Barak UpdatesBreaking News
রাজস্থানি বিজেপি নেতাও বাদ এনআরসি থেকে!BJP leader of Rajasthan origin excluded from NRC!
২ জুলাই: রাজস্থানি বিজেপি নেতাকেই এনআরসি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশি বলে সন্দেহ করল! শিলচর পুরসভার গত নির্বাচনে পবনকুমার রাঠি বিজেপি টিকিটে দাঁড়ান। জিততে পারেননি বটে। তবে দল তাকে শহর কমিটির উপসভাপতি মনোনীত করে। এ সব অবশ্য এনআরসি কর্তৃপক্ষের জানার কথা নয়। আর জানলেও এনআরসির সঙ্গে বিজেপি, কংগ্রেসের ব্যাপার নেই। কিন্তু রাজস্থানি পরিচয়ে তিনি ছাড় পেয়ে যাওয়ারই কথা। এনআরসির কঠিন তথা প্রধান শর্ত হচ্ছে, ১৯৭১ সালের আগের সরকারি নথিপত্র থাকা চাই।
বাংলাদেশি চিহ্নিত করাই প্রক্রিয়াটির মূল লক্ষ্য বলে অ-বাঙালিদের ক্ষেত্রে সহজতম শর্ত ছিল, তার আদি বাড়ি যে বাংলাদেশ সীমান্তের কোনও রাজ্যে নয়, তার প্রমাণ দেওয়া। সে যে সালের নথিই হোক। সহজ বা কঠিন– কোন শর্ত পূরণই বাকি রাখেননি পবনবাবু। শুধু ১৯৭১ সাল নয়, ১৯৫৬ সালে বাবা রামচন্দ্র রাঠির কেনা জমির দলিল দিয়েছেন। তাও রাজস্থানের জমি। এ ছাড়া, তার জন্ম, স্নাতক স্তর পর্যন্ত পড়াশোনা সবই সেখানে। ওইসব দেখেই তার নিজের ও ২৯ বছরের মেয়ে অঙ্কিতার নাম উঠেছিল এনআরসির প্রথম তালিকায়। ছিল দ্বিতীয় তথা চূড়ান্ত খসড়াতেও। পবনবাবু বিস্মিত, সেই নাম কাটা পড়ল কীভাবে।
এনআরসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ডি ভোটার বা বাংলাদেশি সন্দেহে ট্রাইব্যুনালে যাদের বিরুদ্ধে মামলা চলছে বলে বা যাদের ট্রাইব্যুনাল বিদেশি বলে রায় দিয়েছে তাদের অনেকের নাম এনআরসিতে উঠে গিয়েছিল। নতুন বা অতিরিক্ত খসড়া প্রকাশ করে তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, নিজের নাম এআরসিতে উঠে গেলেও যাদের ভাই-বোন কেউ নাগরিকত্ব প্রমাণে ব্যর্থ, তাদের নামও ছাঁটা হয়েছে এ বার। পবনবাবুর বেলায় কোনওটি কাজে আসে না। তাহলে কী করে চলে এলেন পবন-অঙ্কিতা বাদের খাতায়! কারও কাছে জবাব নেই।
জেলাশাসক লায়া মাদ্দুরি সাংবাদিকদের লিখে দিয়েছেন, তালিকা সংক্রান্ত কোনও জবাব দেওয়া কর্তৃপক্ষের বারণ। পবনবাবু নিশ্চিত, পুনরাবেদন ও শুনানিতে নথিপত্র দেখালে সব ঠিক হয়ে যাবে! কিন্তু কেন তাকে ভুগতে হবে! প্রথম বা দ্বিতীয় খসড়ায় ভুলের সম্ভাবনা ছিল, যেহেতু কোটি কোটি নাম প্রকাশ করতে হয়েছে। এবার তো মাত্র ১ লক্ষ ২ হাজার ৪৬২ জনের নাম। সময় মিলেছে ১ বছর। তাও পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা করা গেল না! তাঁর কথায়, আমার অসহায় অবস্থাটা আরেকটু বেশি। নিজে হয়রানির শিকার হয়ে মানুষকে কীভাবে বলব, এনআরসির মাধ্যমে একটা ভালো কাজ হচ্ছে!