Barak UpdatesBreaking News
Awareness Programme held at Arunachal Krishi Vigyan Kendraঅরুণাচল কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রে সচেতনতা সভা
৩১ জানুয়ারি: ব্যুরো অব ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস-এর ব্যবস্থাপনায় এবং অরুণাচল কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র ও পিস ফাউন্ডেশন-র সহযোগিতায় এক সচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত হয় শুক্রবার। এদিন কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের অডিটরিয়াম হলে বেলা বারোটা থেকে শুরু হয় এই সভা। এতে মুখ্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিআইএস গুয়াহাটির ডিরেক্টর অমিত রায়। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিআইসিসি-এর জেনারেল ম্যানেজার অশোক কুমার শইকিয়া, কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক পি চৌধুরী, পিস ফাউন্ডেশন-এর চিফ এডভাইজার তথা প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর সবনম সুলতানা, বৈজ্ঞানিক আব্দুল রহমান এবং নবদ্বীপ শইকিয়া প্রমুখ।
মুখ্য অতিথি অমিত রায় বিআইএস কী, কিভাবে কাজ করছে এবং বিআইএস-এর লাইসেন্স পেতে হলে কী কী করতে হবে তা সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, ভারত সরকার দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। সেই প্রচেষ্টায় বাজারে উৎপাদনের চাহিদা বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। একেবারে তৃণমূল স্তরের উৎপাদনকারীরা যাতে বিআইএস সম্পর্কে সচেতন হন তার লক্ষ্যে বিভিন্ন শহর তথা শহরতলিতে সচেতনতামূলক সভার আয়োজন করছে সরকার।
বিআইএস-র দেওয়া আইএসআই মার্ক তরল পদার্থ যেমন, দুধ, সর্ষের তেল, পোল্ট্রি ফার্ম ইত্যাদিতে থাকলে তার বাণিজ্যিক মান বেড়ে যায়। উৎপাদনকারীরা সহজে তাদের ব্যবসা চাঙ্গা করতে তুলতে পারবেন। অমিতবাবুর কথায়, বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জের উৎপাদনকারীরা এখনও বিআইএস সম্পর্কে অবগত নন। তাই তারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সামগ্রী উৎপাদন করলেও বাজারজাত করার ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়েন। তাই কষ্ট করে উৎপাদন করার পরও আর্থিক সচ্ছলতা কাটিয়ে উঠতে পারেন না। এখনও পর্যন্ত ১৩৭ টি দ্রব্যের উপর বিআইএস-র হলমার্ক, আইএসআই মার্ক রয়েছে বলে জানান। এর সংখ্যা ২ হাজার করার পরিকল্পনা নিয়েছে ভারত সরকার, এমনটাই জানিয়েছেন অমিত রায়। তিনি এদিন সভায় উপস্থিত মানুষদের বিআইএস-র লাইসেন্স পেতে হলে কী কী করতে তা বিস্তারিত বুঝিয়ে দেন।
আইএসআই রেজিস্ট্রেশন নম্বর মোট দশটি, কিন্তু আজকাল অনেক অসাধু ব্যবসায়ী নকল আইএসআই মার্ক লাগিয়ে গ্রাহকদের ঠকিয়ে যাচ্ছেন। আইএসআই মার্ক দেখতে কেমন হয়, এই মার্কের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ভালোভাবে দেখে এরপরই সামগ্রী কেনার শলা দেন তিনি। শিলচরে একটি বিআইএস-র কার্যালয় তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন অমিত রায়।
সচেতনতা সভায় বিভিন্ন উৎপাদনকারীরা অংশ নেন। এতে ছিলেন কেউ মাশরুম চাষী, দুধ, সর্ষের তেল, রাজমা, পোল্ট্রি ফার্ম, বুটিক শিল্পীরা। প্রত্যেকেই মনযোগ সহকারে এদিন তাঁর কথা শোনেন। তাদের উৎপাদন আরও বৃদ্ধি করার জন্য অনেক পরামর্শও নেন। তাদের আর্থিক সাহায্য প্রদান করার আশ্বাস দেন বিআইসিসি-এর জেনারেল ম্যানেজার অশোক কুমার শইকিয়া। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক পি চৌধুরী। তিনি বলেন, কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের সাহায্যে বিভিন্ন গ্রামীণ মানুষ উৎপাদনের মধ্য দিয়ে আর্থিক সঙ্কট কাটিয়ে উঠেছেন এবং তাদের সামগ্রী আজ বাজার ধরতে পেরেছে। আগামী দিনে অন্যান্য জায়গায় বিআইএস সম্পর্কে সচেতনতা সভার প্রয়োজন রয়েছে বলে মত ব্যক্ত করেন পিস ফাউন্ডেশন-এর চিফ এডভাইজার সবনম সুলতানা।