Barak UpdatesBreaking News
মূল ভূখণ্ডে যুক্ত হল টুকরগ্রামের চার পরিবার4 families of Tukargram united with mainland India
১৬ জুনঃ কয়েক দশক আগে বরাক নদী গতিপথ বদলে দেড় শতাধিক পরিবারের টুকরগ্রামকে বিভক্ত করে দেয়। গোটা পঞ্চাশেক পরিবার হয়ে যায় দ্বীপেরই বাসিন্দা।প্রায় সবদিকে নদী। একদিকে যা-ও সামান্য স্থলভাগ রয়েছে, তাও বাংলাদেশ। ফলে গ্রামবাসীদের কাছে বিএসএফের নৌকোই হয়ে ওঠে একমাত্র ভরসা। তাদের সময় মেনে আসা, যাওয়া।
গ্রামটি কাছাড়ের কাটিগড়া এলাকার অন্তর্ভুক্ত হলেও নৌকো ভিড়ে করিমগঞ্জ জেলার ভাঙ্গায়। নিজের জেলাসদর বা অন্যত্র যেতে হলে করিমগঞ্জ ডিঙানো ছাড়া উপায় নেই তাদের। এই অবস্থায় ভাঙন অব্যাহত থাকলে অনেকে নদীর চরে জায়গা দখল করে বসবাস করতে থাকেন। তবু কয়েক বছর আগেও ১৮ পরিবারের বাস ছিল গ্রামটিতে। এখন মাত্র চার পরিবার। বিষয়টি তাদের জন্য যেমন নিরাপত্তাহীন, তেমনি দেশের সুরক্ষার প্রশ্নেও স্পর্শকাতর। তাই চার পরিবারকে পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তাও বছর দেড়েক আগের কথা।
শেষপর্যন্ত শনিবার তা বাস্তবায়িত হয়। ওই চার পরিবারের হাতে জমির পাট্টা তুলে দেন কাটিগড়ার বিধায়ক অমরচাঁদ জৈন। নিজ কাটিগড়া তৃতীয় খণ্ডে ১০ কাঠা করে জমি মিলেছে তাদের। শুধু জমিই নয়, মল্লিকা বিবি, জয়নাল উদ্দিন, ইয়াসিন আলি ও আব্দুল মনাফের কাছে বেশি খুশির কথা, ফের তারা দেশের মূল ভূখণ্ডে যুক্ত হলেন।
একইসঙ্গে পাট্টা দেওয়া হয়েছে কাটিগড়ার রাজাটিলার নয় পরিবারকেও। নদীভাঙনে তাদের বাড়িঘর বরাকের গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। এরাও পাবেন ১০ কাঠা করে জমি। ওই নয় পরিবারের কর্তারা হলেন আশু দাস, নিশু দাস, মাখন দাস, অমর দাস, সত্যেন দাস, অঞ্জু দাস, শঙ্কর দাস, মঞ্জু দাস ও মনোরঞ্জন দাস।