Barak UpdatesAnalyticsBreaking News
অধ্যাপকদের বাড়িতে বাজার পৌঁছালে আমারও পিএইচডি হতোঃ দেওধর
‘অর্গানিক ক্যামিস্ট্রিতে এমএসসি আমি। অধ্যাপকদের বাড়িঘরে বাজার পৌঁছাতে পারলে পিএইচডি পেয়ে যেতাম।’ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আজ এভাবেই বিঁধলেন বিজেপি নেতা সুনীল দেওধর। সোমবার আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির সামাজিক দায়দায়িত্ব’ সম্পর্কে বক্তৃতা করছিলেন তিনি। মূলত শিক্ষকদের উদ্দেশেই সুনীলবাবু এ দিন বক্তৃতা করেন। নানাভাবে আবার তাঁদের দোষারোপও করেন। কখনও কটুক্তি, কখনও বক্রোক্তি। তিনি এও বলেন, শিক্ষকদের অধিকাংশই ভ্রষ্টাচারী। তাই তাঁরা ছাত্রদের নৈতিকতার পাঠ দিতে পারেন না। তাঁর এইসব কথায় অধিকাংশ শিক্ষকের মুখ চুপসে গেলেও উপস্থিত ছাত্ররা করতালিতে মুখর হয়ে ওঠে। দ্বিগুণ উতসাহে সুনীলবাবু হলঘরে আওয়াজ তোলেন, ‘ভারতমাতা কি জয়’। কিছু ছাত্র-শিক্ষক গলা মেলান। সন্তুষ্ট হতে পারেননি ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার গঠনের প্রধান কারিগর বলে পরিচিত সুনীলবাবু। সবাইকে একযোগে বলার আহ্বান জানিয়ে আবারও ভারতমাতার জয়ধ্বনি তোলেন। উপাচার্য দিলীপচন্দ্র নাথও নিজের বক্তৃতা শেষ করেন ‘ভারতমাতা কি জয়’ বলে। বক্তৃতার শুরুতেই তিনি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কবীন্দ্র পুরকায়স্থকে কবীন্দ্রদা বলে সম্বোধন করেন। সঙ্গে এর একটিও যুক্তিও শোনান। তাঁর কথায়, আমি দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে এই সম্বোধনেই অভ্যস্ত।আরএসএস-বিজেপি নেতা, এনজিও মাই হোম ইন্ডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা সুনীল দেওধর অবশ্য কবীন্দ্রবাবুকে মহাঋষি বলে অভিহিত করেন। কবীন্দ্রবাবু তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ভারতের মৌলিকতা হল আধ্যাত্মিকতা। আর রাষ্ট্রের মৌলিকতা সম্পর্কে ছাত্রদের মধ্যে ধারণা তৈরি করে দেওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিরই দায়িত্ব। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের স্বামী মৃন্ময়ানন্দ মহারাজ শ্যামাপ্রসাদের জীবন, মেধা ও আত্মত্যাগের ওপর গুরুত্ব দেন।