Barak Updates
হিমন্তকে হুমকি? প্রতিবাদে খোলা চিঠি পরেশ বরুয়ার
ওয়েটুবরাক ৪ মার্চ: অসমে শিখদের উপরে অত্যাচার হচ্ছে এবং ডিব্রুগড় জেলে কারাবন্দি অমৃতপাল সিংহের আট সঙ্গীর উপরে অত্যাচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে রবিবার রেকর্ড করা বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মাকে দায়ী করে হুমকি বার্তা পাঠিয়েছিলেন নিষিদ্ধ সংগঠন ‘শিখস্ ফর জাস্টিসে’র মুখপাত্র, আইনজীবী গুরপতওয়ন্ত সিংহ পান্নুন। সোমবার আলফা প্রধান পরেশ বরুয়া ‘শিখস্ ফর জাস্টিসে’র উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি পাঠিয়ে বললেন, অসমে শিখদের উপরে মোটেই অত্যাচার হয়নি বা হচ্ছে না। তাই পন্নুনের অভিযোগ ও হুমকি দুর্ভাগ্যজনক। পরেশ লেখেন, স্বর্ণমন্দিরে ভারতের ‘দখলদার বাহিনী’ অপারেশন ব্লু স্টার শুরু করার পরে এবং পরবর্তীকালে ইন্দিরা গান্ধীর হত্যার পরে যখন দেশের বিভিন্ন স্থানে শিখদের উপরে আক্রমণ চলেছিল, তখনও অসম বা পশ্চিম-দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কোথাও সেই ঘটনার আঁচ পড়েনি। তখন দিল্লি ও অসম দুই জায়গায় কংগ্রেসের সরকার থাকার পরেও অসমের স্থানীয় মানুষ ও রাজনৈতিক নেতারা কেউ কোনও উস্কানিমূলক কাজ করেননি, মন্তব্যও করা হয়নি। শিখরা তখনও এখানে নিরাপদে ছিলেন, এখনও তাই আছেন। ডিব্রুগড় কারাগারে অমৃতপালের সঙ্গীদের উপরেও কোনও ধরণের অত্যাচার চলছে না বলে মন্তব্য করে পরেশ বলেন, অসমের ভূমিপুত্ররা শিখদের বিপ্লব, স্বাধীনতা আন্দোলনকে শ্রদ্ধা করেন। তাই ‘শিখস্ ফর জাস্টিস’ যেন অসমের মানুষ বা নেতাদের সম্পর্কে এমন নেতিবাচক ও ভুল মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকে।
পন্নুনের হুমকি প্রসঙ্গে ডিজিপি জিপি সিংহ জানান, এসটিএফ থানায় মামলা করে ডিআইজি এসটিএফকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অডিও বার্তার বিষয়ে সব কেন্দ্রীয় সংস্থাকেও জানানো হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা। তিনি আরও বলেন, “আমি এনআইএতে থাকাকালীন পন্নুন ও তাঁর সংস্থাকে নিয়ে আমাদের উপরেই তদন্তের দায়িত্ব ছিল। তাই প্রাথমিকভাবে আমি নিশ্চিত যে, ফোনে রেকর্ড করা কন্ঠ গুরপতওয়ন্তেরই। ইউএপিএ আইনের অধীনে তার সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে। অনেক মামল ঝুলছে তাদের বিরুদ্ধে। খালিস্তান সংক্রান্ত বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে যে গণ্ডগোল চলছে তার পরিপ্রেক্ষিতে পন্নুনের হুমকি আমরা গুরত্ব সহ নিয়েছি।”
অসমে শিখ সম্প্রদায়ের উপরে অত্যাচারের যে অভিযোগ পন্নুন করেছেন, সে প্রসঙ্গে সিংহ বলেন, “রাজ্যে পূর্ণ অধিকার নিয়ে, শান্তিতেই আছেন শিখরা। বাইরে থেকে যাতে কেউ এসে গণ্ডগোল না বাঁধাতে পারেন সে জন্য সব স্টেশন ও বিমানবন্দরে কড়া নজর রাখা হচ্ছে।”