CultureBreaking News
বিক্রমজিৎ থেকে বাউলিয়া : এক সঙ্গীতময় যাত্রাBikramjit to Baulia: A Musical Journey
এমন কথা অনেকেই বলেন যে, বুদ্ধিমত্তা বা জ্ঞান থেকেও সংগীতের প্রকাশ অনেক বেশি আবেগময়। ভারতেই যদি আমরা পূর্বোত্তরের দিকে এগিয়ে যাই, সেখানে আমরা দেখব, মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, চোখে পড়বে দিগন্ত বিস্তৃত ভূমি, যেন স্বর্গ নেমে এসেছে এখানে, আর অবশ্যই তার সঙ্গীত। একটা সময় এমন ছিল যখন বরাক উপত্যকা তথা দক্ষিণ আসামে বসবাসকারী মানুষ ভালো গান শোনার জন্য কলকাতা মুখাপেক্ষী ছিলেন। এমনকি উপত্যকার বাঙালি অধ্যুষিত গানের বাজারও ছিল কলকাতা কেন্দ্রিক। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের এ অঞ্চলের শিল্পীরাও সঙ্গীত জগতে নিজেদের জাত চিনিয়ে দিতে পেরেছেন। নতুন প্রজন্মের শিল্পীরা স্থানীয়ভাবে গানের অ্যালবাম তৈরি করছেন এবং এগুলোর গুণগত মান বাইরের তুলনায় কোনও অংশে কম নয়। এমনই এক তরুণ প্রতিভা, যার গানের মধ্যে রয়েছে শ্রোতাদের সম্মোহিত করার জাদু, তিনি বিক্রমজিৎ। টিম way2barak-এর সাংস্কৃতিক বিভাগ শিল্পী বিক্রমজিৎ বাউলিয়ার সঙ্গে তাঁর সঙ্গীত জীবনের সফর নিয়ে কথা বলেছে। এখানে রয়েছে তাঁরই এক সাক্ষাৎকারভিত্তিক প্রতিবেদন।
w2b : Hello বিক্রমজিৎ, তোমার সঙ্গীত জীবনের পথচলার বিষয়ে আজ তোমার সঙ্গে কথা বলতে পেরে সত্যিই ভাল লাগছে।
বাউলিয়া : way2barak-কে ধন্যবাদ। পাঠকদের সামনে আমার সঙ্গীত জীবনের পাতা খুলে ধরার সুযোগ দেওয়ার জন্য।
w2b : Bikramjit, প্রথমেই জানতে চাইব, তোমার পরিবার ও ফেলে আসা জীবন সম্পর্কে।
বাউলিয়া : শিলচর মালুগ্রামের এক যৌথ পরিবারে আমার জন্ম। আমার বাবা অভিজিৎ কর ও মা সন্ধ্যা কর গান খুব ভালোবাসেন। আমার জেঠু রঞ্জিত করও খুব ভালো গান গাইতেন। আমার ঠাকুরদা প্রয়াত রাকেশলাল করও খুব ভালো এসরাজ বাজাতেন। ফলে সঙ্গীতের সঙ্গে আমার পরিবারের একটা নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। যখন আমি ছোট ছিলাম, স্মৃতির সরণি বেয়ে এখনও আমার মনে পড়ে, তখন ২৫ শে বৈশাখের আগে অর্থাৎ কবির জন্মদিনের অনুষ্ঠানের রিহার্স্যাল হতো আমাদের বাড়িতে। যখন বড় হয়ে উঠলাম, শেষ সময় আমার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল দুর্গাপূজার সময় মালুগ্রাম ভৈরব বাড়ির সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আমার এখনও মনে আছে, অনুষ্ঠানের আয়োজন করত স্থানীয় সুরভী সাংস্কৃতিক সংস্থা। কখনও মঞ্চে শিল্পীদের অনুষ্ঠান দেখে আমারও মঞ্চে অনুষ্ঠান করার ইচ্ছে হতো, কিন্তু সেটা খুব একটা সহজ বিষয় ছিল না ওই সময়টাতে আমি ফাইন আর্টস ও ফ্যাশন ডিজাইনিং-এর দিকে খুব বেশি ঝুঁকে পড়েছিলাম এবং এটিকে ক্যারিয়ার হিসেবে গ্রহণ করতে চেয়েছিলাম।
w2b : তাহলে কীভাবে গানের জগতে প্রবেশ করলেন?
বাউলিয়া : এটি আমার জীবনের আরেকটি অন্যতম ঘটনা। গান সবসময়ই আমার ভেতরে ছিল। জন্মদিনে পাওয়া উপহারের টাকা দিয়ে আমি একটি ওয়াকম্যান কিনেছিলাম। আমার এখনও মনে আছে, পকেট মানি বাঁচিয়ে কীভাবে আমি তা দিয়ে ক্যাসেট কিনতাম। ২০০৩ সালে এক অর্কেস্ট্রা program-এ আমি প্রথম গান গাই, কিশোর কুমারের গাওয়া ”আজ এই দিনটাকে মনের খাতায় লিখে রাখো”।
জীবনের এই সময়টাতেই মঞ্চে অনুষ্ঠান করার একটা আগ্রহ মনের মধ্যে তৈরি হয়েছিল। তবে উচ্চ মাধ্যমিকের পর আমি আশাহত হয়ে পড়েছিলাম। কারণ আর্থিক সংকটের জন্যই ওই সময় ফ্যাশন ডিজাইনিং কোর্সে ভর্তি হতে পারিনি। সম্ভবত এটি আমার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট। কারণ এরপরই আমি সিদ্ধান্ত নেই যে, সংগীতকেই আমার ক্যারিয়ার হিসেবে গ্রহণ করব। আমার বোনেরা গান গাইত এবং আমি তাদের সঙ্গে বসে গাওয়ার চেষ্টা করতাম। আপনি বলতে পারেন সঙ্গীতকে ক্যারিয়ার হিসেবে গ্রহণ করার যাত্রা শুরু হয় ২০০৫-০৬ সালে।
w2b : ঠিক আছে Bikramjit, আপনি এখন আমাদের বলুন সঙ্গীতের দুনিয়ায় প্রবেশ করতে নিজেকে কিভাবে তৈরি করেছেন ?
বাউলিয়া : টক-ঝাল-মিষ্টি সেই দিনগুলির কথা আমার এখনও মনে পড়ে। গান শেখার জন্য আমি সেসময় উপত্যকার বেশ কয়েকজন নামিদামি সংগীত শিক্ষকের কাছে গিয়েছিলাম। কিন্তু কেউই আমাকে ছাত্র হিসেবে গ্রহণ করতে রাজি হননি। বরং তারা বলেছেন, আমি প্রায় ২০ বছরের দোরগোড়ায় এবং তাদের বক্তব্য অনুযায়ী এই বয়সে গান শেখা কোনওভাবেই সম্ভব নয়। এরপরই হাইলাকান্দির নির্ঝর শর্মার সঙ্গে আমার দেখা হলো। আমাকে এ ব্যাপারে সঠিক পথ দেখানোর জন্য আমি নির্ঝরদাকে বলেছিলাম। নির্ঝরদা আমাকে সেদিন তাপস শংকর দেবের কাছে নিয়ে গিয়েছিল এবং তখন থেকেই আজ পর্যন্ত আমি তাঁর কাছেই গান শিখছি। আমি গান ভালোবাসি বলে শিখছি, পরীক্ষা দেবার জন্য নয়।
২০০৭ সালে মালুগ্রাম ভৈরব বাড়িতে এক অনুষ্ঠানে আমি গেয়েছিলাম, ‘সবাই তো সুখী হতে চায়’। ওই সময়টাতে মঞ্চে গান গাওয়ার জন্য আমার নাম ঘোষণা করলে বন্ধু এবং সমালোচকরা হাসাহাসি করত। এই সমালোচনা আমাকে আরও ভালো গাওয়ার প্রেরণা দিয়েছে। আমি যেকোনও গঠনমূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানাই।
w2b : আপনি কি ধরনের গান বেশি পছন্দ করেন?
বাউলিয়া : খুব কঠিন গানগুলো ছাড়া আমি সব ধরনের গান শুনতে ভালোবাসি। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে গাই লোকগান, তবে তাই বলে আমি যে অন্য গান শুনি না, তা কিন্তু নয়।
w2b : একটা কথা অনেকেই বলেন, শিশুরা যদি হিন্দি গান গায় তাহলে তাদের স্বর নষ্ট হয়ে যায়। এটা কি সত্যিই কোনও বিষয় না অলীক কল্পনা?
