CultureBreaking News
২১ জুন বিশ্ব সঙ্গীত দিবস, দলছুটের সোশ্যাল মিডিয়া লাইভ শো সন্ধে ৭টায়
২১ জুনঃ রবিবার, ২১ জুন, বিশ্ব সঙ্গীত দিবস। ১৯৮২ সালে ফ্রান্সে ‘ফেতে দে লা মিউজিক’ নামকরণে এই দিবসের সূচনা হয়েছিল মূলত মার্কিন সঙ্গীত শিল্পী জোয়েল কোহেনের ভাবনার সূত্র ধরে। নব্বইয়ের দশকে এই দিনটি ছড়িয়ে পড়ে গোটা ইউরোপে। দক্ষিণ এশিয়ায় এই দিবস উদযাপন শুরু হয় মূলত একবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে। তবে ইন্টারনেট যুগ বিস্তার লাভ করার সঙ্গে সঙ্গে এই বিশ্ব সঙ্গীত দিবসের প্রচার-প্রসার ঘটে তীব্র গতিতে। আর, বরাকে এই দিনটির সঙ্গে মূলত পরিচয় ঘটায় দলছুট। ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো শিলচরে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে দিনটিকে উৎসবের আকার দেয় বাংলা গানের এই দলটি।
World Music Day Celebration by Dolchhut
Posted by Dolchhut দলছুট বাংলা গানের দল on Thursday, June 18, 2020
বিশ্ব সঙ্গীত দিবসের বার্তাই হচ্ছে সঙ্গীতকে জনতার আরো কাছাকাছি নিয়ে আসা, আরো মুক্ত করা। এই লক্ষ্য নিয়েই ২০০৯ সাল থেকে আবাল-বৃদ্ধ-বণিতার অংশগ্রহণে দলছুট দিনটি উদযাপন করে আসছে। এবারও যার অন্যথা হল না । করোনা-কালে মুক্ত আকাশে বা মুক্ত মঞ্চে তো দূর, বন্ধ প্রেক্ষাঘরেও অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি নেই। তাই বলে থেমে থাকেনি দলছুটও। সরকারি গাইডলাইন মেনে যতটা যা করা যায়, তার মধ্যেই একটা উৎসবের আবহ তৈরি করার চেষ্টা করেছে তারা। নিজেদের চারটি গানে ২৫ জনের বেশি শিল্পীকে তারা জুড়েছে। যা অডিও-ভিডিও রেকর্ড করে রিলিজ করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এতেই অন্যবারের মতো এবারও নিশ্চিত হয়েছে যুব প্রজন্মের অংশগ্রহণ।
এদিকে, উপত্যকার দু’টি দল করিমগঞ্জের ভারতী গ্রুপ ও হাইলাকান্দির ফেরিওয়ালাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় করিয়েছে চ্যারিটি শো। শোগুলি স্পনসর করতে এগিয়ে আসেন সুদর্শন গুপ্ত, অজয়কুমার রায়, নিখিল পাল, জয়দীপ চক্রবর্তীর মতো সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা। পরপর দু’দিনে চ্যারিটি শো থেকে উঠে আসা অর্থ তারা তুলে দিচ্ছে দু’জন দুস্থ শিল্পীর হাতে, গান-বাজনাই যাদের জীবিকা। তবে দান হিসেবে নয়, মূলত তাদের গানের বিনিময়ে পারিশ্রমিক হিসেবেই এই অর্থ তুলে দিচ্ছে তারা। ওই শিল্পীদের গান রেকর্ড করে পোস্টও করা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
মাটির সোঁদা গন্ধ মাখা আমাদের বিশ্ব সঙ্গীত দিবস। আজ দুপুরে আমরা চলে গিয়েছিলাম শিলচর কালীবাড়ি চরে থাকা রঙ্গলাল দাসের বাড়ি। তিন প্রজন্ম ধরে সঙ্গীতের সেবা করাই যাদের প্রধান ব্রত। সঙ্গীতই তাদের জীবিকা, তাদের ভাল থাকার চাবিকাঠি। তাদের জীবনের ঝড়-ঝাপটা, ঘাত-প্রতিঘাতের সাক্ষী ওই সিংগল হারমোনিয়াম, দোতারা, করতাল আর গলার কণ্ঠ। আমরা আজ গিয়ে গান শুনলাম রঙ্গলালবাবুর পরের প্রজন্ম রসলাল দাসের থেকে। তৃতীয় প্রজন্মের রাখাল দাস বাজালো করতাল। এই গানের বিনিময়ে সামান্য পারিশ্রমিক আমরা তুলে দিই রসলাল দাদার হাতে, যা গতকাল ফেরিওয়ালার চ্যারিটি অনুষ্ঠানের সূত্র ধরে আমাদের কাছে এসেছিল সুদর্শন গুপ্ত ও অজয় রায়ের সৌজন্যে। ওই ছোট কুড়েঘরগুলোই তো আমাদের 'বিশ্ব', আর 'বাউলা গানেই' আমাদের 'সঙ্গীত দিবস'। রঙ্গলালবাবুরা যতদিন থাকবে, সঙ্গীত বেঁচে থাকবে স্বমহিমায়।ধন্যবাদ ফেরিওয়ালা, অজয়দা ও সুদর্শন দাদাকে।
Posted by Dolchhut দলছুট বাংলা গানের দল on Saturday, June 20, 2020
এভাবেই পরপর দুই দিন কাটিয়ে রবিবার দলছুট আয়োজন করছে এক সন্ধ্যায় শুধু দলছুট শীর্ষক অনুষ্ঠান। এদিন সন্ধে ৭টা থেকে নিজেদের ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল থেকে একযোগে অনুষ্ঠান সম্প্রচার করার কথা জানিয়েছে তারা। সব মিলিয়ে করোনা-কালেও সঙ্গীত দিবসের ভাবনাকে সবার কাছে পৌছে দিতে চেষ্টার ত্রুটি রাখছে না দলছুট।