Barak UpdatesBreaking News
সম্মান ও পারিতোষিক চেয়ে আশাকর্মীদের বিক্ষোভASHA workers holds protest demonstration, demands just treatment & enhanced salary
২৬ অক্টোবর : কর্মক্ষেত্রে নির্যাতন বন্ধ করে আশাকর্মীদের যথাযথ বেতন দেওয়ার দাবিতে শুক্রবার বিক্ষোভ প্রদর্শন করলো সারা আসাম আশাকর্মী সংস্থার কাছাড় জেলা শাখা। শহরের ট্রাঙ্ক রোড থেকে বেরিয়ে বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে আশাকর্মীদের এক মিছিল গিয়ে পৌঁছে কাছাড়ের জেলাশাসকের কার্যালয়ের সামনে। সেখানে বিক্ষোভ প্রদর্শনের মাধ্যমে আশা কর্মীরা রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে একটি স্মারকপত্র প্রেরণ করে। এই বিক্ষোভ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন সিপিআইএমএল নেতা তথা জেলা কমিটির সভাপতি হায়দর হোসেন চৌধুরী ও আশা কর্মী সংস্থার সভানেত্রী আতরজান বেগম চৌধুরী।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আতরজান বেগম বলেন, ১৪ বছর ধরে ২৪ ঘণ্টা করে ডিউটি করে যাচ্ছেন আশা কর্মীরা। কিন্তু আজ পর্যন্ত তাঁরা ঠিকভাবে বেতন পাওয়া তো দূর, উপযুক্ত সম্মানটুকুও পাননি। তিনি ডিউটিতে গিয়ে আশা কর্মীদের একের পর এক নির্যাতনের বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরেন। তাঁর অভিযোগ, হরিনগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে জনৈক আশা কর্মীকে মারধর করা হয়েছে। সোনাই থেকে একজন রোগীকে নিয়ে এসে মেডিক্যালে ভর্তি করানোর সময় গাড়িতেই নির্যাতন ও ধর্ষণ করা হয়েছে। এরা কোনও বিচার পাননি। করিমগঞ্জের একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি ক্ষোভে ফেটে পড়েন। আতরজান বলেন, রাত ১টায় প্রসব বেদনা ওঠায় এক রোগীর বাড়ি থেকে ফোন পান জনৈক আশা কর্মী। তিনি এতো রাতে একা যেতে অসম্মতি প্রকাশ করে কাউকে সঙ্গে দেবার অনুরোধ জানান। সে অনুযায়ী এক ব্যক্তি নিরাপত্তা দেবার নাম করে রাস্তায় ৫ বার ধর্ষণ করে।
তিনি রাখঢাক না রেখেই বলেন, আগের সরকারও আশা কর্মীদের সম্মান করেনি, বর্তমান বিজেপি সরকারও একই আচরণ করছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বেতন বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা কার্যকরী করেননি। গত বছর হিমন্ত কথা দেন, ২০১৮-র জানুয়ারি থেকে আশা কর্মীদের আরও ১০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। কিন্তু এ পর্যন্ত সরকার কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। তিনি হুমকি দেন, এমন চলতে থাকলে রাজ্যজুড়ে কর্মবিরতি পালন শুরু করবেন।
সিপিআইএমএল নেতা হায়দর হোসেন বলেন, আশা কর্মীরা তৃণমূল স্তরে কাজ করে সরকারের স্বাস্থ্য পরিষেবাকে মজবুত করেছেন। কিন্তু আজ তারাই বঞ্চিত, নির্যাতিত। তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, দিল্লি সরকার আশা কর্মীদের ৭০০০ টাকা পারিতোষিক দিচ্ছে, অথচ আসামে তাঁরা পাচ্ছেন মাত্র ১০০০ টাকা। তিনি এর পুরো দায় বর্তমান সরকারের ওপরই ঠেলে দিয়েছেন।