বাউলিয়া : এটা মোটেই সত্য নয়। কারণ একজন ভার্সেটাইল সিঙ্গার হতে গেলে একজন শিল্পীর সব ধরনের গানের সাধারণ ধারণা থাকতে হবে। আরেকটা বিষয়ে আমি বলব যে, এই উপত্যকায় একটা ধারণা রয়েছে অর্কেস্ট্রা ভালমাপের কোনও অনুষ্ঠান নয়। এটা কিন্তু ঠিক নয়। আসলে কেউই জানেন না, অর্কেষ্ট্রার সঠিক সংজ্ঞা কী। আমরা যাকে অর্কেস্ট্রা বলি, তা আসলে মিউজিশিয়ানদের ব্যান্ড। অর্কেস্ট্রা শব্দটি বৃহত্তর অর্থে ব্যবহার করা হয়।
এর অর্থ হলো শাস্ত্রীয় সংগীতের জন্য বহু যন্ত্রের সমাহার, যা বিভিন্ন ধারার যন্ত্রকে অনায়াসে মিশিয়ে দিতে পারে।
এর মধ্যে যেমন রয়েছে তারযন্ত্র বেহালা, সেলো ইত্যাদি, আবার রয়েছে পারকাশনের মতো যন্ত্রও। তাছাড়া পিয়ানো বা সেলেস্তার মতো যন্ত্রগুলোকেও মাঝে মাঝে দেখা যায় পঞ্চম কি বোর্ড সেকশনে বা আলাদাভাবে। কিছু আধুনিক কম্পোজিশনে এই যন্ত্র বা ইলেট্রনিক বাজনাগুলো ব্যবহার করা হয়। এ ধরনের গানের ক্ষেত্রে প্রায় ৭০ থেকে ১০০ জন মিউজিশিয়ানকে নিয়োগ করা হয়। তবে তা কী বাজানো হবে বা বাজানোর স্থান কতো বড় তার ওপর সংখ্যা নির্ভর করে।
w2b : লোকগানের দিকে আপনার ঝোঁক কীভাবে গেল ?
বাউলিয়া : একেবারে ছোটবেলায় লোকগানের প্রতি আমার ভালোবাসা তৈরি হয়ে গিয়েছিল। স্কুলেও আমি নির্মলেন্দু চৌধুরীর গান গেয়েছিলাম। আমার এখনও মনে আছে, আকাশবাণীর অনুষ্ঠানে সপ্তাহে তিন দিন তাঁর গান শোনার জন্য আমি অপেক্ষা করে থাকতাম। এর পাশাপাশি আমি আমার বাবা ও কাকার কাছ থেকে বাংলাদেশে থাকা আমাদের পূর্বজদের বিভিন্ন গল্প শুনতে খুব পছন্দ করতাম। আপনি বলতে পারেন প্রকৃতির সঙ্গে টানটা আমার এখান থেকেই শুরু। আমাদের দেশ ভারতবর্ষ বিভিন্ন সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মিলনভূমি এবং এই বৈচিত্র্যই একে উন্নত করেছে এবং তা ভারতের লোকসংস্কৃতিকে ক্রমশ সমৃদ্ধ করে তুলছে। প্রতিটি অঞ্চলেরই নিজস্ব লোকসংস্কৃতি রয়েছে এবং তারই সংঘবদ্ধ প্রতিফলন ঘটছে বৃহত্তর ভারতীয় সমাজে।
w2b : বিক্রমজিৎ কর কীভাবে হয়ে গেলেন বিক্রমজিৎ বাউলিয়া?
বাউলিয়া : ২০১৩ সালে আমার গানের অ্যালবাম ‘বাউলিয়া’ মুক্তি পায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই অ্যালবামটি দারুণ সাড়া ফেলেছিল। আমার কয়েকজন বন্ধু আমাকে পরামর্শ দিল, ‘বাউলিয়া’ সাফল্যের শিখরে ওঠা একটি শব্দ এবং আমার নামের সঙ্গে এই শব্দটিকে জুড়ে দেওয়া উচিত। আর এভাবেই বিক্রমজিৎ কর হয়ে গেলেন বিক্রমজিৎ বাউলিয়া। এই নতুন নামটি সবাই পছন্দ করেছেন এবং গ্রহণও করেছেন। শুধু বরাক উপত্যকায় নয়, কলকাতায়ও মানুষের পছন্দ বাউলিয়া।
It has been said that music is more of an emotional expression than intelligence or knowledge. In India, as we move towards the eastern zone, we come across the beauty of nature, the incredible land, a paradise unexplored to a large extent, and so is its music. There was a time, when we the inhabitants of South Assam, that is, Barak Valley used to look forward towards Kolkata for listening to some good music. Even the commercial music market in Bengali dominated areas of the valley was Kolkata centric. But with the change of time, artists from our part of the country started registering themselves in the world of music. Young talents are bringing out music albums which are made locally but liked universally. One such household name which has the potential of mesmerizing his audience with his honey-soft voice is Bikramjit Baulia. The cultural wing of team way2barak (w2b) in a candid discussion with Bikramjit spoke about his musical journey of life.
w2b: Hello Bikramjit, we are glad to be able to talk with you about your unique experience in this musical journey of life.
