিশেষজ্ঞ এবং বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কথা বলেছে। সেগুলিকেও রেকর্ড করা হয়েছে। ২০১৬ সালের ৩ অক্টোবর, ১৩ অক্টোবর, ২৫ অক্টোবর এবং ২০১৮ সালের ১৭ এপ্রিল তাঁদের আহ্বান করা হয়েছিল। বেসরকারি সাক্ষ্যদাতাদের নাম অষ্টম সংযোজনীতে উল্লেখ করা হল।

১.২৭ প্রস্তাবিত সংশোধনী নিয়ে সরকারের মতামত জানতে কমিটি ২০১৬ সালের ২৬ অক্টোবর অসম, বিহার, গুজরাট, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতিনিধিদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে।

১.২৮ কমিটি স্বরাষ্ট্র, আইন ও বিচার (আইন সম্পর্কীয় ও পরিষদীয়) এবং বিদেশ মন্ত্রকের কাছ থেকে ব্যাকগ্রাউন্ড নোট, লিখিত প্রশ্নের জবাব, পোস্ট-এভিডেন্স ইনফরমেশন ও ক্লেরিফিকেশন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করেছে। উল্লিখিত মন্ত্রক বা বিভাগের প্রতিনিধিদের সাক্ষ্যও গ্রহণ করা হয়। কথা বলা হয় ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো এবং রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইংয়ের সঙ্গেও। ২০১৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর, ৩ অক্টোবর, ২০১৭ সালের ২২ মার্চ এবং ২০১৮ সালের ২৩ অক্টোবর—যে দিনই যাকে ডাকা হয়েছে, তাঁরা উপস্থিত হয়েছেন।

কমিটি কবে কাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করল, তা টেবিলে দেওয়া হল।

১.২৯ সরকারি ও বেসরকারি সাক্ষ্যদাতাদের লিখিত ও মৌখিক সাক্ষ্য, স্টাডি ভিজিটে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন সূত্রের বিশাল পরিমাণ স্মারকলিপির উপর ভিত্তি করে কমিটি বিলটিকে খুব ভালো করে পরীক্ষা করে এবং প্রয়োজনীয় মতামত, পরামর্শ প্রদান করে।

১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের ২(১)(বি) ধারার সংশোধনী

২.১ ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের ২(১)(বি) ধারায় অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বলতে বোঝানো হয়েছে, সেই সব বিদেশিদের, যারা

১. কোনও বৈধ পাসপোর্ট বা অন্য কোনও ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট বা আইনসিদ্ধ এই ধরনের কোনও নথি ছাড়া ভারতে প্রবেশ করেছে।

২. বৈধ পাসপোর্ট বা অন্য কোনও ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট বা আইনসিদ্ধ এই ধরনের কোনও নথি নিয়েই ভারতে প্রবেশ করেছে, কিন্তু নির্দিষ্ট মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পরও ভারতে থেকে যাচ্ছে।

২.২ ২০১৬ সালের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের ২(১)(বি) ধারায় প্রস্তাব করা হয়েছে, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টান— এই সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর মানুষেরা যারা কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারা বা ১৯২০ সালের পাসপোর্ট (এন্ট্রি ইনটু ইন্ডিয়া) অ্যাক্টের ৩ (২)(সি) দ্বারা বা ১৯৪৬ সালের ফরেনার্স অ্যাক্ট বা অন্য কোনও নির্দেশিকায় ছাড় পেয়েছেন, তারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত হবেন না।

২.৩ এই সংশোধনীর উদ্দেশ্য হচ্ছে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টান— এই সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর মানুষেরা যারা নিজের দেশে ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে বা ধর্মীয় নির্যাতনের ভয়ে ভারতে এসে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন, তারা যেন ভারতের নাগরিকত্ব লাভ করেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker