Barak UpdatesBreaking News
মিজোরাম নির্বাচনঃ কাছাড়ও ১২ ডিসেম্বরের অপেক্ষায়
২৮ নভেম্বরঃ মিজোরামের রাজনীতির সঙ্গে কাছাড়ের অনেকের ভাগ্য নির্ভর করে। অসমের এই জেলার ওপর দিয়েই পাহাড়ি রাজ্যটির যাতায়াত। তাদের সাপ্লাই লাইন বললেও শিলচর-আইজল জাতীয় সড়ক। প্রতিবেশী রাজ্যটির আইন-কানুন, নীতি-নির্দেশিকাও কাছাড়ে প্রভাব ফেলে। এই কারণেই বুধবার অনুষ্ঠেয় বিধানসভা নির্বাচনের দিকে এই অঞ্চলের বিশেষ নজর রয়েছে।
বিশেষ করে, মিজোরামের ভাইরেংটি বাজার পুরোপুরিই কাছাড়ের ব্যবসায়ী নিয়ন্ত্রিত। হাটবারে খুচরো কেনাবেচার সঙ্গে ডাল-তেল-সাবান থেকে ধরে সমস্ত ধরনের জিনিসের পাইকারি বাজারও বসে। সব জিনিস যায় কাছাড়ের ভাগাবাজার থেকে। মিজোরামের অধিকাংশ ব্যবসায়ী ট্রাক ভরে পণ্যসামগ্রী কিনে নিয়ে যান। আবার মিজোদের জমিতে উতপাদিত আদা, তিল, কার্পাসের ক্রেতা বললে সীমাঘেষা অঞ্চলের মানুষই। ইনার লাইন পারমিট, কৃষিপণ্যে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার দরুন উতপাদকরা খোলাবাজার পান না। দর নিয়ন্ত্রণ করেন কাছাড়েরই একাংশ মধ্যস্বত্বভোগী।
এ ছাড়াও, এই অঞ্চলের প্রচুর মানুষ মিজোরামে বসবাস করেন। অধিকাংশ দিনমজুর, দোকান কর্মচারী, যানবাহনের চালক। তাঁদের কাছে বড় সমস্যা, মিজো ছাত্র সংস্থাগুলি সব সময় অমিজোদের বিদেশি বলে সন্দেহ করে। অভিযোগ, কোথাও সামান্য গণ্ডগোল বাঁধলেই অমিজোদের ঘর থেকে বের হওয়া বন্ধ করে দেয়। পুলিশ তাঁদের কাছে ঠুঁটো জগন্নাথ।
তাই মিজোরামের ভোটের ফলাফল কী হতে পারে, সে নিয়ে অসমের কাছাড় জেলায় জোর চর্চা। কারা কত আসন পাবে, কোন দল সরকার গড়বে, সে সব নিয়েই চলছে অঙ্ক কষা। বর্তমান সরকার বহাল থাকলে কী সুবিধে-অসুবিধে, সরকার বদলালে কী কী হবে, বিশ্লেষণে ব্যস্ত সবাই। কারণ ইনার লাইন পারমিটের কড়াকড়ি, বার্মিজদের নিয়ে নীতিকৌশল, রিয়াং-চাকমাদের বিভিন্ন ইস্যু, ছাত্র সংগঠনগুলির ভূমিকা, মিজোদের আগ্রাসন-আতঙ্ক—-সবই যে সরকার গঠনের উপর নির্ভর করে। তাই ১২ ডিসেম্বর ভোট গণনার অপেক্ষায় কাছাড়ের মানুষও।