India & World UpdatesHappeningsBreaking News
লকডাউন চলাকালীন গত ৫৪ দিনে আগ্রায় প্রাণ হারালেন ১৪৫ যক্ষ্মা রোগী
১৬ মে : দেশে যখন কোভিড-১৯ মহামারি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে, সেসময় সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ তা মোকাবিলায় ঝাপিয়ে পড়েছে। কিন্তু পুরো স্বাস্থ্য বিভাগ শুধু কোভিড-১৯ রুখতে তৎপর থাকায় অন্যান্য রোগীরা স্বাস্থ্যসেবার সুফল ঠিকভাবে পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি অন্য রোগীদের এর মূল্য দিতে হচ্ছে জীবনের বিনিময়ে। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, গত ৫৪ দিনে আগ্রায় ১৪৫ জন যক্ষ্মা রোগী প্রাণ হারিয়েছেন। এই সংখ্যা সাধারণভাবে শহরে যক্ষ্মায় আক্রান্ত সংখ্যার চেয়ে প্রায় ৬ গুণ বেশি।
এ দিকে, যথাযথ চিকিৎসার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও একটি রোগে এই বিশাল সংখ্যক মৃত্যুর জন্য বেশিরভাগ মৃতের আত্মীয়রা বলেছেন, স্বাস্থ্য বিভাগ যক্ষ্মা রোগীদের পরামর্শ দান বা ওষুধ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। তাঁদের আরও অভিযোগ, বেশিরভাগ যক্ষ্মা রোগীর মৃত্যু হয়েছে ওষুধের অভাবে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, লকডাউনের মধ্যে এই রোগে মোট ১৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, অথচ ১ জানুয়ারি থেকে ১৯ মার্চের মধ্যে যক্ষ্মায় মৃতের সংখ্যা ২৭। এই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে টিবি রোগীদের তথ্য জানার জন্য সরকারের ওয়েবসাইটে।
তথ্য অনুযায়ী, সরকারি ওয়েবসাইটে ১ জানুয়ারি থেকে ১২ মে পর্যন্ত মোট ৫৮১৭ জন টিবি রোগী তাঁদের নাম পঞ্জীয়ন করেছেন। এর মধ্যে ১৭২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। শুধু লকডাউনের সময়ই মারা যান ১৪৫ জন। সূত্র অনুযায়ী, এদের মধ্যে ১২৩ জনের প্রাথমিক চিকিৎসা কাজ করেনি। ফলে তাঁদের চিকিৎসার ধরণ পরিবর্তন করা হয়েছিল।
স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্তা জানান, লকডাউনের সময় মারা যাওয়া বেশিরভাগ টিবি রোগী বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আর লকডাউনের সময় বেশিরভাগ বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক ঠিকঠাকভাবে কাজ করতে পারেনি। ফলে এই রোগীরা সমস্যায় পড়েন। তাছাড়া এসএন মেডিক্যাল কলেজের বর্হিবিভাগও কাজ করেনি। শুধু জরুরি রোগীদেরই ভর্তি করা হয় ও তাঁদের চিকিৎসা চলে। গত মাসে মারা যাওয়া ৩৫ বছর বয়সী এক যক্ষ্মা রোগীর স্ত্রী জানান, ‘আমার স্বামী গত ৬ মাস ধরে টিবি রোগী। গত ১৮ এপ্রিল তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তাঁর ওষুধের প্রয়োজন পড়েছিল। তাঁকে এসএনএমসি-র ইমারজেন্সি ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে তাঁর চিকিৎসা হয়নি। এরপর তিনি ২০ এপ্রিল মারা যান।