Baulia: Thanks to team way2barak for providing me this opportunity to open the pages of the book of my life before your readers.
w2b: So Bikramjit, to begin with, first tell us something about your family background and your early life?
Baulia: Well, I was born in a joint family at Malugram, Silchar. My parents Abhijit Kar and Sandhya Kar loved music a lot. My uncle (Jethu) Ranjit Kar used to sing very well. My grandfather Late Rakesh Lal Kar played Eshraj very well. There was a tradition of performing music within the ambit of our family. As I child, my memory goes down the memory lane when in the courtyard of our house rehearsal for celebration of “25 Baisakh” (Birthday of Rabindranath Tagore) were held. As I grew up, one of the major attractions was the cultural programme at Malugram Bhairab Bari during the occasion of Durga Puja. I also very well remember the functions organized by ‘Surabhi’ cultural organization of our locality. Though sometimes seeing the performances of the artists, I too aspired to sing on the stage, but that was never a serious mission. At that period of time, I was more interested in Fine Arts & Fashion Designing and aspired to make a career in either or the one profession.
w2b: So how did you enter the world of music?
Baulia: This is another interesting aspect of my life. Music was always there within me. I purchased a walkman with the money which I used to get from my relatives during birthdays. I still remember how I used to save the pocket money and spend it for buying cassettes. The 1st song which I sang in an orchestra was Kishore Kumar’s “A jai din take moner khatay” in 2003. It was at this phase of my life that there developed a desire to perform in the stage. However, after completing Higher Secondary, I became a bit frustrated. I could not seek admission to the long cherished course of ‘Fashion Designing’ due to financial constraints.
This was probably the turning point in my life as I then decided to pursue a career in music. My sisters used to sing and I sat along with and tried to learn. You can say that my temptation for music as a career on a serious note started from 2005-06.
w2b: Well, Bikramjit, tell us something about how did you prepare yourself for entering into the world of music?
Baulia: I still remember those days both because of some sweet and sour memories. In order to learn music, I went and met with many renowned music teachers of out valley. But unfortunately, all of them refused to take me as a student citing the reason that I was then almost approaching 20 years of age and according to them it will not be possible to learn music at that age. It was then that I met Nirjhar Sharma of Hailakandi. I am really indebted to Nirjharda for showing me the right path. He took me to Sri Tapash Shankar Deb and since then I am learning music under the able guidance of Deb Sir. I learn music because I love it and not for giving music exams.
In 2007, I sang the song “Sobai to Sukhi Hotey Chay” in a programme at Malugram Bhairab Bari. At that period of time, friends and acquaintances used to laugh when my name was announced in the stage for performing. But these criticisms would rather make me more resolute to practice and perform better. Even today, I welcome constructive criticism.
w2b: What type of songs do you like?
Baulia: Other than heavy metal, I love to listen to every kind of music. I personally sing folk songs but that does not deter me from listening to every type of music.
w2b: There is popular notion that if children sing songs of Hindi films then it affects the voice. Is this a myth or fact?
Baulia: This is not true. In order to become a versatile singer, one must have to have a basic idea of every type of music. Another thing I would like to say is that it’s a trend in this part of the valley to regard orchestra as something very demeaning. This is nothing but a myth. Actually, nobody knows the definition of orchestra. What we call as ‘orchestra’ is nothing but a band of musicians. The term orchestra has got a wider connotation. It means a large instrumental ensemble typical of classical music, which mixes instruments from different families, including bowed string instruments such as violin, viola, cello and double bass, as well as brass, woodwinds, and percussion instruments, each grouped in sections. Other instruments such as the piano and celesta may sometimes appear in a fifth keyboard section or may stand alone, as may the concert harp and, for performances of some modern compositions, electronic instruments. The actual number of musicians employed in a given performance may vary from seventy to over one hundred musicians, depending on the work being played and the size of the venue.
w2b: How did you develop interest in Folk music?
Baulia: Actually, my love towards folk music developed in my childhood. I was introduced to the music of Nirmalendu Choudhury during my school days. I still remember how I waited eagerly to listen to his songs in All India Radio thrice a week. Moreover, I often used to listen to the tales of our ancestral house at present Bangladesh from my father and my Uncle. You can say from there, I developed affection towards the nature. India is a land of diverse cultural heritage and what makes this diversity all the more unique is the continuing rich tradition of folk music in the country. While each region has its own variety of folk music, the forms seem to unite in their essence of being a rustic reflection of the larger Indian society.
