Barak UpdatesBreaking News
চিড়িয়াখানা হচ্ছে কাছাড়ে, হবে বন্যজন্তুর উদ্ধার-পুনর্বাসন কেন্দ্র-হাসপাতালCachar to get a zoo soon, Forest Minister Parimal Suklabaidya takes special initiative
৮ আগস্টঃ কাছাড় জেলায় চিড়িয়াখানা তৈরির তোড়জোড় চলছে। বনমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য নিজেই এ ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছেন। ডেকে আনেন দুই চিড়িয়াখানা বিশেষজ্ঞকে। বেশ কিছুদিন এখানে অবস্থান করেন তারা। চিড়িয়াখানা সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় খুঁটিয়ে দেখেন। এখন উপযুক্ত জমির সন্ধান চলছে।
বরাক উপত্যকায় কিছুদিনের মধ্যে আটটি সাপ ধরা পড়েছে। বেশির ভাগই অজগর। মঙ্গলবারও গুমড়া বাজারে একটি অজগর ধরা পড়ে। একটি কিং কোবরা-ও রয়েছে ওই তালিকায়। রামশেয়াল, হরিণদের তো প্রায়ই লোকালয়ে দেখা যায়। গ্রামের মানুষ কেউ ভয়ে, কেউ শখে তাদের পেছনে লাগে। খোঁচাখুচি, মারধর চলে। অধিকাংশ জন্তুই শেষপর্যন্ত মারা যায়। দুষ্প্রাপ্য পাখি ধরেও বাঁচিয়ে রাখা যায়নি। বিষাক্ত জন্তুগুলিকে বড়াইল অভয়ারণ্যে নিয়ে ছাড়া হয়। পরবর্তীতে এরা বেঁচে রয়েছে কিনা, সে খবর কেউ রাখেন না। সেখান থেকেই দাবি ওঠে এই অঞ্চলে একটি বন্যজন্তুর উদ্ধার ও পুনর্বাসন কেন্দ্র হোক। সঙ্গে প্রশাসনের তরফে জুড়ে যায় চিড়িয়াখানা, পশু হাসপাতাল। কিন্তু জমি খোঁজার বেলায় চিড়িয়াখানাই বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।
বনমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য বলেন, প্রজেক্ট রিপোর্ট সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু উদ্ধার ও পুনর্বাসন কেন্দ্র তৈরি করলে জমি নিয়ে সমস্যা ছিল না। সংরক্ষিত বনাঞ্চলে এর উপযোগী প্রচুর জমি রয়েছে। কিন্তু চিড়িয়াখানাও যে করতে হবে! সে জন্য শহরের কাছাকাছি জমি চান তিনি। পরিমলবাবুর কথায়, নইলে কে আর যাবে পশুপাখি দেখতে। তিনি আশাবাদী, জমি সমস্যা হবে না। তাই পরিমলবাবু বিশেষজ্ঞদের ডাকাডাকি শুরু করেছেন। নেভিল বাক লন্ডন থেকে আসেন। নয়ন খানোলকর মুম্বাইর বাসিন্দা। দুজনই বনাঞ্চল ও আশেপাশের গ্রামগুলি ঘুরে দেখেন। মন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক কাজকর্ম সেরে নিতে পারলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে জু অথরিটি গঠন করা হবে। বাকি কাজ তারাই এগিয়ে নিয়ে যাবেন।