Barak Updates
হাইলাকান্দিতে বন্যাদুর্গতদের পৌনে চার কোটি
ওয়েটুবরাক, ২০ আগস্ট : রাজ্যের পরিবহন মীন ও আবগারি মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য হাইলাকান্দি জেলার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৭৫৭৬টি পরিবারকে ৩ কোটি ৭৩ লক্ষ ৫৪ হাজার ৬০০ টাকার আর্থিক সাহায্য তুলে দিয়েছেন। পাশাপাশি এদিন মন্ত্রী জেলায় অরণোদয় প্রকল্পের সমীক্ষার কাজের সূচনা করেছেন।
শনিবার হাইলাকান্দি শহরের রবীন্দ্রভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য জেলার পাঁচজনকে প্রতীকী চেক তুলে দেন৷ পরে জানান, নগদ হস্তান্তর প্রক্রিয়া ডিবিটির মাধ্যমে এই অর্থ তুলে দেন। জেলা শাসক নিসর্গ হিবরের পৌরোহিত্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী শুক্লবৈদ্য হাইলাকান্দিতে বন্যার সময় বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গুলির কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বলেন এবারের বন্যা মোকাবিলা করতে দিশপুর থেকে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী তিনবার উপত্যকায় ছুটে আসেন। শিশু খাদ্য থেকে পানীয় জল সবকিছু দুর্গতদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযানের জন্য এনডিআরএফ এর নৌকা, প্রয়োজনীয় সামগ্রী, পেট্রোল ডিজেল ইত্যাদি বিমানে করে নিয়ে আসা হয়েছে উপত্যকায়। জেলায় অরুণোদয় প্রকল্পের সমীক্ষার কাজ সূচনা করে মন্ত্রি শুক্রবার তো বলেন ঘরে ঘরে প্রশাসনের ভিজিলেন্স টিম যাবে মোবাইল এপস এর মাধ্যমে নাম ঢুকানোর জন্য। ভিজিলেন্স টিম জোর করে কোন তথ্য সন্নিবিষ্ট করবেন না। তবে ভিজিলেন্স টিম এর কাছে কোন তথ্য গোপন না করতে মন্ত্রী আবেদন জানান। জেলার অভিভাবক মন্ত্রী শুক্ল বৈদ্য বলেন অর্থনৈতিক অবস্থার বিশ্লেষণ করে সরকার থেকে দেখা হয়েছে যে ছোট ছোট প্রয়োজনের জন্য মানুষ কষ্ট পায়। তাই হতদরিদ্র মানুষরা যাতে তাদের ছোট ছোট প্রয়োজন পূরণ করতে পারে সে উদ্দেশ্যে অরুণোদয় প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছে। তবে বর্তমানে যারা অনরুণোদয় প্রকল্পের সুফল ভোগ করে নিজেদের কে দারিদ্র্যসীমার রেখার উপরে নিয়ে এসেছেন তাদেরকে এই প্রকল্প থেকে স্বেচ্ছায় বেরিয়ে আসতে মন্ত্রী আর্জি জানান। বিধায়ক নিজাম উদ্দিন চৌধুরী এবং বিধায়ক জাকির হোসেন লস্কর ও মুখ্যমন্ত্রী ড হিমন্ত বিশ্বাস শর্মাকে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শীঘ্রই বন্যায় ক্ষতিপূরণের অর্থ তুলে দেওয়ায় ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি দুই বিধায়ক ও আর্থিক সুবিধা প্রাপ্ত কোন লোক যদি অরুণোদয় প্রকল্পের সুফল লাভ করে থাকেন তবে স্বেচ্ছায় তা ফিরিয়ে দিতে আবেদন জানান। শুরুতে জেলাশাসক নিসর্গ হিবরে জানান জেলার আড়াই লক্ষ লোক সাম্প্রতিক বন্যায় কবলে পড়েন। ফলে সড়ক যোগাযোগ বিদ্যুৎ ,নদীবাদ ইত্যাদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রশাসন থেকে ক্ষতিগ্রস্ত লোকেদের তালিকা ব্যাপকভাবে ঝাড়াই-বাছাই করে তৈরি করা হয়। এরপরও তৃতীয় পক্ষ থেকে আবার বাছাই করে সমীক্ষার কাজ করা হয় যাতে করে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা বাদ না পড়েন।বিজেপি জেলা সভাপতি স্বপন ভট্টাচার্য প্রাসঙ্গিক বক্তব্য রাখেন। উল্লেখ্য পুরোপুরি ধ্বংস হওয়া ঘরের জন্য জেলার ৯১ টি পরিবারকে ৯৫ হাজার একশ করে টাকা, পাকা বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্তের জন্য ৭৫৮ পরিবারকে ৫ হাজার ২০০, কাচ্চা বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্তের জন্য ৭৫৬২ পরিবারকে ৩২০০ করে অর্থ এবং ১০৭ কি কুড়ে ঘরের জন্য ৪১০০ টাকা এবং ৫৮ গরুর ঘরের জন্য ২১০০ টাকা করে অর্থ ডিভিটির মাধ্যমে তুলে দেওয়া হয় শনিবার। কাটলীছড়ার বিধায়কের প্রতিনিধি, ডিডিসি আর কে লস্কর এডিসি দীপমালা গোয়ালার উপস্থিতিতে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সভায় এডিসি সপ্ততি এন্দো।
ছবি: পরিবহন মীন ও আবগারি মন্ত্রী পরিমল শুক্ল বৈদ্য হাইলাকান্দিতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে অর্থ সাহায্য তুলে দিচ্ছেন। শনিবার শহরের রবীন্দ্রভবনে।