After that when I saw Bidhan Laskar, a reputed folk artist of our valley singing folk songs while playing the key board, a thought cropped up in my mind. I decided to popularize the traditional folk songs along with modern electronic musical instruments. It would not be out of the place to mention that, I was successful in my attempt to a great extent because my experiments with folk songs were taken on well by the young generation. The young generation now does not need any hindi remix to dance. They find it more interesting to dance with the tune of the folk songs which I sing. This I would claim to be one of my greatest achievements.
w2b: We are very eager to know how did Bikramjit Kar become Bikramjit Baulia?
Baulia: In the year 2013, my music album “Baulia” was released. It was really a great hit on social media. Some of my friends suggested that ‘Baulia’ seems to be a successful catch word and I should add this word with my name. So Bikramjit Kar became Bikramjit Baulia. The new name was liked and accepted by all not only in Barak Valley but also in Kolkata.
w2b: We are eager to know more about the music albums you have made so far.
Baulia: Well, till now I have made 10 music CDs, out of which one was brought out by the famous T-Series Company. My 1st CD was ‘Fatafati.com’ which was released in 2010. It was a big hit. At that time, nobody knew me but the name ‘Fatafati.com’ became very popular. The song ‘Sadher Lau’ which was a remake of the song originally sung by Nirmalendu Choudhury made the CD further popular. My album “Jhalmuri” was also a success.
It was then that I became more attracted towards ‘jhumur’ songs. The young generation found a new lease of life in the ‘jhumur’ songs of mine. These were the old traditional songs but what I did was with the help of modern music I presented them as ‘old wine in a new bottle.’ Since then, ‘jhumur’ became a popular variety within the folk music over here. Now-a-days, ‘jhumur’ is performed by Bidhan Laskar, Anusuya Mazumdar, Manjushree Das and even by Dolchut.
w2b: We have seen you in the Zee Bangla reality show ‘Sa re ga ma pa’. Tell us something about it.
Baulia: Those 49 days which I spent during the show in 2016-17 are the most memorable days in my life. I would never ever forget the grooming sessions. Though I made it to top 40 but I was unfortunately eliminated when selection was made for top 20. I have learnt a lot during this phase of my life. In 2017-18, I once again took part in the show but this time I was eliminated much earlier. I respect the judges because they make selection not from commonsense perspective but with an eagle’s eye. But one thing I want to say is that it was Kalika Prasad Bhattacharjee’s credit for which folk artists has got a new lease of life throughout.
After coming back from ‘Sa re ga ma pa’ many have tried their best to demoralize me, to break my confidence and wipe out my name from the world of music. But they were unsuccessful in breaking my confidence. I struggled alone, none gave me any undue lift in my career. I am indebted to Hrishikesh Chakraborty, Bidhan Laskar for their help and support. I would also like to mention the name of Nirupam Barbhuiya, who stood beside me in both sun and shower.
w2b: We know you primarily as a folk artist. So what made you to make an album on this Independence Day?
Baulia: On the eve of 72nd Independence Day I have tried a rendition of one of the most soulful song ‘Sandeshe Aate Hai’ to pay my tribute to the Real Indian Heroes; our Indian Soldiers. This is my first attempt in this genre. I love to make experiments. On the birthday of Tagore this year, I also sang ‘Aakash bhora surja tara.’You can access to all my songs in youtube. My youtube address is ‘Bikaramjit Baulia Official.’
w2b: As a Bengali and a resident of Barak Valley, what is your opinion on the NRC?
Baulia: I do want that the names of genuine Indians should only be incorporated in the NRC. However, saying so, I also do not approve the mental torture and harassment inflicted upon persons like 102 years old Chandradhar Das.
w2b: So Bikramjit, we have come to an end of this candid discussion with you. Before parting, can we know from you your future plans?
Baulia: I have got love and affection from a multitude of people. But till now I have not been able to achieve my dream goal. Though I have performed in Tara Muzik, DD Bangla, Rupashi Bangla channels, I am more thirsty to reach the pinnacle of fame with my music. I am promise bound to offer clean, pure music to my fans. The ambit of folk music is huge. I am presently learning the art of ‘jhumur’ music from Abhijit Basu of Kolkata. I seek the blessings and best wishes of all through your website way2barak. To conclude, I would say in words of Robert Frost:
“The woods are lonely, dark and deep,
But I have promises to keep,
And miles to go before I sleep…”
Swarnalichoudhuri.1@gmail.com
Thanks for viewing http://www.way2barak.com