NE UpdatesAnalyticsBreaking News
টেনশন কমাতেই হঠাত করে মাধ্যমিকের ফল ঘোষণা : হিমন্ত
গুয়াহাটি, ২৩ মে ঃ কোনও ধরনের আগাম ঘোষণা ছাড়াই ২২ মে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল ঘোষণা করেছে আসামের শিক্ষা বিভাগ। কিন্তু এ দিন ফলাফল নিয়ে একেবারেই প্রস্তুত ছিল না পরীক্ষার্থীরা। এমনকি অভিভাবকরাও এর আঁচ পাননি। ফলে সকালে ঘুম থেকে উঠে আজ সকাল ১০টায় মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হবে শুনে কেউ বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। কেউ কেউ তো গুজব বলেও উড়িয়ে দিয়েছিলেন। কারণ বাজারে শোনা যাচ্ছিল, ৩০ মে ফল ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেবার তরফে স্পষ্ট করে কিছু বলা না হলেও ৩০ মে ফল ঘোষণা হবে বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু এরই মধ্যে সকালে সেবার বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়ে পড়ার পর হঠাত করেই ব্যস্ততা খুব বেড়ে যায়। দেখা যায়, ওই বিজ্ঞপ্তিতে লিখা রয়েছে, সকাল ১০টায় সেবার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ফল ঘোষণা করা হবে। তাছাড়া যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল, তা ২২ মে-তেই ইস্যু করা হয়। ফলে সহজেই বোঝা গিয়েছে, শিক্ষা বিভাগ এই সিদ্ধান্ত তড়িঘড়িই নিয়েছে। অর্থাৎ রাতে বিজ্ঞপ্তি জারি করে পরদিন সকালেই ফল প্রকাশ করে দিয়েছে।
এরপরই অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা কৃতীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেও দেন, শিক্ষা বিভাগ ইচ্ছে করেই এই ফলাফল ঘোষণার তারিখ আগে থেকে জানায়নি। তিনি বলেন, এমনিতেই মাধ্যমিক পরীক্ষায় যেসব ছাত্রছাত্রীরা বসেছে, তারা ফল নিয়ে চিন্তা ও উদ্বেগে ছিল। ফলাফল ঘোষণার তারিখ আগে থেকে জানিয়ে রাখলে তাদের স্বাভাবিকভাবেই টেনশন আরও বেড়ে যায়। অনেকেই খাওয়া-ঘুম ছেড়ে চিন্তায় ডুবে যায়। এ বার পরীক্ষার্থীদের এই চিন্তা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আগে থেকে কোনকিছু না জানিয়ে ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এটিও এক ধরনের শিক্ষার সংস্কার বলে উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, মাধ্যমিকে যারা ভাল ফল করতে পারে না, তারা এমনিতেই হতাশায় ভুগতে থাকে। তাদের মধ্যে প্রবল মানসিক চাপের সৃষ্টি হয়। এরা মানসিকভাবে ভীষণ দুর্বল হয়ে পড়ে। এমনকি কয়েকদিনের জন্য তারা সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বলে মনে করতে থাকে। মেধা তালিকায় স্থান করা কৃতীরা বা প্রথম ও দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হওয়া ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে হইচই হওয়ার ফলে যারা তৃতীয় বিভাগে পাশ করেছে তারা নিজেদের সমাজে বসবাস করার অনুপযুক্ত হিসেবে ভাবতে শুরু করে দেয়। এতে এই পড়ুয়ারা হীনমন্যতায় ভুগতে থাকে। আর এজন্য মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ নিয়ে আলাদা করে আগাম হইচই করার কোনও প্রয়োজন নেই। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, মাধ্যমিক একটি গতানুগতিক পরীক্ষা এবং এর ফল প্রকাশও সাধারণ হিসেবেই মনে করতে হবে।