Barak UpdatesAnalyticsBreaking News
প্রতিবাদ দিবসে সিপিএমের বিক্ষোভ
ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করা হচ্ছে, এই অভিযোগ এনে দেশজুড়ে আজ প্রতিবাদ দিবস পালন করে সিপিএম। ধরনা সংঘটিত হয় বিভিন্ন রাজ্যের নানা জেলায়। স্থানে স্থানে বামকর্মীরা মিছিল, পথসভা করেন। অসমও এর ব্যতিক্রম নয়। বিজেপি শাসিত এই রাজ্যেও বামদলটি প্রতিবাদ দিবসে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে। তবে অসমের বিজেপি সরকার সম্পর্কে তারা আজ নীরবতাই পালন করলেন। সিপিএম নেতাদের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে মানুষের অধিকার বলে কোনও কিছু অবশিষ্ট নেই। তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই খুন হতে হচ্ছে। ত্রিপুরাতেও একই অবস্থা। বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর সেখানেও আইনের শাসন উঠে গিয়েছে। সিপিএম নেতা-কর্মীদের বাড়িঘরে নিয়মিত হামলা চলছে। দুইমাসে চারজন বামকর্মীকে খুন করা হয়েছে। অন্তত হাজার কর্মী বাড়িছাড়া। শতাধিক সিপিএম অফিস গেরুয়াবাহিনী হয় জ্বালিয়ে দিয়েছে নয় দখল করে রেখেছে। সে ক্ষেত্রে তৃণমূল ও বিজেপিকে একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ বলেন তাঁরা। পশ্চিমবঙ্গে সিপিএমকে সংগঠিত হতে না দেওয়ার ব্যাপারে দুই দল বোঝাপড়া করে চলেছে। তৃণমূল কংগ্রেস একনম্বরে থাকবে, আর তারাই বিজেপিকে দুই নম্বরে টেনে তুলবে, এই শর্তেই সিপিএম কর্মী-নেতাদের ওপর হামলা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ সিপিএম নেতাদের। অসমেও বর্তমানে বিজেপির সরকার। পশ্চিমবঙ্গ-ত্রিপুরায় গণতন্ত্র ধ্বংস হচ্ছে, এই অভিযোগ করে তাঁরা পরোক্ষে অসমের বিজেপি সরকারকে সার্টিফিকেটই দিলেন। সিপিএমের কাছাড় জেলা সম্পাদক দুলাল মিত্র পরে স্বীকার করে নেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলন করতে গিয়ে অসমে বিরোধীদের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে, এমনটা বলা যাবে না। তাঁর অভিযোগ, এখানে নাগরিকত্বের নামে মানুষকে হয়রান করে তোলা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে তাঁদের আলাদা কর্মসূচি রয়েছে। শিলচরের বিক্ষোভ সভায় সমীরণ চৌধুরী, রেজামন্দ আলি, অভিজিত গুপ্তও বক্তৃতা করেন। এ দিকে, ত্রিপুরাতে আজও সিপিএমের মিছিল আক্রান্ত হয়। উদয়পুরে প্রতিবাদ দিবসের মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের ওপর হামলায় অন্তত ২০ জন জখম হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিজেপি অবশ্য এই ঘটনায় নিজেদের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে। গোমতী জেলার পুলিশ সুপার এএস রেড্ডি জানান, সিপিএম অনুমতি ছাড়া মিছিল বের করে। তাতে কে বা কারা ঢিল ছোঁড়ে।