India & World UpdatesBreaking News
রাজ্যপালকে ফোন করে ফণীর ক্ষয়ক্ষতি জানলেন প্রধানমন্ত্রী, চটে লাল মমতা শিবিরPM Modi gets information from Governor about damage caused by cyclone Fani in Bengal, Mamata govt unhappy over it
৫ মে : ঘূর্ণিঝড় ফণীতে পশ্চিমবঙ্গে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানতে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীকে ফোন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ ঘটনায় প্রচণ্ড চটেছেন শাসক তৃণমূল শিবির। শাসক দলের বক্তব্য, এভাবে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে শ্রদ্ধা করেন না প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নিতে প্রধানমন্ত্রী মোদির মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন ছিল। তা না করে রাজ্যপালকে কেন ফোন করলেন সে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল।
এ দিকে রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলার বিষয়টি শনিবার নিজেই টুইট করে জানান প্রধানমন্ত্রী। এরপরই তৃণমূলের তরফে প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়। ওই টুইটেই প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি সোমবার ওড়িশায় যাচ্ছেন। সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন তিনি। সুপার সাইক্লোনের ফলে বিপর্যস্ত এলাকাগুলোতে সবরকম সাহায্যের জন্য কেন্দ্র সরকার প্রস্তুত বলে রাজ্যপালকে ফোনে জানান প্রধানমন্ত্রী। টুইটে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘সাইক্লোন ফণীর কবলে পড়া বাংলার মানুষের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।’
গত চার দশকের অন্যতম ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ফণী দিন দুয়েক আগেই ভারতীয় ভূখণ্ডে আছড়ে পড়েছে। ওড়িশার একাধিক জায়গায় প্রবল বেগে আঘাত হেনেছে এই ঘূর্ণিঝড়। তারপর তা বাংলায় প্রবেশ করে বাংলাদেশে চলে গিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের জন্য নির্বাচনী জনসভা থেকে শুরু করে অন্য সমস্ত কাজ বন্ধ করে মুখ্যমন্ত্রী নিজে খড়গপুরে গিয়ে পরিস্থিতির উপর নজর রাখছিলেন। এদিকে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও শহরের এ প্রান্ত থেকে সে প্রান্ত দৌড়ে পরিস্থিতি উপর নজর রাখছিলেন।
অন্যদিকে রাজ্যের যে সমস্ত এলাকার উপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড় বয়ে গিয়েছে তার কয়েকটি জায়গায় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন রাজ্যপাল। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কাকদ্বীপে গিয়ে শনিবার প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের থেকে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন কেশরী। এর পাশাপাশি মধুসূদনপুরে একটি সাইক্লোন সেন্টারেও গিয়েছিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। এরই মাঝে রাজ্যপালকে প্রধানমন্ত্রীর ফোন ঘিরে পঞ্চম দফা ভোটের আগেই চড়ল রাজনীতির পারদ। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব, পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এটা যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর ওপর আঘাত ও সংবিধান বিরোধী। রাজ্যপালকে ফোন করে তিনি বিজেপি নেতাসুলভ আচরণ করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর মতো নয়। জনাদেশকে তিনি কী করে উপেক্ষা করেন? তাঁর মনে রাখতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।