Barak UpdatesHappeningsBreaking News
বিল বকেয়া, করিমগঞ্জে স্ট্রিট লাইটের কানেকশন কেটে দিল বিদ্যুৎ বিভাগ
ওয়েটুবরাক, ১৫ জুলাই ঃ করিমগঞ্জ শহরে আজ অনেকগুলি স্ট্রিট লাইট জ্বলেনি। জ্বলেনি চরবাজার এবং বনমালী রোডের টাওয়ার লাইটও। তাতে অন্ধকারাচ্ছন্ন ছিল শহরের একাংশ। অনেকদিন ধরে বিল বকেয়া থাকায় বিদ্যুৎ বিভাগ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে একাংশ স্ট্রিট লাইটের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভার কাছে তাদের পাওনার পরিমাণ এক কোটি চল্লিশ লক্ষ টাকা। বার বার নোটিশ দেওয়ার পরও পুরসভার হেলদোল নেই। প্রতি মাসে পাওনার পরিমাণ বেড়ে চলেছে। এর পরই বিভাগ একাংশ স্ট্রিট লাইটের লাইন কেটে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। বকেয়া মিটিয়ে না দিলে শীঘ্র পুরো শহর জুড়ে স্ট্রিট লাইটের সংযোগ কেটে দেওয়া হবে বলে বিভাগীয় কর্তারা জানিয়ে দিয়েছেন।
লাইন কেটে দেওয়ার পরে অবশ্য পুরসভারও দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। বর্তমানে পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার পদে রয়েছেন বিক্রম চাষা। তিনি নতুন এই দায়িত্ব নিয়েছেন। বিদ্যুু্ৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হতেই বিভাগীয় কর্মীদের কাছ থেকে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে এ নিয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলেন। জেলাশাসক এখন বিদ্যু্ৎ বিভাগ ও পুরসভার মধ্যে মধ্যস্থতা করে বিবাদ মেটানোর চেষ্টা করছেন।
এ দিকে, বিদ্যুৎ বিভাগের এক আধিকারিক বললেন, এক সঙ্গে শহরের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে না ৷ তাই একটি একটি এলাকা করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে । বিল না মেটালে একসময় পুরসভা ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে।
গত দুদিনে বেশ কয়েকটি এলাকায় করিমগঞ্জ শহরের স্ট্রিট লাইট ও টাওয়ার লাইট বন্ধ করে দেওয়া হলেও মাথাব্যথা নেই শাসক বিরোধী দলের । একে অপরের দিকে আঙুল তুলে ধরে রাজনীতি করছেন ৷
বিদ্যুৎ বিল এতো টাকা বকেয়া কেন? পুরসভার সদ্য-প্রাক্তন সভানেত্রী অঞ্জনা রায় বললেন, গত ১৩ বছরের অধিক সময় ধরে পুরসভা পরিচালনা করেছে কংগ্রেস৷ তাদের আমলেই এই বিশাল অঙ্কের অর্থ জমানো হয়েছে৷ তাই করিমগঞ্জ অন্ধকারে ডোবার জন্য তিনি কংগ্রেসকেই দায়ী করেন৷
অঞ্জনাদেবীর এই যুক্তি উড়িয়ে দেন শহর ব্লক কংগ্রেস সভাপতি তাপস পুরকায়স্থ৷ তিনি বলেন, রাজ্য সরকার বিজেপির ৷ পুরসভা পরিচালিত হচ্ছে সরকারের অধীনে ৷ তাই অন্ধকার নয়, আলো দিতে হবে শহরে৷ অন্যথায় নাগরিকদের নিয়ে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেন তিনি ।