India & World UpdatesAnalytics
২১ জুন থেকে ভ্যাকসিনের নয়া নির্দেশিকা, গাইডলাইন কী বলছে
৮ জুন : সোমবার দেশের ভ্যাকসিন নীতিতে বড়সড় পরিবর্তনের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপরই টিকাকরণ সংক্রান্ত গাইডলাইন প্রকাশ করেছে কেন্দ্র সরকার। আগামী ২১ জুন থেকে এই নয়া নির্দেশিকা কার্যকর হবে। রাজ্যগুলিকে জনসংখ্যার নিরিখে ভাগ করা হবে। এ ছাড়া, কোন রাজ্যে করোনা সংক্রমণের প্রাবল্য কত, টিকাকরণ কত দূর এগিয়েছে, এ সব দেখা হবে। কোনওভাবেই যাতে ভ্যাকসিন নষ্ট না হয় সে দিকেও নজর দেবে কেন্দ্র।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে—-
১. বিনামূল্যে সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ভ্যাকসিন দেবে কেন্দ্র। আর সেই ভ্যাকসিন রাজ্য সরকার সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বাসিন্দাদের বিনামূল্যে দেবে। সরকারি টিকাকরণ কেন্দ্রগুলি থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
২. এতে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যকর্মী, প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধা, ৪৫ বছরের বেশি বয়সী এবং যাদের ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ বাকি রয়েছে, তাদের আগে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
৩. তবে ভ্যাকসিন কাদের আগে দেওয়া হবে, তা রাজ্য সরকার নির্ধারণ করতে পারবে।
৪. রাজ্যগুলিকে জনসংখ্যার নিরিখে ভাগ করা হবে। কোন রাজ্যে করোনা সংক্রমণ কত, টিকাকরণ কত দূর এগিয়েছে, এ সব দেখা হবে। ভ্যাকসিন নষ্ট না হয়, সেই বিষয়ে থাকবে নজর।
৫. ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি মাসের তাদের মোট উৎপাদনের ২৫ শতাংশ সরাসরি বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে বিক্রি করতে পারবে। ন্যাশনাল হেলথ অথরিটির প্লাটফর্মের মাধ্যমে সে ক্ষেত্রে পেমেন্ট করতে হবে। প্রত্যন্ত এলাকার বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে যাতে ভ্যাকসিন পৌঁছে যায়, সেই বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
৬. ভ্যাকসিনের দাম নির্ধারণ করতে পারবে উৎপাদক সংস্থাগুলি। বেসরকারি হাসপাতালগুলির কাছ থেকে ডোজ পিছু সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া যাবে। রাজ্য সরকার ভ্যাকসিনের দামের দিকে নজর রাখতে পারবে।
৭. রোজগার যতই হোক না কেন, প্রত্যেক নাগরিক বিনামূল্যে ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। তবে, যাঁদের টাকা দিয়ে টিকা নেওয়ার ক্ষমতা আছে, তাঁদের বেসরকারি হাসপাতাল থেকে টিকা নিতে বলা হচ্ছে।
৮. সব সরকারি টিকাকরণ কেন্দ্রে অনসাইট রেজিস্ট্রেশনের সুবিধা থাকবে যাতে বাসিন্দাদের কোনও অসুবিধা না হয়।
৯. রাজ্যগুলিতে সার্ভিস সেন্টার ও কল সেন্টার থাকবে, যেখান থেকে ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য অগ্রিম বুকিং করা যাবে।