Barak UpdatesBreaking News

অধ্যক্ষার বিরুদ্ধে এফআইআর করলেন কাছাড় কলেজ পরিচালন সভাপতি
G.B. President of Cachar College lodge FIR against the Principal & 5 others

১০ জুনঃ বেশ কিছুদিন পর কাছাড় কলেজে ফের পরিচালন সমিতির সভাপতি ও অধ্যক্ষের বিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এ বার তা নতুন মাত্রায় থানা পর্যন্ত গড়িয়েছে।  মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে আরও ৫জনকে। তাঁরা হলেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ তথা আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের ডিরেক্টর পদে কর্মরত ড. দেবাশিস কর, কেকে সন্দিকৈ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই প্রাক্তন কো-অর্ডিনেটর বিশ্বজিত পুরকায়স্থ ও আনন্দলাল ঘোষ, বর্তমান কো-অর্ডিনেটর রতন দাস ও অধ্যাপক অজয় রায়।

কাছাড় কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি বিবি দাসের অভিযোগ, কলেজে কেকে সন্দিকৈ বিশ্ববিদ্যালয়ের যে শাখা রয়েছে, তাতে ব্যাপক আর্থিক অনিয়ম ঘটে চলেছে। আর তা শুরু হয়েছে দেবাশিস কর যখন অধ্যক্ষ এবং বিশ্বজিত পুরকায়স্থ ছিলেন কো-অর্ডিনেটর। তাঁরা নিজেদের পারিশ্রমিক নিজেরাই স্থির করে ইচ্ছেমত অর্থ লুটে গিয়েছেন। লক্ষ্মীতন সিংহ অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেওয়ার পরেও এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে।

অন্যদিকে বিশ্বজিতবাবুর পরে আনন্দলাল ঘোষ কো-অর্ডিনেটর হন। ভাগ-বাটোয়ারায় সমস্যা হয়নি। সমস্যার সূত্রপাত লক্ষ্মীতন সিংহ চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার পর। এ বি দেব তখন অধ্যক্ষ পদে ভারপ্রাপ্ত হন। সে সময়ই কে কে সন্দিকৈ-র শাখা পরিচালনা ও অর্থকড়ি সংক্রান্ত বিষয় পরিচালন সমিতিতে চর্চা হয়। আটকে দেওয়া হয় লক্ষ্মীতন সিংহ ও আনন্দলাল ঘোষের পাওনা। সে সময় তাঁরা ৯ লক্ষ ৪০ হাজার চেক তৈরি করে নিয়েছিলেন। ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা লক্ষ্মীতন সিংহের এবং ৭  লক্ষ ২০ হাজার টাকা আনন্দবাবুর নিজের জন্য। পরিচালন সমিতি তা আটকে দেয়। আনন্দবাবুকে সরিয়ে কো-অর্ডিনেটর করা হয় হেমন্তকুমার বরা-কে।

বিভিন্ন সময় আনন্দলাল ঘোষ ওই অর্থের জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। কিন্তু পরিচালন সমিতির নির্দেশে হেমন্তবাবু তা আটকে রাখেন। ততদিনে লক্ষ্মীতন সিংহের সাসপেনশন প্রত্যাহার হয়ে যায়। ফের অধ্যক্ষের চেয়ারে বসেন। এবার তাঁর লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায় হেমন্তকে কো-অর্ডিনেটর পদ থেকে সরানো। কেকে সন্দিকৈ বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা অভিযোগ জানিয়ে তিনি তা করতে সক্ষমও হয়ে যান। এ বার কো-অর্ডিনেটর করা হয় রতনলাল দাসকে। তাতে বাগড়া দেন পরিচালন সমিতির সভাপতি বিবি দাস। তিনি হেমন্তকে দায়িত্ব না ছাড়তে নির্দেশ দেন। কিন্তু ৭ জুন হেমন্তের অনুপস্থিতিতে কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব রতনলাল দাসকে বুঝিয়ে দেন অধ্যক্ষা।

এই কাহিনি তুলে ধরে এফআইআরে বিবি দাস উল্লেখ করেন, কিছুদিনের মধ্যেই অনৈতিকভাবে ৯ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হবে। ছাত্রছাত্রীদের ফি-র এই টাকা কোনওমতেই ভাগ-বাটোয়ারা হতে দেওয়া যায় না। এমনকী, এর আগে উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গ যে লক্ষ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক হিসেবে তুলে নিয়েছে, সেই টাকা ফেরানোরও আর্জি জানান। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন মন্তব্যের জন্যও রতনবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।

English text here

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker