Barak UpdatesBreaking News
গান্ধীবাগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকেও সতর্ক করলেন জাতীয় পরিবেশবিদ সুভাষ দত্তEnvironmentalist of national repute Subhas Dutta warns CM Sonowal regarding Gandhi Bagh, pledges to file PIL in Green Tribunal
Forest of concrete cannot be allowed to take place of green, asserts Subhas Dutta
১৯ সেপ্টেম্বরঃ গান্ধীবাগ শিলচরের ফুসফুস। এর বাণিজ্যিকীকরণ কিছুতেই হতে দেওয়া যায় না। কলকাতা থেকে বুধবার শিলচরে এসেই কথাগুলি বললেন জাতীয় পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত। পূর্বোত্তর জুড়ে পরিবেশ সংক্রান্ত নানা ইস্যুকে তিনি গ্রিন ট্রাইব্যুনালে নিয়ে গিয়েছেেন। গান্ধীবাগ নিয়ে বিতর্কের কথা কানে যেতেই চলে এসেছে এখানে। গোটা গান্ধীবাগ ঘোরেন। প্রস্তাবিত প্রকল্পটিও খতিয়ে দেখেন।
বৃহস্পতিবার এ নিয়েই কাছাড়ের জেলাশাসক লায়া মাদ্দুরির সঙ্গে দেখা করেন। তাঁর হাতে তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে লেখা স্মারকপত্র। সুভাষবাবু স্পষ্ট করেই মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালকে বলেন, শিলচরেও লোকসংখ্যা বাড়ছে। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে কমছে সবুজ। খোলামেলা অঞ্চল নেই বললেই চলে। গান্ধীবাগের ১৭-১৮ বিঘা জমি তাই পুরসভার জন্য সম্পদবিশেষ। কিন্তু বিনোদনমূলক পার্কের নামে এই সম্পদকে প্রমোটারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। মূল লক্ষ্য, এখানে হোটেল খোলা, মল বানানো। আর পার্ক যা হবে, তাও উচ্চবিত্তদের জন্য। ওই সব পার্কে সাধারণ মানুষ ফি-র জন্য ঢোকার সাহস পান না।
সুভাষবাবুর কাছে এ সবের চেয়ে বড় কথা, এই ধরনের একটি প্রকল্পে অনুমোদন জানানোর আগে এনভায়রনমেন্টাল ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট এবং এনভায়রনমেন্টাল ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান ভাল করে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। গান্ধীবাগের ক্ষেত্রে ও সব কিছুই হয়নি। তাই পরিবেশের বারোটা বাজিয়ে কোনও প্রকল্প তিনি হতে দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। সুভাষবাবু বলেন, গ্রিন ট্রাইব্যুনালে এ সংক্রান্ত জনস্বার্থে পরিবেশ মামলা বা পিআইইএল করবেন।
পুরপ্রধান নীহারেন্দ্র নারায়ণ ঠাকুর অবশ্য প্রস্তাবিত প্রকল্পটিকে সার্টিফিকেট দিয়ে বলেন, এটি হওয়া উচিত। ঝোপঝাড়, জঙ্গল, আগাছা, কচুরিপানাকে সবুজ বললে কী করা যাবে! পুরসভা সেগুলি সরিয়ে ১ হাজার চারা লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সঙ্গে হবে পার্ক ডেভেলপমেন্ট। সে জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান করতে দুটো দালানবাড়ি নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।