India & World UpdatesBreaking News
জাল শংসাপত্রে স্বাক্ষর, প্রাক্তন উপাচার্যের ৫ বছরের জেলEx-VC, Registrar & a teacher sentenced to 5-year jail for forgery
২১ ফেব্রুয়ারি : জাল শংসাপত্র মামলায় পাঁচ বছরের জেল হয়েছে বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য দিলীপ সিনহার। ভুয়ো নথিপত্র দেখিয়ে এতোদিন চলছিল। অবশেষে সেটা প্রমাণিত হওয়ার পর তাঁকে শাস্তির আদেশ শোনায় বোলপুর আদালত। একই সঙ্গে প্রাক্তন রেজিস্ট্রার দিলীপ মুখোপাধ্যায় এবং প্রাক্তন অধ্যাপক মুক্তি দেবেরও জেলের সাজা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের ১ হাজার টাকা করে জরিমানাও ধার্ষ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালে বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য দিলীপ সিনহা সহ তিনজনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ ওঠে। সেই সময়ে মুক্তি দেব নামে এক মহিলার নিয়োগকে ঘিরে ঘটনার সূত্রপাত। অভিযোগ, মুক্তি তাঁর শংসাপত্র স্বাক্ষর করেছিলেন তৎকালীন উপাচার্য দিলীপ সিনহা ও কর্মসচিব দিলীপ মুখোপাধ্যায়। এ নিয়েই বিতর্ক দানা বাঁধে। মুক্তি দেব জানিয়েছিলেন, তিনি যাদবপুর এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ।
অধ্যাপিকা হিসেবে নিয়োগের পর বিশ্বভারতীতেই পিএইচডি করার জন্য আবেদন করেন মুক্তি দেব। সেই সময় শিক্ষাগত যোগ্যতার আসল নথি তলব করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মুক্তি দেব তখন যাদবপুর থানায় দায়ের করা একটি জিডির কপি পেশ করেন। যাতে অভিযোগ করা হয়েছে, বাড়ি থেকে সব নথি চুরি হয়ে গিয়েছে। সেই সময় সন্দেহ বাড়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।
এ দিন বোলপুর আদালতের শাস্তি ঘোষণার পর ভেঙে পড়েন অভিযুক্তরা। অধিকাংশ শংসাপত্রই ভুয়ো বলে জানায় যাদবপুর ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ৷ স্নাতক ও এমএসসি পাস করেননি বলেও প্রমাণিত হয়। একাধিকবার পরীক্ষায় অকৃতকার্য হন ৷ বিশ্বভারতীতে যোগ দেওয়ার সময় মুক্তি দেবকে শংসাপত্র দেন তৎকালিন উপাচার্য দিলীপ সিনহাই। তাই মুক্তি দেব ছাড়াও দিলীপ সিনহা ও তৎকালিন রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। এজলাসে দাঁড়িয়ে চোখ মুছতে দেখা যায় মুক্তি দেবকে। প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ ও অধ্যাপক দিলীপবাবুর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছিল শিক্ষামহলে। ঘটনায় বিশ্বভারতীর প্রশাসনিক গাফিলতি ছিল, তাও স্পষ্ট হয়েছে রায়ে।
February 21: In a sensational case, former Vice Chancellor of Visva-Bharati Dilip Kumar Sinha, an ex-Registrar Dilip Kumar Mukhopadhyay and a former lecturer of Mathematics Mukti Deb were sentenced to 5 years of imprisonment by a Bolpur court on Thursday in connection with a 1997 case of forged marksheet scam. Additional Chief Judicial Magistrate, Bolpur, Aurobindo Mishra also ordered the three convicted persons to pay a fine of Rs 1000 each.
Dev had worked as a lecturer in the Mathematics department in the university, teaching post-graduate students for around six years, without having the required qualification. The crime had come to light in 2004, months after the theft of Rabindranath Tagore’s Nobel medal. Deb had taught mathematics at the varsity on the basis of forged marksheets and degree certificates that were endorsed by Sinha and Mukherjee.
The university first suspected something amiss in 2002 when Deb applied for a PhD in the mathematics department where she had joined as a lecturer in 1997. She had attached copies of her testimonials attested by Sinha, the former vice-chancellor. Top university officials were surprised when Deb withdrew her application later, after the Board of Studies in the mathematics department sought her original marksheets for her PhD application.
The then registrar of Visva Bharati, Sunil Sarkar, lodged a complaint against Deb in 2004. The CID probed the case. Deb was suspended and sacked in May 2004. The investigators found that Sinha had attested the copies of Deb’s testimonials without verifying the originals. Sinha was Deb’s guide during her MPhil.
Dilip Sinha, served as the VC of Visva Bharati University between 1995 and 2001. In June 2004, he was arrested by the CID from his Ballygunge residence in South Kolkata but later released on bail. In March 2005, the CID submitted the chargesheet against the trio at Bolpur court.
Additional chief judicial magistrate Arvind Mishra pronounced the judgment after they were found guilty under IPC Sections 466 (forgery of record of court or of public register), 467 (forgery of valuable security, will), 468 (forgery for purpose of cheating), 469 (forgery for purpose of harming reputation), 471 (using as genuine a forged document) and 474 (possession of document knowing it to be forged and intending to use as genuine).