Barak Updates
শিশু অপহরণঃ প্রাথমিক তদন্তে ক্লু মিললেও পাওয়া যায়নি সন্দেহভাজনকেChild kidnap case, suspect still out of reach of police
কে এই যুবক? শুরু থেকে অবশ্য তাকেই সন্দেহ করছিলেন অনীশের বাবা অসীমবাবু ও মা ঝুমাদেবী। দুজনই বলছিলেন, সে ছাড়া আর কেউ এমন করতে পারে না। কিছুদিন আগে মাত্র চুরির দায়ে জেল খেটে জামিনে বেরিয়ে এসেছে। এলাকাবাসীও এমন অনুমানকেই যথার্থ বলে সায় জানিয়েছেন। এর পরই প্লাস-কাণ্ড। ব্যবসায়ীটি ঠিক ওই নামটিই বললেন, প্লাস চেয়ে নিয়েছিল সে-ই।
মামলার তদন্তকারী অফিসার পরাগ হাজরিকা জানান, তার নাম বিষ্ণু নুনিয়া। মূলত চোর হিসেবেই পরিচিত। কিছুদিন আগেও ল্যাপটপ চুরির মামলায় জেলে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু দিনভর অভিযান চালিয়েও শনিবার তাকে ধরা যায়নি। সকালে মোবাইল সংক্রান্ত প্রযুক্তিগত কৌশল ব্যবহার করে পুলিশ জেনেছিল, সে রয়েছে কাছাকাছি এলাকাতেই। কিন্তু ওই এলাকায় গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। এর পরই ধরা পড়ে, তার মোবাইল স্যুইচড অফ। একবার খবর আসে, সে রয়েছে ভরাখাই বাগান অঞ্চলে। বিশাল বাহিনী নিয়ে পুলিশ বাগান এলাকা তন্নতন্ন করে খোঁজে। ফল মেলেনি।
পরাগবাবু বলেন, বেরিয়ে কোথাও যেতে পারবে না সে। চতুর্দিকে পুলিশ সতর্ক রয়েছে। ফলে বিষ্ণু নুনিয়া ধরা পড়বেই। তাকে জেরা করেই পাকা সিদ্ধান্তে পৌঁছা যাবে। তাঁর কথায়, শুধু বিষ্ণুর দিকে তাকিয়েই পুলিশ বসে নেই। সম্ভাব্য সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে তিনি নিশ্চিত, অর্থ আদায়ের জন্যই অনীশকে তুলে নিয়েছিল দুষ্কৃতী। এবং ওই দুষ্কৃতী দূরের কেউ নয়। পরিত্যক্ত বাড়িটিতে তাকে লুকিয়ে রাখার একটাই উদ্দেশ্য, মোবাইলে যোগাযোগ করে অন্যত্র লেনদেন সেরে নেবে। পরে বলে দেবে, ওখান থেকে নিয়ে যান। এই জায়গায় সে যে পেশাদারি নয়, স্থান বাছাইয়েই বুঝিয়ে দিয়েছে দুষ্কৃতী। পরাগবাবুর কথায়, পাকা অপহরণকারী হলে এত কাছাকাছি লুকিয়ে রাখার কথা ভাবত না।