India & World UpdatesHappeningsBreaking News
ফের বড়সড় রেল দুর্ঘটনা, ২০টি কামরা লাইনচ্যুত, মৃত ২
রাঁচি, ৩০ জুলাই : ফের বড়সড় রেল দুর্ঘটনার সাক্ষী হলো দেশ। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের ভয়াবহ সেই দুর্ঘটনার রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই একই নমুনার পুনরাবৃত্তি হাওড়া-মুম্বই মেলে। হাওড়া থেকে মুম্বই যাওয়ার পথে ১২৮১০ মুম্বই মেল সোমবার শেষ রাত ৩টা ৪৩ মিনিটে ঝাড়খণ্ডের চক্রধরপুর মণ্ডলের রাজখরসওয়া ও বড়াবাঙৌ স্টেশনের মধ্যে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। একটি মালগাড়ির সঙ্গে ধাক্কায় মুম্বই মেলের প্রায় ২০টি কামরা ট্র্যাক থেকে সরে যায়। এতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে এবং অন্য কয়েকজন মারাত্মক জখম হয়েছেন।
ঝাড়খণ্ডের ঘন জঙ্গলের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় শেষ রাতে ট্রেনের যাত্রীরা যখন ঘুমিয়ে ছিলেন, তখনই এক জোরদার ধাক্কায় স্তব্ধ হয়ে পড়ে সবকিছু। জানা গেছে, এই মুম্বই মেল সময়ের থেকে অনেক দেরিতে চলছিল। রাত ১১টা বেজে ২ মিনিটে যেখানে টাটানগর পৌছার কথা ছিল, সেখানে ট্রেনটি গিয়ে পৌঁছে রাত ২টা ৩৭ মিনিটে। ২ মিনিট সেখানে থেমেই ট্রেনটি চক্রধরপুরের উদ্দেশে রওনা দেয়। শেষ রাত ৩টা ৪৫ মিনিটে বড়াবাঙৌ স্টেশনে পৌছার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই এটি দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়। এই দুর্ঘটনায় মালগাড়ির কয়েকটি কামরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুর্ঘটনা এতোটাই ভয়াবহ ছিল যে, মুম্বই মেলের কয়েকটি কামরা একটি অন্যটির উপর উঠে যায়। আবার কয়েকটি কামরা মাঝখানেই দুমড়ে মুচড়ে যায়। ট্রেনের ভেতর থেকে মানুষ চিৎকার শুরু করেন। মানুষ ভয়ে এদিক ওদিক ছুটোছুটি করতে শুরু করেন। উপরের বার্থে শুয়ে থাকা অনেক যাত্রী নিচে পড়ে যান।
এই দুর্ঘটনার পর থেকে রেল পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়েছে। জানা গেছে, দুর্ঘটনার জন্য কামরাগুলো এমনভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে যে, তৃতীয় লাইন দিয়েও চলাচল স্বাভাবিক করা যায়নি। কিন্তু কী কারণে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। এ দিকে দুর্ঘটনার পর সকাল থেকে উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। গুরুতর জখমদের পাশের বড়াবাঙৌ ও চক্রধরপুরের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।