Barak UpdatesBreaking News
নকশাল নেতা চন্দন সেনগুপ্ত আর নেইNaxalite leader Chandan Sengupta passes away
২৭ মেঃ নকশাল আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব, প্রাক্তন শিক্ষক, সাংবাদিক-সম্পাদক চন্দন সেনগুপ্ত প্রয়াত হয়েছেন। সোমবার রাত ১০টা ২৫ মিনিটে কল্যাণী হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এক বছর ধরে সেখানেই ছিলেন। বার্ধক্যজনিত নানা শারীরিক সমস্যার সঙ্গে কিছুদিন আগে ধরা পড়ে, তিনি ক্যান্সারেও আক্রান্ত।
মৃত্যুকালে চিরকুমার চন্দনবাবুর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তাঁর মৃতদেহ মঙ্গলবার সকালে কল্যাণী থেকে শিলচরে নিয়ে আসা হবে। এখানে তাঁকে শ্রদ্ধার্ঘ জানানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। পরে শিলচর শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
নকশাল আন্দোলনের জন্য চন্দন সেনগুপ্তকে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকতে হয়। কয়েকবার জেলেও থাকতে হয়। বিশেষ করে, জরুরি অবস্থা জারি হতেই তাঁকে নিয়ে জেলে পোরা হয়েছিল। আমৃত্যু তিনি সিপিআইএমএল (প্রভিন্সিয়াল সেন্ট্রাল কমিটি)-র সক্রিয় সদস্য ছিলেন।
চন্দন সেনগুপ্ত একসময় নিরঞ্জন পাল ইনস্টিটিউটে শিক্ষকতা করেছেন। পরে যোগ দেন ভরাখাই হাই স্কুলে। কিন্তু এমন সংগ্রামী নেতা কি এই ধরনের রুটিন জীবনে আটকে থাকতে পারেন! চাকরি ছেড়ে সর্বক্ষণের বামপন্থী কর্মী হয়ে ওঠেন। ছাত্রাবস্থাতেই তিনি বামপন্থী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। অংশ নেন নকশালবাড়ি কৃষক বিদ্রোহে।
লেখালেখিতে অত্যন্ত আগ্রহী ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে নানা পত্রপত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। মিতভাষী চন্দনবাবু অনেকদিন মালুগ্রামে সরোজকুমার দাসের বাড়িতে তাদের পরিবারের একজন সদস্য হিসেবেই ছিলেন। বছর ছয়েক আগে চলে আসেন নাট্যকর্মী বিশ্বজিত দাসের বিবেকানন্দ রোডের বাড়িতে। এক বছর আগে চলে গিয়েছিলেন কল্যাণী হাসপাতালে।
তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ শিলচর সহ বরাক উপত্যকার বামপন্থীরা। বহু সাধারণ মানুষও শোক ব্যক্ত করছেন।