Barak UpdatesBreaking News

প্রশাসন ও পুলিশের বৈঠকই সার, রাতের শিলচরে একইভাবে নম্বর-নথিহীন টিপারের দাপাদাপি
Assurance by District & Police administration yields blank result, tippers running at night without license & documents

লাইসেন্স বা নথিপত্রহীন এমনই একটি টিপার কি কেড়ে নিয়েছে মলিন শর্মার জীবন?

৩১ জুলাই : দিনভর জেলাশাসকের অফিস কাঁপিয়ে ট্রাফিক অ্যাডভাইজারি কমিটির বৈঠক হলেও রাতের চেহারার বিন্দুমাত্র পরিবর্তন হল না। শিলচরের সড়ক ধরে একইভাবে বুধবার গভীর রাতেও দেখা গেল মালবাহী টিপারের সারি।

Tipper without number on Wednesday night

জেলাশাসকের নির্দেশ অনুযায়ী, রাত ১টার পর শহরে টিপারগুলো প্রবেশের কথা। কিন্তু সেই নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাত ১১টা থেকেই চলেছে এই গাড়িগুলো। আরও বড় বিষয় হল, এই গাড়িচালকদের মধ্যে অনেকেরই বয়স ১৮ বছরের নিচে। আবার অনেকের হাতে কোনও লাইসেন্স বা গাড়ির কাগজপত্র পর্যন্ত ছিল না।

এ দিন রাতে কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে কয়েকজন সাংবাদিকের প্রথমে বিষয়টি নজরে পড়ে। দেব্দূত পয়েন্টের লাগোয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মোড়ে এই গাড়িগুলোর গতি আটকে দেন সাংবাদিকরাই। এরপরই বেরিয়ে পড়ে আসল রহস্য। কারোর লাইসেন্স নেই তো কারোর কাছে গাড়ির নথিপত্র নেই। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় ট্রাফিক পুলিশকে। তখন অবশ্য সময় নষ্ট না করে সেখানে দ্রুত পৌঁছে যান শান্তনু দাসের নেতৃত্বে ট্রাফিক পুলিশের একটি দল। সিআরপিএফ বাহিনী নিয়ে আসেন সদর থানার ওসিও। দেবদূত পয়েন্টেই তল্লাশি শুরু হয়।

তখনই দেখা যায়, বেশ কয়েকটি টিপার কোনও কাগজপত্র ছাড়াই দিব্যি রংপুর থেকে এসে পড়েছে শহরে। এদের মধ্যে কয়েকটি তো গন্তব্যস্থলে সামগ্রী আনলোড করেও ফিরে যাচ্ছে। প্রশ্ন হলো, কীভাবে ট্রাফিক পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে বিভিন্ন পয়েন্ট অতিক্রম করে এই গাড়িগুলো শহরের উপর দিয়েই দৌড়ে চলেছে। পুলিশের তল্লাশিতে চালকের লাইসেন্স না থাকায় বা গাড়ির কাগজপত্র দেখাতে না পারায় বহু গাড়িকে আটক করা হয়েছে। রাত দেড়টা নাগাদ এমন ১৫টি গাড়িকে আটক করে পুলিশ। এমনকি কয়েকটি গাড়িতে নম্বর প্লেট পর্যন্ত ছিল না।

তাহলে যে বিষয়টি উল্লেখের দাবি রাখে, তা হচ্ছে, দিনের বেলা একের পর এক সভা করে প্রশাসন গালভরা আশ্বাস দিয়ে গেলেও রাতের ছবি যে কে সেই। এখানে সেই টিপার চালকদেরই দৌরাত্ম্য। তাহলে জেলাশাসক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের বা আন্দোলনরত শহরের মহিলাদের একটি দলকে যেভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তার যে কোনও মূল্য নেই, রাতের এই ছবি তা আবারও প্রমাণ করল। তাহলে কি চিত্র সাংবাদিক মলিন শর্মার মৃত্যুর জন্য এমনই এক ঢিলেঢালা প্রশাসনিক ব্যবস্থা দায়ী? লাইসেন্স বা নথিপত্রহীন এমনই একটি টিপার কি কেড়ে নিয়েছে মলিন শর্মার জীবন? এ সব আশঙ্কা বা উদ্বেগ কিন্তু মোটেই অমূলক নয়।

July 31: Since the tragic death of photo journalist Molin Sharma on 28 July, 2019, there were rounds of meetings by the district and police administration with the journalists, women group, social media group, civil society, traffic advisory committee, but there seems to be no change in the movement of ‘deadly tippers’ on the streets of Silchar at night. On Wednesday late night, a similar scene of chaos was noticed at Silchar where tippers were seen moving at a great speed risking the life of the citizens.

Tipper without number on Wednesday night

As per the direction of the Deputy Commissioner, the tippers were supposed to enter Silchar town area after 1 in the night. However, in reality, it was observed that showing a damn care attitude, tippers were moving as usual on the streets of Silchar town just after 11 PM. Moreover, the fact which deserves attention is that most of the tipper drivers seemed to be either minors or handyman who had no driving license. A few other tippers did not even have necessary documents of the vehicles.

Driver without license on Wednesday night 

On Wednesday night, while returning from their press, a few journalists first noticed this. They then stopped some vehicles at Silchar Brahmanbariya point near Devdoot. On asking the drivers, the cat came out of the bag. Some had no driving license, others were devoid of registration card of vehicles. At once, the journalists informed the traffic police. Instantly, Traffic Inspector Santanu Das reached the spot with a police force. Officer in-charge of Silchar Sadar Police Station also reached there with CRPF. There they started to check the documents of the vehicles.

It was then conformed that without valid documents and driving license, around 15 odd tippers entered the town from Rangpur. A few of the tippers were on their return journey after unloading materials. The big question here is how did the vehicles evade the eyes of police at different check points and were moving desperately inside the heart of the town? More interestingly, a few vehicles were also without any number plates.

It is in this backdrop that the citizens of the town are nothing short of being guardianless. All assurances of the administration have fallen flat.So was the death of Molin Sharma due to the slack administrative outcome? Has Molin’s life being cut short by one such tipper devoid of license and number plate? There seems to be none to reply to these bitter but factual questions.


Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker