Barak UpdatesBreaking News
জন্মদিনে চক্ষুদানের অঙ্গীকার চব্বিশের তরুণীর
24-year girl pledges to donate eyes on her birthday

২৮ অক্টোবরঃ ২৪-তম জন্মদিনে চক্ষুদানের অঙ্গীকার করলেন ঘুংঘুর দুর্গাপল্লীর যুবতী জয়শ্রী দে। এ দিন তিনি শিলচর মেডিক্যাল কলেজ আই ব্যাঙ্কে গিয়ে নির্দিষ্ট অঙ্গীকার পত্রে স্বাক্ষর করে তা তুলে দেন ব্যাঙ্কের পাবলিসিটি অফিসার মিঠুন রায়ের হাতে।
শিলচর মেডিক্যাল কলেজে একটি পূর্ণ মাত্রার আই ব্যাঙ্ক চালুর দাবিতে বছর দুয়েক আগে স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান হয়েছিল শিলচরে। ঘুংঘুর এলাকায় ওই স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জয়শ্রী ওরফে আয়ূষী। তখনই তাঁর প্রতিজ্ঞা ছিল, আই ব্যাঙ্ক প্রকৃতই চালু হলে তিনি অঙ্গীকারপত্রে স্বাক্ষর করবেন। ২০১৮-র আগস্টে আই ব্যাঙ্কের জন্য সরকারি অনুমতি মেলে। সঙ্গে আদায় করা হয় অর্গান ট্রান্সপ্লান্ট অ্যাক্ট অনুসারে প্রয়োজনীয় লাইসেন্সও। সে থেকেই উপযুক্ত দিনক্ষণ খুঁজছিলেন আয়ূষী। ২৪-তম জন্মদিনটাকেই বেছে নিলেন।
অঙ্গীকার পত্রে সই করে আয়ূষী জানান, মৃত্যুর পরে আমার চোখ দুটি যদি কারও অন্ধত্ব নিবারণে সাহায্য করে, তা আমার সারা জীবনের কাজের স্বীকৃতি বলেই মনে করব। তাই তিনি শুধু নিজে নন, ‘ভালবাসা’ নামে এনজিও-র অন্যান্য সদস্যদের এই কাজে অনুপ্রাণিত করছেন। ঘুংঘুরের ‘ভালবাসা’ এনজিও-র সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন তিনি।
আই ব্যাঙ্কের পাবলিসিটি অফিসার মিঠুন রায় জানান, গত এক বছরে ৯জন অন্ধ ব্যক্তি কর্নিয়ার জন্য নাম লিখিয়েছেন। নিয়মিত তাঁরা খোঁজ করেন। কিন্তু কারও চোখই মিলছে না। এ পর্যন্ত জনাপঞ্চাশেক মানুষ অঙ্গীকারপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। তবে অধিকাংশই তরুণ-তরুণী বা মাঝবয়সী। ফলে তাদের কর্ণিয়া পাওয়ার জন্য অনেকদিন অপেক্ষা করতে হবে। তাই চক্ষুদানের সচেতনতা বৃদ্ধির হাসপাতালে যারা মারা যান, তাদের পরিজনদের সঙ্গে কথা বলে কর্ণিয়া সংগ্রহের চেষ্টা করছে আই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। মিঠুনবাবুর কথায়, ওই লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। দুদিন আগেই হাসপাতাল কর্মীদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনার আয়োজন করা হয়েছিল। ওয়ার্কশপের মাধ্যমে তাঁদের এ ব্যাপারে প্রশিক্ষিত করে তোলা হয়। এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন আই ব্যাঙ্কের নোডাল অফিসার ডা. আশিস দেব এবং ইনচার্জ ডা. পার্থপ্রতীম পাল।