India & World UpdatesAnalyticsBreaking News
শূন্যপদে দুজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ
নতুনদিল্লি, ১৫ মার্চ : শনিবার বিকেল তিনটায় ঘোষণা হবে লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ। ঠিক তার কয়েকদিন আগেই পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেন নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল। দেশে একজন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সহ মোট তিন জন নির্বাচন কমিশনার থাকার কথা। দীর্ঘদিন একটি নির্বাচন কমিশনারের পদ শূন্যই ছিল। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীবকুমার এবং নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েলই দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে গত শনিবার অরুণ গোয়েলের পদত্যাগের পর নির্বাচন কমিশনারের দুটি পদই শূন্য হয়ে যায়। যদিও তাঁর পদত্যাগের প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি।
সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিয়ে অরুণ গোয়েল জানিয়েছেন ব্যক্তিগত কারণেই তিনি পদত্যাগ করেছেন। এই অবস্থায় একা মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের পক্ষে ভোট পরিচালনা করা চাপের হয়ে যাচ্ছিল। তাই বৃহস্পতিবার দুই নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগ করার জন্য বৈঠক ডাকা হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন লোকসভার কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানেই নতুন দুই নির্বাচন কমিশনারের নাম ঘোষণা করা হয়। দুই আমলা সুখবীর সিং সান্ধু এবং জ্ঞানেশ কুমারকে নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের এই কমিটি। যদিও এই প্রক্রিয়াকে শুধুমাত্র নিয়মরক্ষা বলে কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ।
নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের কমিটি থেকে কেন প্রধান বিচারপতির নাম বাদ দেওয়া হল, সেই বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন অধীরবাবু। তিনি বলেন, ‘কমিটিতে অবশ্যই দেশের প্রধান বিচারপতির থাকা উচিত। প্যানেলে সরকার পক্ষই সংখ্যাগরিষ্ঠ। ফলে তারা যা চায়, তাই হয়। বুধবার রাতে আমাকে ২১২টি সম্ভাব্য নাম দিয়ে, তার মধ্যে থেকে দু’জনকে বেছে নিতে বলা হয়। আমি গত রাতে দিল্লিতে এসেছি। পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে বৈঠক। আমায় ২১২টি নাম দেওয়া হল। কীভাবে একজন একদিনে এতগুলো নাম খতিয়ে দেখবে? তাঁদের হাতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে বলে ইচ্ছামতো ব্যক্তিকে বেছে নিয়েছে।’
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের মার্চ মাসে সুপ্রিম কোর্ট রায়ে বলেছিল মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও অন্য দুই নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের বিষয়টি দেখবে প্রধান বিচারপতি, প্রধানমন্ত্রী ও লোকসভার বিরোধী দলনেতার একটি কমিটি। যদিও সেই রায় একপ্রকার অবজ্ঞা করেই সংসদে নির্বাচন কমিশনার বিল ২০২৩ পাশ করায় কেন্দ্রীয় সরকার। যাতে বলা হয় মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও অন্য দুই নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের বিষয়টি দেখবে প্রধানমন্ত্রী ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা ও প্রধানমন্ত্রী মনোনীত কোনও এক মন্ত্রী। সেইমতই এদিন বৈঠক করে দুই নির্বাচন কমিশনকে নিয়োগ করা হয়।