Barak UpdatesIndia & World Updates

সুযোগ থাকলেও জামিন চাইছেন না বন্দি বাংলাদেশিরা
Though there is scope, yet Bangladeshi nationals in Indian jails are not seeking bail

১৪ সেপ্টেম্বরঃ তিন বছরের বেশি সময় ধরে শিলচরের ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি রয়েছেন কমরুল ইসলাম, মিনারা বেগম। একই তালিকায় রয়েছেন কামালউদ্দিন, জাহানারা বেগম, দেবদাস রবিদাস। সুপ্রিম কোর্ট সবাইকে এক পংক্তিতে বসালেও দুইয়ের মধ্যে বেশ ফারাক। কমরুল, মিনারা-রা আজও দাবি করেন, তাঁরা ভারতীয়। তাঁদের পরিবার-পরিজন অসমের কাছাড় জেলায় বসবাস করে। নথিপত্র দিয়ে আদালতকে সন্তুষ্ট করতে পারেননি বলেই তাঁরা বিদেশি।  কামাল, জাহানারা বা দেবদাস স্বীকার করেই নিয়েছে, তাদের বাড়ি বাংলাদেশে। কেউ কাজের সন্ধানে, কেউ বেড়াতে এসে পাসপোর্ট না থাকায় ধরা পড়েছেন।

তিন বছরের বেশি সময় ধরে ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দিদের সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট জামিনে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে। শিলচর ডিটেনশন ক্যাম্পে ১৯ জন ওই তালিকায় স্থান পেয়েছেন। কমরুল, মিনারা ছাড়াও আরও ১০জন নিজেদের ভারতীয় বলে দাবি করছেন। তাঁদের কারও বাড়ি হাইলাকান্দি, কারও করিমগঞ্জ বা ডিমা হাসাও জেলায়। নিখুঁত বাংলাদেশি ৭জন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে অন্য ১২জনের সঙ্গে তারাও জামিনে মুক্তি পেতে পারেন। একই শর্ত, দুই লক্ষ টাকার দুইজন জামিনদার চাই এবং প্রতি সপ্তাহে থানায় হাজিরা। শর্ত মেনেই জামিনের আবেদন জানিয়েছেন ৬ জন। চেষ্টা করে চলেছেন আরও ৬ জন।  ব্যতিক্রম বাংলাদেশের ৭জন। আদালত সূত্রে খবর, তারা জামিনে বেরোতে চান না। তাদের জন্য কে আর জামিনদার হবেন ভারতে! তাই তাঁরা এ নিয়ে ভাবছেনও না। বরং তারা বাংলাদেশে ফিরে যেতেই বেশি আগ্রহী। গত দুই বছরে দফায় দফায় বাংলাদেশি বন্দিদের বাড়ি পাঠানো হয়েছে। তাদেরও পালা আসবে বলেই তাঁরা বিশ্বাস করেন।

কাছাড়ের পুলিশ সুপার মুগ্ধজ্যোতি দেবমহন্ত জানিয়েছেন, বাংলাদেশি বন্দিদের তালিকা তৈরি করে বিদেশ মন্ত্রকের মাধ্যমে তাদের দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।   যাদের ঠিকানা বাংলাদেশ সরকার খুঁজে পায়, তাদের ফিরিয়ে নিচ্ছে।

এই প্রত্যর্পণের ব্যাপারে এখানে কাজ করছে নাগরিক অধিকার রক্ষা সমিতি (সিআরপিসি)। এর প্রধান সম্পাদক সাধন পুরকায়স্থ বলেন, বিদেশি ঘোষিত হলেও ভারতেই যারা বসবাস করছিলেন, তাদের তারা জামিনে মুক্ত করানোর চেষ্টা করছেন। আর বাংলাদেশে যাদের বাড়িঘর তাদের জামিন অর্থহীন। সাপ্তাহিক হাজিরার চেয়ে তাদের নিজ দেশে যাওয়াই ভালো। সমিতি সে ব্যাপারে তদ্বির করে চলেছে। তাঁর কথায়, ঠিকানাটা ঠিকঠাক দিতে পারলে এখন আর বেশিদিন আটকে থাকতে হয় না। একই কথা শোনালেন পুলিশ সুপারও।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker