Barak UpdatesBreaking News
বহু অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উধাও, দুশ্চিন্তায় গ্রাহকরাConsumers worried, ATM forgery: Banks unconcerned
একই কায়দায় দুষ্কৃতীরা ১৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে শিমূলকুমার দেবের। যোগময় দাসের টাকা আবার তাঁদের মত সেভিংস অ্যাকাউন্টে নয়, ছিল ফিক্সড ডিপোজিটে। দুষ্কৃতীরা মেয়াদ পূর্তির আগেই ১৪ লক্ষ টাকারজাল ফিক্সড ডিপোজিট তৈরি করে টাকা সরিয়ে নেয়।
তিনজনই অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী। স্টেট ব্যাঙ্কের গ্রাহক। কিছুদিনের মধ্যে তাঁদের মোট ৪৮ লক্ষ খোয়া গিয়েছে। পুরো টাকাই সরানো হয়েছে নেটব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে। এইসব ঘটনায় চিন্তায় অন্যান্য গ্রাহকরা। তাঁরা প্রশ্ন তুলছেন, সরকার ডিজিটাল লেনদেনের কথা বললেও মানুষের সঞ্চিত অর্থ সুরক্ষার ব্যবস্থা করছে না কেন?
যোগময় দাস, শিমূলকুমার দেব ও লুতফা আরা চৌধুরী তিনজনই জানান, সারা জীবনের সঞ্চিত অর্থ লুটে নিয়েছে দুষ্কৃতীরা। অবসরের পর এককালীন প্রাপ্ত টাকাও খোয়া গিয়েছে। পুলিশ তদন্তে নামলেও এ পর্যন্ত কোনও দুষ্কৃতীকে ধরতে পারেনি। তিনটি ঘটনাই অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের সঙ্গে ঘটায় বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন সক্রিয়পন্থী প্রবীণ নাগরিক মঞ্চ। তাঁরা প্রবীণ নাগরিকদের নেটব্যাঙ্কিং বন্ধ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। সে জন্য ব্যাঙ্ককে চিঠি লিখতেও বলেন। মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক দিলীপকুমার দে নিজে আজ তাঁর অ্যাকাউন্টে নেটব্যাঙ্কিং বন্ধ করান। মঞ্চের পক্ষ থেকে রিজিয়নাল ম্যানেজারকে স্মারকপত্র দিয়ে দ্রুত তাঁদের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান। সেইসঙ্গে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি রাখেন।
গ্রাহকদের অধিকাংশের অভিযোগ, ব্যাঙ্ককর্মীদের সহযোগিতা ছাড়া এইভাবে টাকা সরিয়ে নেওয়া অসম্ভব। পুলিশেরও সন্দেহ, সেভিংস ব্যাঙ্কের টাকা সরানো সহজ হলেও ফিক্সড ডিপোজিট জাল করা, পরে তা নেটব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে সরিয়ে নেওয়া শুধু বাইরের মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়।