India & World UpdatesAnalyticsBreaking News
১ অক্টোবর থেকে বার্থ সার্টিফিকেট ছাড়া সরকারি কোনও কাজ হবে না, নয়া নির্দেশ
নতুনদিল্লি, ২৯ সেপ্টেম্বর : ভারতের জন্ম ও মৃত্যু রেজিস্ট্রেশন সংশোধনী আইনটি ১ অক্টোবর ২০২৩ থেকে সারা দেশে কার্যকর হবে। এই নিয়মে জন্ম ও মৃত্যুর রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক। জন্ম মৃত্যু রেজিস্ট্রেশন সংশোধনী আইন অনুযায়ী, স্কুলে ভর্তি, ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান, ভোটার তালিকা তৈরি, আধার নম্বর, সরকারি চাকরির অ্যাপয়েনমেন্ট, ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন অথবা অ্যাপ্লিকেশনের জন্য, একক প্রামাণ্য নথি হিসেবে বিবেচিত হবে বার্থ সার্টিফিকেট।
১ অক্টোবর থেকে বার্থ সার্টিফিকেট ছাড়া স্কুল-কলেজ সহ কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই ভর্তি হওয়া যাবে না। সরকারি চাকরির পরীক্ষা দিতে চাইলেও দেখাতে হবে বার্থ সার্টিফিকেট। ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট, আধার কার্ড তৈরি, ভোটার আইডি তৈরি সহ আরও বহু দরকারি কাজ জন্মের শংসাপত্র ছাড়া করা যাবে না।
বেসরকারি ক্ষেত্রেও এই নিয়ম কার্যকর হতে চলেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে রেজিস্ট্রোর জেনারেলের অফিস থেকে সম্প্রতি এই আইন কার্যকর সংক্রান্ত একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘জন্ম ও মৃত্যু রেজিস্ট্রেশন আইন ২০২৩-এর সেকশান ১-এর সাব সেকশন ২-এর দ্বারা প্রদত্ত ক্ষমতার প্রয়োগে কেন্দ্রীয় সরকার ১ অক্টোবর ২০২৩ থেকে এই আইনের সব বিধানগুলি কার্যকর করবে।’
বার্থ সার্টিফিকেটের নিয়মে বড় পরিবর্তন করেছে মোদি সরকার। ১ অক্টোবর থেকে একটি কঠোর নিয়ম চালু হতে চলেছে। আর এতেই গুরুত্ব বাড়বে বার্থ সার্টিফিকেটের। কার্ডের মতো বার্থ সার্টিফিকেটও গুরুত্বপূর্ণ নথি। এখন থেকে জন্মের শংসাপত্রই হতে চলেছে প্রধান প্রমাণপত্র। এই আইনের মূল লক্ষ্য হল সাধারণ মানুষের জীবনকে আরও সহজতর করা ও পরিষেবাগুলিকে আরও ভাল অ্যাক্সেস করা। এর মাধ্যমে ভারতীয়দের জীবনযাত্রার মান উন্নীত হবে বলে দাবি করা হয়েছে। আইনের মূল উদ্দেশ্য হল নিবন্ধিত জন্ম ও মৃত্যুর জন্য একটি জাতীয় ও রাজ্য স্তরের ডেটাবেস তৈরি করা। এই সংশোধনী আইনের মাধ্যমে একজন ব্যক্তির জন্মের তারিখ ও স্থানের সঠিক প্রমাণ পাওয়া যাবে।