Barak Updates
কাছাড়ে জেলা পরিষদ দখলে লড়াই তীব্রতর
১৪ ডিসেম্বরঃ সময় যত এগোচ্ছে, শিলচর জেলা পরিষদ দখলের লড়াই তত তীব্র হচ্ছে। গণনার শুরুতে ২৭ আসনের জেলা পরিষদ সহজে বিজেপি হাতের মুঠোয় নিয়ে নিচ্ছে বলে মনে হয়েছিল। কিন্তু প্রথমে গণনা শুরু করা ১৪ আসনের ফলাফল চূড়ান্ত হতেই দেখা যায়, কংগ্রেস সহজে মাঠ ছাড়ছে না। গেরুয়াবাহিনী ৮টি জিতলেও কংগ্রেস ৬টি নিজেদের পকেটে পুরে শক্ত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়। দ্বিতীয় দফায় যে ১৩টি আসনের গণনা এই সময়ে চলছে, সেখানে কংগ্রেস-বিজেপি সমানে এগোচ্ছে।
আইএসবিটি-র গণনা কেন্দ্রে বসেই জেলা বিজেপি সভাপতি কৌশিক রাই বলেন, ‘১৪টি পেয়ে যাব আমরা।’ ২৭ আসনের জেলা পরিষদে বোর্ড গঠনের জন্য ১৪টি আসনই জরুরি। অর্থাত কোনও আসনে আশার দোলা একটু এদিক-ওদিক হলেই কংগ্রেসের ভাগ্যে শিঁকে ছিড়তে পারে। কৌশিকবাবু অবশ্য তেমন আশঙ্কা উড়িয়ে দেন। তাঁর দাবি, পশ্চিম সোনাই, মধ্য ধলাই, পশ্চিম ধলাই, পূর্ব উধারবন্দ, পশ্চিম উধারবন্দ, দক্ষিণ লক্ষ্মীপুর, উত্তর বড়খলা ও দক্ষিণ কাটিগড়ায় দলীয় প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন। দুই-তিনটি আসন এই সময়ে খুব কম ব্যবধান বলে সেগুলিকে ছেড়ে দিলেও ১৪ পেতে কঠিন হবে না।
আইএসটিটি-তে জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত রায় শোনালেন, ‘কারও পক্ষেই জোর দিয়ে বলা এই সময়ে সম্ভব নয়। কারণ খেলা চলছে ১৪-১৩তে। যারা ১৪ পেয়ে যাবেন, তারাই বোর্ড গড়বেন। তৃতীয় কারও কোনও সম্ভাবনা নেই।’
এ কথা স্বীকার করে নিয়েছেন জেলা এআইইউডিএফ সভাপতি সামিনুল ইসলাম বড়ভুইয়াও। তিনি বলেন, ‘বিজেপির প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে মুসলমান ভোটাররা এক জায়গায় সব ভোট দিতে চেয়েছেন। সে ক্ষেত্রে অধিকাংশ কংগ্রেসকেই বেছে নিয়েছেন। বাকিরা ক্ষমতার শরিক হওয়ার জন্য বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন, জেতার জন্য মুসলমান ভোটে থাবা বসিয়েছেন।’