India & World UpdatesBreaking News
আমফানে লণ্ডভণ্ড সুন্দরবন-২ চব্বিশ পরগণা, দুর্যোগে কলকাতা
২১ মে: লন্ডভন্ড হয়ে গেল সুন্দরবন সহ দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রবল দুর্যোগের কবলে কলকাতাও ঘূর্ণিঝড় আমফানের প্রভাবে রাজ্যে রাত পর্যন্ত ১০-১২ জনের মৃত্যুসংবাদ মিলেছে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন। তবে ক্ষয়ক্ষতির পুরো হিসেব জানা যায়নি। তিনি বলেন, সর্বনাশ হয়ে গেছে৷
প্রশাসন সূত্রের খবর, কলকাতার রিজেন্ট পার্কে দেওয়াল চাপা পড়ে এক মহিলা ও তাঁর ছেলের মৃত্যু হয়েছে। রাত পর্যন্ত তাঁদের পরিচয় জানা যায়নি। কলকাতায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আরও দু’জনের মৃত্যুসংবাদ মিলেছে। উত্তর কলকাতায় বেশ কিছু গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ গাছ ভেঙে পড়ে রয়েছে রাস্তায়৷ বহু রাস্তায় জল জমে রয়েছে৷ যান চলাচল বন্ধ৷ অনেক জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে৷ বিদ্যুৎহীন বিস্তীর্ণ এলাকা৷
উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁয় নুরজাহান বেওয়া নামে এক মহিলা (৫৬) গাছ ভেঙে পড়ে এবং গোপাল ভুঁইয়া (৩২) নামে এক যুবক ঝড়ে উড়ে আসা অ্যাসবেস্টসের আঘাতে মারা গিয়েছেন। বসিরহাট-২ ব্লকের মোহান্ত দাস (২০) নামে এক যুবক গাছ পড়ে এবং হাওড়ার বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকায় লক্ষ্মীকুমার সাউ নামে বছর তেরোর এক কিশোরী বাড়ির টিনের চাল ভেঙে মারা গিয়েছেন। পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে মাটির বাড়ি চাপা পড়ে ছবিরানি শিট (৫৮) এক মহিলার মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহত হয়েছেন তাঁর ছেলে।
পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরে তিন জন এবং পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে এক মহিলা আহত হয়েছেন। কচুবেড়িয়া জেটি ভেঙে মূল ভূখণ্ড থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে সাগরদ্বীপ। নামখানা, গোসাবা, পাথরপ্রতিমা, ভাঙড়, বসিরহাট-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রচুর ঘরবাড়ি, মাঠের আনাজ নষ্ট হয়েছে। সুন্দরবনে বন দফতরের বিভিন্ন ক্যাম্পে জল ঢুকেছে। তবে প্রচুর মানুষকে আগেভাগে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ায় মৃত্যু অনেকটাই এড়ানো গিয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ডিজি এস এন প্রধান জানান, পশ্চিমবঙ্গে ৫ লক্ষ ও ওড়িশায় প্রায় দেড় লক্ষ লোককে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে৷