Barak UpdatesBreaking News

দিদিই উনিশের প্রধানমন্ত্রী, শিলচরে জানিয়ে গেলেন তৃণমূল নেতারা
Mamata to be next PM, informs Trinamool leaders at Silchar

৪ ডিসেম্বরঃপঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য ভোট চাইতে আসিনি। আমাদের  লক্ষ্য লোকসভা নির্বাচন। মঙ্গলবার এ ভাবেই নিজেদের অভিমত তুলে ধরেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। দক্ষিণ ধলাইর ভাগাবাজারে আয়োজিত সভায় রাজ্যসভার সাংসদ ডা. শান্তনু সেন বললেন, ৩৪ বছরের বামশাসনকে উতখাত করেছে তৃণমূল। এ বার এরাই দেশ থেকে বিজেপি-কে উতখাত করবে। মানুষ বিকল্প খুঁজে পেয়ে গিয়েছে। তাঁর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সেই বিকল্প।  কারণ, তাঁর রাজত্বে পশ্চিমবঙ্গ কৃষিতে প্রথম। ১০০ দিনের কাজে এগিয়ে তাঁরা। স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে রাজ্যবাসী নিশ্চিত। তাঁর কথায়, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল মিলে বৃহত্তর জোট হচ্ছে এ বার। সবাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চাইছেন। তাই লোকসভা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা। অসমের পঞ্চায়েত নির্বাচনকে প্রথম ইনিংস বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেমি ফাইনালটা জিতিয়ে দিন, ফাইনাল আমরা নিশ্চিত জিতে যাব।

কাছাড় জেলায় একমাত্র দক্ষিণ ধলাই জেলা পরিষদ আসনে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এর অধীনে ১টি আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সদস্য, ২টি গ্রাম পঞ্চায়েত সভাপতি ও ৮টি গ্রুপ মেম্বার পদেও (ঘাস) জোড়া ফুল চিহ্নে লড়ছেন প্রার্থীরা। মিজোরাম সীমা লাগোয়া ভাগাবাজারে তাঁদের সমর্থনেই আজ বক্তৃতা করেন রাজ্যসভার সদস্য শান্তনু সেন। সঙ্গে ছিলেন রাজারহাট তৃণমূল কাউন্সিলর শাহনাজ আলি মণ্ডল, সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও মহম্মদ শাহ আলম।

শান্তনু-শাহনাজ সবাই বললেন, দিদি অতীত ভুলেন না। তাই আজ যারা পাশে দাঁড়াবেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী হলে তাঁরা বাড়তি গুরুত্ব পাবেন। এনআরসি ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রথম অসমের বাঙালির জন্য গলা চড়িয়েছেন, দাবি করেন তাঁরা। শাহনাজ জানান, দিদি আজও বলে দিয়েছেন, অসমের বাঙালিরা কোথাও জায়গা না পেলে পশ্চিমবঙ্গ তাদের জায়গা দেবে। শান্তনুবাবুর কথায়, অসম চুক্তি হয়েছে ১৯৮৫ সালে। ৩৫ বছর কী করলেন তাঁরা। এখন বলছেন, এ বিদেশি, ও বিদেশি। দেশ ছাড়ো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুনেই বলেছিলেন, এ কেমন কথা। তাঁর নির্দেশেই লোকসভা-রাজ্যসভা উত্তাল করে তোলেন দলীয় সাংসদরা। শিলচরে যে সাংসদ-বিধায়করা এসেছিলেন, সরকার তাঁদের বেরোতে দেয়নি, এরও উল্লেখ করেন তিনি।

তাঁর বক্তৃতার মধ্যেই পাশের মসজিদ থেকে মাইকে আজান ভেসে আসে। বক্তৃতা বন্ধ করে দেন। মসজিদের মাইক বন্ধ হতেই শান্তনুবাবু ফের শুরু করেন, তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মুসলমান তোষণের অভিযোগ ওঠে। এতে দোষের কী আছে! তিনি বলেন, বড় ভাই-বোনের দায়িত্বই হল ছোটদের প্রতি খেয়াল রাখা। উল্লেখ করেন নাগরিকত্ব বিলের কথাও। তাঁর অভিযোগ, মুসলমানদের ভোট বিজেপি পাবে না বলেই চক্রান্ত চলছে তাদের তাড়ানোর। ফের দিদির আশ্বাসবাণী, ‘দিদি বলে দিয়েছেন, যারা অনেকদিন ধরে ভারতে রয়েছেন, এখানকার ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে, তাদের তাড়ানো যাবে না।’ তাঁর দাবি, মমতাকে কেন্দ্র করে দেশে নতুন বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। রাজনীতির নতুন ভিত তৈরি হচ্ছে। নিজেদের সুরক্ষার প্রয়োজনেই এই সময় পাশে থাকতে অনুরোধ জানান তিনি।

English text here

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker