AnalyticsBreaking News

এনআরসিতে আপত্তি জানানোর নিয়ম সহজতর, উদ্বিগ্ন অসমের বঙ্গভাষীরা
Bengalis in Assam tensed as process of ‘Objection’ in NRC made simple

এনআরসি-র খসড়ায় নাম ওঠার পরও স্বস্তিতে নেই অসমের বঙ্গভাষীরা। রাজ্য সরকার আপত্তি জানানোর নির্দেশিকা সরল করার প্রস্তাব দিয়েছে। তাদের বক্তব্য, একজন ব্যক্তি যতখুশি নাগরিকের নামের উপর আপত্তি জানাতে পারবে। আপত্তি প্রমাণে ব্যর্থ হলেও শাস্তির ব্যাপার নেই। কেন্দ্রীয় সরকারও রাজ্যের এই প্রস্তাবে সায় জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দাখিল করেছে। তাতেই দুশ্চিন্তা বেড়েছে বাঙালিদের। অনেকেই বহু কাঠ-খড় পুড়িয়ে ৪৫-৫০ বছরের আগের একটি নথি সংগ্রহ করেছেন। তার উপর সন্দেহ বা প্রশ্ন তুললে দ্বিতীয় নথি দেওয়া তাঁদের পক্ষে অসম্ভব। এই নিয়েই নতুন উতকণ্ঠায় তাঁরা।

১৯৫৫ সালের ভারতীয় নাগরিকত্ব আইনের ১৭ নং ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যদি অন্যের নাগরিকত্ব নিয়ে চ্যালেঞ্জ জানায়, তবে তা প্রমাণের দায়িত্ব অভিযোগকারীরই। তিনি তা প্রমাণে ব্যর্থ হলে ৫ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। নাগরিক পঞ্জির খসড়া প্রকাশের পরই এ নিয়ে সরব হয় আসু, অগপ সহ বিভিন্ন অসমিয়া সংগঠন। তাঁদের দাবি, আপত্তি জানানোর নিয়ম সরল না হলে এনআরসি তৈরি অর্থহীন। বিভিন্ন জায়গায় কয়েকজন ডি ভোটারের অন্তর্ভুক্তিকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে তাঁরা বলেন, এইভাবে বিদেশিরা সহজেই নাম তুলে নিতে পারবে। এর পরই রাজ্য মন্ত্রিসভা আপত্তি সরলীকরণের সিদ্ধান্ত নেয়।

শিলচরের আইনজীবী ইমাদউদ্দিন বুলবুলের বক্তব্য, রাজ্যের প্রস্তাব বা কেন্দ্রের হলফনামা দুই-ই অবৈধ। তাঁর যুক্তি, ভারতীয় নাগরিকত্ব আইনের ভিত্তিতেই এনআরসি তৈরি হচ্ছে। কোনও জায়গায় এই আইনকে এড়িয়ে যাওয়া যায় না। আরেক আইনজীবী ধর্মানন্দ দেব বলেন, একজন ইচ্ছে হলেই যার-তার নাগরিকত্ব নিয়ে আপত্তি করে বসবেন, এ কেমন কথা! আবার তা প্রমাণ করতে না পারলে তাঁর কিছু হবে না। ছোটাছুটি করে মরবেন আরেকজন। তাঁর কথায়, এর দরুন ব্যক্তিগত শত্রুতা মেটাতেও অনেকে আপত্তি জানিয়ে বসবেন। আর এনআরসি কর্তাদেরও অহেতুক সময় নষ্ট হবে।

এ নিয়েই দুশ্চিন্তায় নাগরিক অধিকার রক্ষা কমিটি, বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলন, নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দাবি কমিটি সহ বিভিন্ন সংগঠন। তাঁদের দাবি, আপত্তির ক্ষেত্রেও নাগরিকত্ব আইন কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।

গত ১৬ আগস্ট কেন্দ্রীয় সরকারের হলফনামা পেলেও সু্প্রিম কোর্ট সে দিন কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি। আগামী ২৮ আগস্ট বিচারপতিরা বিভিন্ন সংগঠনের মতামত জানতে চেয়েছেন। অনুমান করা যায়, সে দিনই খসড়া এনআরসি-র উপর দাবি, আপত্তি, সংশোধন সংক্রান্ত নীতিনির্দেশিকা চূড়ান্ত হবে।

The Bengalis of Assam are not at peace even after their names have been published in the final draft of NRC. The state government has proposed to simplify the process of registering ‘Objection’. A person can file objection against innumerable number of persons. Even if the objection made is over ruled by the authorities, then also no punishment will be meted out to the person making such ‘false’ objection. The central government has approved this proposal of the state government and as such has filed an affidavit in the Supreme Court. This has increased the tension of the Bengalis in Assam. After much hardship, many have managed to get documents of 45-50 years ago. Now, if anybody raises objection over these documents, then it will become impossible for such persons to secure another document. This is the reason of worry for the Bengalis.

The provision of penalty and imprisonment is as per Section 17 of Citizenship Act, 1955, which provides that –Any person who, for the purpose of procuring anything to be done or not to be done under this Act, knowingly makes any representation which is false in a material particular shall be punishable with imprisonment for a term which may extend to five years or with fine which may extend to fifty thousand rupees or with both.” After the publication of the final draft of NRC, this particular section was vehemently opposed by AGP, AASU and various other Assamese organizations. They argued that if the process of filing objection is not simplified, than the whole process of NRC will be meaningless. In many places, they have cited instances of how the names of certain ‘D-voters’ were found in the final draft. It was then that the state cabinet decided to simplify the process related to objection.

Speaking to our correspondent, advocate Imad Uddin Bulbul said that both the proposal of the state government and the affidavit of the central government are illegal. He is of the view that the process of upgradation of NRC is based on the Indian Citizenship Act. Another advocate, Dharmananda Deb is of the view that, “All these provisions empower the objector and make it easy for them to harass and bully people. Needless to say, people from weak socio-economic background will suffer yet another form of oppression and will be forced to fight yet another uphill battle where the odds are against them.”

This issue has become a matter of grave concern for Citizens Rights Protection Committee, Barak Upottoka Banga Sahitto O Sanskriti Sammelan and many other such organizations. They emphasized that the Indian Citizenship Act should be strictly adhered to even in case of filing claims and objections.

Though the union government has submitted its affidavit in this regard to the Supreme Court on 16 August, yet the court reserved its verdict on that day. The bench hearing this matter will seek the opinion of the various stakeholders on 28 August. It is assumed that the apex court will give its verdict on the claims and objections related matter of NRC on that very day.

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker