Barak UpdatesBreaking News
ফের সোনাহর কাণ্ড: ট্রাইব্যুনালের বিচারকের বিরুদ্ধে নালিশ আইনজীবীর
১২ অক্টোবর: একেবারে একই ধরনের ঘটনা। প্রয়াত সোনাহর আলি যেমন কবে একতরফা রায়ে কবে বিদেশি হয়ে গিয়েছেন, জানতেনই না ছেলেমেয়েরা। তাঁর ১৯৫১ সালের লিগ্যাসি দিয়ে এনআরসিতে নাম তোলার আবেদন জানালে বেরিয়ে আসে বিদেশি তথ্য। পার্শ্ববর্তী গ্রাম ইসলামপুরের আব্দুল জলিলের ছেলেমেয়েদেরও একই কারণে এনআরসি কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন, বিদেশির সন্তানেরা এনআরসিতে নাম তুলতে পারবে না। তাঁদের আবেদন এখন হোল্ড থাকবে।
সোনাহর আলির ছেলেমেয়েরা ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে গেলে জানিয়ে দেওয়া হয়, মৃতব্যক্তির মামলা নতুন করে উঠতে পারে না। পরে হাইকোর্ট অবশ্য মামলা গ্রহণ করে বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনালকে নির্দেশ দিয়েছে। এই রায়ের উল্লেখ করে আব্দুল জলিলের সন্তানেরাও ট্রাইব্যুনালে যায়, নথি দেখে বাবার নাগরিকত্ব নিরূপণের জন্য। একই ধরনের মামলা হলেও করিমগঞ্জ ট্রাইব্যুনাল-২ সদস্য দিবস শইকিয়া তাদের আবেদন হাতে নিতেই রাজি হননি। তাঁর সেই পুরনো বক্তব্য, মৃত ব্যক্তির মামলা পুনর্বিচারের জন্য উঠতে পারে না। সোনাহর আলি মামলার নির্দেশের উল্লেখ করলে সদস্য-বিচারক বলেন, ওই নির্দেশ শুধু সোনাহর মামলাতেই কার্যকর হবে।
বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি আইনজীবী শিশির দে। দুই মামলাই তিনি পরিচালনা করছেন। ক্ষুব্ধ শিশিরবাবু বার কাউন্সিলে লিখিত নালিশ জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ট্রাইব্যুনাল সদস্য অযৌক্তিকভাবে আব্দুল জলিলের সন্তানদের মামলা ফিরিয়ে দিয়েছেন। এটা আইনের পরিপন্থী। বার কাউন্সিলকে এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে আর্জি জানান তিনি। প্রসঙ্গত, সোনাহর আলির মতো আব্দুল জলিলকেও একতরফা রায়ে যখন বিদেশি ঘোষণা করা হয়, তার বহু আগেই মারা গেছেন তিনি। এমনকী, বিদেশি বলে সন্দেহ বা মামলা দায়েরের কথাও জানতেন না আব্দুল জলিল বা তার সাত ছেলেমেয়ের কেউ।