Barak UpdatesIndia & World UpdatesBreaking News
Christians of Barak Valley are unconcerned about the CAAসংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ভাবছেন না বরাকের খ্রিস্টানরা
২৬ ডিসেম্বর: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে হিন্দু এবং অন্য ৫ ধর্মীয় গোষ্ঠীর সঙ্গে খ্রিস্টানদের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে৷ কিন্তু এ নিয়ে তাদের মধ্যে হিন্দুদের মত উচ্ছ্বাস নেই৷ বরং মিজোরাম, মেঘালয়ের মত বিভিন্ন রাজ্যে খ্রিস্টানদের এই আইনের বিরোধিতা করতেই দেখা গিয়েছিল৷ অসমে বরাক উপত্যকার খ্রিস্টানরা না এর পক্ষে রয়েছেন, না বিপক্ষে৷ বুধবার বড়দিনে তাঁরা বিশেষ প্রার্থনা সহ নানা অনুষ্ঠানে সামিল হলেও কোথাও ক্যা নিয়ে চর্চা নেই৷
শিলচর প্রেসবেটিরিয়ান চার্চের প্যাস্টর রেভারেন্ড বি জোবিয়াক্ত লোয়াঙ্গা বললেন, নাগরিকত্ব বিল বা আইন নিয়ে এখানকার খ্রিস্টানরা মাথা ঘামান না৷ একই কথা বললেন পেইতে সাকাচেপ, তমসা আহমেদও৷ সেটেলমেন্ট কর্মী সাকাচেপ বাঙালি বিয়ে করেছেন৷ তবু তাঁর মধ্যে ক্যা নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া নেই৷ তমসা বললেন, খ্রিস্টানদের কয়জনের আর এই আইনে নাগরিকত্বের প্রয়োজন! তাই তাঁরা ওইসব নিয়ে ভাবেন না৷
এই কথার সূত্রেই শিলচরের গ্রেস ইংলিশ স্কুলের অধ্যক্ষ জেকব আহমেদ জানান, এখানে খ্রিস্টানদের কেউ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করছেন না বটে, কিন্তু উচ্ছ্বাসেরও কারণ নেই৷ কোনও খ্রিস্টানের এই আইনের সুবিধা নেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না৷ বরং হিন্দু বাঙালিরা এর সুবিধা নিয়ে মিজোরাম, মেঘালয়ের মত রাজ্যে খ্রিস্টানদের সংখ্যালঘু করে দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে৷
এই আশঙ্কাতেই খ্রিস্টান অধ্যুষিত উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে আন্দোলন মাথাচাড়া দিয়েছিল৷ ইনার লাইন পারমিট ভুক্ত রাজ্যগুলোতে এই আইন কার্যকর হবে না বলে ঘোষণা করে কেন্দ্র তা নিয়ন্ত্রণে আনে৷ মণিপুর এবং ত্রিপুরায় আন্দোলনকারী জনজাতিদের মধ্যেও খ্রিস্টানরা ছিলেন৷ তাদেরও কাউকে ইনার লাইন, কাউকে ষষ্ঠ তফশিল দেখিয়ে এই আইনের বাইরে রাখা হয়৷