Barak UpdatesAnalyticsBreaking News
স্বচ্ছ শিলচর : আগে সচেতন করতে হবে জনগণকে, লিখেছেন রাহুল রায়
–রাহুল রায়–
গত ১৪ জুলাই শিলচরে বহু আকাঙ্খিত সলিড লিকুইড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প শুরু হয়েছে। আবর্জনার চাপে ন্যুব্জ শহরের সৌন্দর্যায়নে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুরু করা এই প্রকল্পটি নিঃসন্দেহে একটি আশার আলো। সলিড লিকুইড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের অধীনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে আবর্জনা সংগ্রহ করা হবে এবং পরবর্তীতে ট্রাঙ্ক রোডে স্থাপিত হওয়া কেন্দ্রে জমা করা হবে। এই কেন্দ্র থেকে পরবর্তীতে এই জমাকৃত আবর্জনাকে পুনর্ব্যবহারের জন্য যথাযথ স্থানে পাঠানো হবে।
সেদিনের অনুষ্ঠানে উল্লেখিত ‘গার্বেজ টু গোল্ড’ প্রকল্পের ফলে একদিকে যেমন আবর্জনার পুনর্ব্যবহার হবে, তেমনি পুরসভারও সেই বর্জ্যকে বিক্রি করে অর্থনৈতিক মুনাফা হবে। এখানে উল্লেখযোগ্য যে, প্রকল্পটি ইতিমধ্যে দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন শহরে সাফল্য লাভ করেছে এবং সেই পথ অনুসরণ করে শিলচরে এর যাত্রা শুরু করা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, আদৌ কি এই প্রকল্প শহরকে আবর্জনা মুক্ত করতে পারবে ? পুরসভার অর্থনৈতিক মুনাফা অর্জনের প্রশ্ন অবশ্যই এখানে তুলনামূলক গৌণ। এই প্রকল্পের সাফল্যে বাস্তবে একদিকে যেমন চাই জনসচেতনা, তেমনি চাই উপযুক্ত পরিকাঠামো। শিক্ষিত মাত্রেই সচেতন নন, ৯০ শতাংশের বেশি সাক্ষরতার শিলচর শহরেও মানুষ সেই অর্থে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সচেতন নন। শহরের অবস্থাই যা কি না প্রতিমুহূর্তে আমাদের চিৎকার করে জানান দেয়।
সেদিক দিয়ে আমজনতাকে সচেতন করার মতো কোনও পরিকল্পনা পুরসভার আছে কি ? সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে, সরকারি কার্যালয়ে ও পথের পাশে কয়েকটি ব্যানার-পোষ্টার লাগিয়ে কিন্তু উদ্দেশ্য সফল হবে না। এই শহরে স্বচ্ছ ভারত নিয়ে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান থেকে শুরু করে ছবি দেওয়া বিজ্ঞাপন, ব্যানার, পোষ্টারও সেই কাজ করতে পারেনি। রুক্ষ বাস্তবটা হল, স্বচ্ছতার প্রয়োজনীয়তা জনগণের কাছে পৌঁছনো যাচ্ছে না।